অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে হতাশ সরকারি কর্মচারীরা

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারীর সংহতি পরিষদের সভাপতি মো. নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া (মিলন) ও মহাসচিব মো. হেলাল উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ১০ জানুয়ারী জাতীয় সংসদে দেওয়া অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে হতাশ সরকারি কর্মচারী ও পরিবার।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন পে-স্কেল বা মহার্ঘ ভাতা প্রদানের কোনও পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে নতুন পে-স্কেলের ন্যায্য দাবি জানানোর পর নির্বাচনের বছরে এসে অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে হৃদয়ে আঘাত করেছে।
সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেছেন অতীতে সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বছর নির্ধারিত সরকারি বিধান অনুসারে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে ঘোষিত জাতীয় পে স্কেলে মূল বেতনের শতকরা ৫% হারে বেতন বৃদ্ধির বিধান করে সরকারি কর্মচারীদের একটি নির্ধারিত হারে নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ঘটে, যা সর্বস্তরের সরকারি কর্মচারীর জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে আসছে, বর্তমানে এ পে-স্কেলই বলবৎ। করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে বিশ্বের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সীমিত আয়ের মানুষের জীবনমান স্বাভাবিক রাখতে সরকার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে নিত্যপূর্ণ বিতরণ কার্যক্রম চালু করেছে। জনসাধারণের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণে সরকার সচেষ্ট। এ পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন পে স্কেল ঘোষনার পরিকল্পনা নেই।
অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যে সর্বস্তরের কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার নতুন পে-স্কেল ঘোষনার উদ্যোগ নেবে।
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর পর পর সরকারি কর্মচারীদের পে-স্কেল হওয়ার কথা। সরকার সর্বশেষ পে-স্কেল দিয়েছে ২০১৫ সালে। তারপর থেকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল সহ ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলেছে, সে তুলনায় নিম্ন আয়ের কর্মচারীদের বেতন বাড়েনি। তারা এখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রীর এ ধরনের ঘোষণা কর্মচারীরা সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না। গত দুইদিন সকল সরকারি দপ্তরে এটিই ছিল আলোচনার প্রধান বিষয়।
এনএইচবি/এএজেড
