‘জুনে ভারত থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আসবে’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী জুন নাগাদ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি শুরু হবে। এ ছাড়া চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে।
সোমবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) হতে ২০১৬ সাল থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত হতে ডিজেল আমদানির লক্ষ্যে প্রায় ১০১.৫ কিলোমিটার (বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫ কিলোমিটার এবং ভারত অংশে ৫.০ কিলোমিটার) দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য প্রি-কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছর জুন নাগাদ এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির কমিশনিং কার্যক্রম তথা পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। তন্মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট, ক্যাপটিড ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪১৮ মেগাওয়াট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৬০৮ মেগাওয়াট এর মধ্যে সরকারি খাতে ১০ হাজার ২৪৬ মেগাওয়াট, যৌথ উদ্যোগে এক হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট, বেসরকারি খাতে ৯ হাজার ৯৫৮ মেগাওয়াট ও আমদানি এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৪ দশমিক ৭৮২ মেগাওয়াট (১৬ এপ্রিল ২০২২)।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে।
এনএইচবি/এসজি
