সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ

সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে-স্কেল নিয়ে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আকতার হোসেন।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে আকতার হোসেন বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান সরকারের একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে নতুন পে-স্কেল প্রদানের কোনো সম্পর্ক নেই।

প্রতি পাঁচ বছর পরপর বিদ্যমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন পে-স্কেল প্রদান করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক সর্বশেষ অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার প্রাক্কালে আমরা পুনরায় বৈষম্যের শিকার হলাম।

বেতন দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়ে একদিকে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা হলো, অন্যদিকে এ ঘোষণার আড়ালে দীর্ঘদিনের প্রচলিত টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড প্রথা বাতিল করে ঠকানো হলো কর্মচারীদের।

শুধু তাই নয় অতীতের নিয়মিত ৩টি টাইম স্কেল পেয়ে ১৬ তম বছরে আমাদের বেতন বৃদ্ধির তুলনায় বর্তমান নিয়মে ১৬তম বছরে আমাদেরকে উল্টো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করা হলো।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৫ সালের পরবর্তী সাত বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও বর্তমান বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন আয়ের কর্মচারীরা অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে।

বর্তমান বৈষম্য দূরীকরণ এবং কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট বহু আবেদন-নিবেদনের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিষয়টি উপলব্ধি করে বৈষম্য নিরসনের জন্য এবং নতুন পে স্কেলের একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। দুর্ভাগ্য যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে প্রেরিত প্রস্তাবটি আজও আলোর মুখ দেখেনি।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ বিরাজ করে আসছে। এই অবস্থায় জাতীয় সংসদে দেওয়া অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে সারাদেশের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশা আরো বেড়ে গেছে ।

আকতার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্মচারীদের সুখ-দুঃখের কথা চিন্তা করে ১৯৭২ সনে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করেন এবং ১৯৭৩ সনে শত শত বেতন স্কেল কে বিলুপ্ত করে বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য ১০টি গ্রেডের একটি সুষম বেতন কাঠামো উপহার দিয়েছিলেন।

কিন্তু দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের। তারপর থেকেই কর্মচারীদের ভাগ্যে নেমে আসে অন্ধকারের ছায়া। সেই অন্ধকার থেকে আজ পর্যন্ত কর্মচারীরা আলোর মুখ দেখতে পায়নি।

আমরা আশাবাদী ছিলাম হয়তোবা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখাবেন। কিন্তু আমাদের দেখা স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।

তিনি বলেন, তবু আমি আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিষয়টি নিয়ে অতি দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত নিবেন । প্রজাতন্ত্রের সাধারণ কর্মচারীদের অবজ্ঞা আর বঞ্চনা অবসানের লক্ষ্যে সকলকে এক হয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী গত ১০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল বলেন, নতুন পে স্কেলের কোন পরিকল্পনা সরকারের এই মুহূর্তে নেই।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ডিভোর্স হয়নি, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী: সায়রা বানু

এ আর রহমান ও সায়রা বানু। ছবি: সংগৃহীত

অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের অসুস্থতার খবরের মধ্যেই সায়রা বানু ভক্তদের জন্য একটি চমক দিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত এক অডিও বার্তায় জানান, তাকে যেন ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া না হয়।

সায়রা বানু তার ভয়েস নোটে বলেন, ‘‘আসসালামু আলাইকুম। আমি এ আর রহমানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। শুনেছি, তার বুকে ব্যথা ছিল এবং তিনি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করিয়েছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন।’’

তিনি আরও জানান, ‘‘আমি সবার উদ্দেশে বলতে চাই, আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তালাকপ্রাপ্ত নই, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী। গত দুই বছর ধরে আমি ভালো বোধ করছিলাম না, তাই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাতে তার ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে। কিন্তু দয়া করে আমাকে ‘এক্স–ওয়াইফ’ বলবেন না। আমরা শুধু আলাদা থাকছি, তবে আমার দোয়া সব সময় তার সঙ্গে রয়েছে।’’

এ আর রহমান ও সায়রা বানু। ছবি: সংগৃহীত

এ আর রহমানের মুখপাত্রও জানান, সংগীত পরিচালক অসুস্থ অনুভব করায় তিনি হাসপাতালে চেকআপে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বলেন, রোজা রাখার কারণে পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন, যা তার অসুস্থতার মূল কারণ ছিল।

গত বছর এ আর রহমান ও সায়রা বানু বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন, তবে তারা তিন সন্তানের মা-বাবা হিসেবে একসঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

Header Ad
Header Ad

সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন গাজী জসীম উদ্দিন

সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন গাজী জসীম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে গাজী জসীম উদ্দিন।

সোমবার (১৭ মার্চ) সিআইডির ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিআইডি জানায়, রবিবার গাজী জসীম উদ্দিন সিআইডর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। গত ৯ মার্চ সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মতিউর রহমান শেখকে সিআইডি থেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বদলি করা হয়। এ অবস্থায় নতুন কোনো কর্মকর্তা সিআইডির দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত ডিআইজি গাজী জসীম উদ্দিন এ দায়িত্ব পালন করবেন।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, তদন্তে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রমাণ বিনষ্ট করার অভিযোগসহ পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন উক্ত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যম হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপিটি জমা দেন তারা।

স্মারকলিপিতে পরীক্ষার পূর্বে অতিদ্রুত তদন্ত করে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি বিনষ্ট করার চেষ্টা, অভিযোগের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীর খাতা জব্দ করা এবং আগামী পরীক্ষার পূর্বে অভিযুক্তের খাতার সাথে প্রমাণাদি মিলিয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন। পাশাপাশি, ৩০৬ কোর্সের বিফোর ফাইনালের ফলাফল অ্যাসাইনমেন্ট মিড নেওয়া ব্যতীত নাম্বারিং করার অভিযোগও করেন।

এ বিষয় উক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, 'আমরা ড্রাইভে লিংক নষ্ট হওয়াকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না। তাই তদন্তের বিষয় জানতে আমরা বিভাগীয় প্রধানের কাছে গেলে উনি আমাদেরকে একটি লিখিত দিতে বলেন। সেক্ষেত্রে আমরা লিখিত স্মারকলিপিটি রেজিস্ট্রার স্যারের কাছে জমা দিয়েছি।'

এ বিষয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান জানান, 'প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি নিয়ে এসেছিল। তারা এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেছে এবং আমি তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমরা স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। ইতোমধ্যে এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে এবং তাদের সিদ্ধান্ত ও উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাদের অবশ্যই যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।'

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের চলমান তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ উক্ত ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই শিক্ষককে তদন্ত চলাকালীন বাধ্যতামূলক ছুটি এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডিভোর্স হয়নি, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী: সায়রা বানু
সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন গাজী জসীম উদ্দিন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, তদন্তে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি
হামজা এখন বাংলাদেশে  
‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি  
কর্মবিরতি প্রত্যাহার, দেড় ঘণ্টা পর মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু  
মিরপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন  
ফারাজ করিম ও ফারহান করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  
সাড়ে ১১টায় সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন হামজা  
ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের  
কর্মবিরতিতে মেট্রোরেল কর্মীরা, বিনা টিকিটে ভ্রমণ করছে যাত্রীরা
ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়
‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়
যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল
ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়েকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ‘সোনিয়ার’ প্রতারণা, টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন
চুয়াডাঙ্গায় সার বীজ মনিটরিং কমিটির  সভা অনুষ্ঠিত
বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব অন্যায়-জুলুমের বিচার নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান
সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা
বাংলাদেশের নির্বাচন হবে আন্তর্জাতিক মানের, আশা ইউরোপীয় ইউনিয়নের