শাস্তি হয় না বলে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে: কাজী ফিরোজ

জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসের মালিকদের শাস্তি না হওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সুযোগ নিয়ে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের মারা যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ফিরোজ রশীদ বলেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। একটি মানুষ মারা যাওয়া মানে একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু একজন বাসের ড্রাইভারের লাইসেন্স আছে কি না, ফিটনেস আছে কি না, এসব দেখার কেউ নেই। যদি দেখা হতো তাহলে হয়তো দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ি বাস মালিকদের শাস্তি হয় না। এসব বাসের মালিক কারা? মালিকরা হচ্ছে, আমাদের কিছু পুলিশ অফিসার, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও আমাদের সঙ্গে বসে আছেন জাপার চিফ হুইপ রাঙা সাহেব, উনি ভালভাবে বলতে পারবেন এসব বাসের মালিক কারা। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে এসব বাসের কিছু হয় না। আর এসব বাসের ড্রাইভারদের কোনো লাইসেন্স নেই, খালাসীদের কোনো ট্রেনিং নেই। সিগনাল বোঝে না, বাস ডানে যাবে না বামে যাবে, তা কেউ বুঝতে পারে না।
জাপার এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, দেশে গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ হাজার মানুষ মারা গেছে। আর ১৪ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এদের পরিবারের দায়িত্ব কি রাষ্ট্র নেবে?
তিনি বলেন, এখন থেকে ডিসিদের দায়িত্ব দিতে হবে, তাদের বলতে হবে, আপনার জেলায় কতগুলো বাস আছে, ট্রাক আছে, অন্য গাড়ি আছে। তাদের ফিটনেস আছে কিনা দেখতে হবে? ড্রাইভারদের লাইসেন্স আছে কি না তা দেখার দায়িত্ব দিতে হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ কিভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে এমন প্রশ্ন তোলে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এই যে অবস্থা, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছি, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে কি এসব হচ্ছে, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায় কি আছে? দেশে মহাসড়কে ভটভটি, পটপটি, মটর সাইকেল, ট্যাম্পু কত কিছু যে এক সঙ্গে চলে তা ভাবা যায় না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার এলাকায় অনেক রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু বিলের মধ্যে বিশ টনের ট্রাক চলে, রাস্তা নষ্ট হয়, সংস্কার করবে কে? ছোট ছোট সুন্দর রাস্তা বিলের মধ্যে, কিন্তু সেখান দিয়ে রাতে টাকা খেয়ে ভারী ট্রাক চলছে? কারা এসব দেখবে? এসব চললে সড়ক নষ্ট হয়ে যাবে। ডিসি, ইউএনও কারো কাছে কোনো টাকা নেই মেরামত করার। তাই এটা বন্ধ করতে হবে।
এনএইচবি/এমএমএ/
