অবৈধভাবে চুনাপাথর, নুড়িপাথর উত্তোলন বন্ধ করতে হবে
অবৈধভাবে চুনাপাথর, নুড়িপাথর উত্তোলন বন্ধ করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। যে প্রক্রিয়া নুড়িপাথর ও চুনাপাথর উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে সংসদে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব করা হয়। কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মোছা. খালেদা খানম এবং নার্গিস রহমান অংশগ্রহণ করেন।
কার্যপত্র থেকে জানাযায় জয়পুরহাট চুনাপাথর ক্ষেত্র ১৯৬১ সালে আবিস্কার হয়। এই ক্ষেত্রের গভীরতা ৫১৮ মিটার থেকে ৫৪৯ মিটার এবং গড় পুরুত্ব ১৫ মিটার। এই ক্ষেত্রে চুনাপাথর মজুদ রয়েছে ২৭০+ মিলিয়ন টন। আর তাজপুর নওগাঁ ক্ষেত্রটি আবিস্কার হয় ২০১৬ সালে এই ক্ষেত্রে গভীরতা ৬৭৫ মিটার হতে ৭০৫ মিটার এবং গড় পুরুত্ব ৩০ মিটার। এই ক্ষেত্রে চুনাপাথর মজুদ রয়েছে ১০০ এর অধিক মিলিয়ন টন। নুড়ি পাথর: সিলেট ক্ষেত্রে ৮০০+ মিলিয়ন টন, সুনামগঞ্জ ৬০০+ মিলিয়ন টন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ৫০০+ মিলিয়ন টন এবং পঞ্চগর ১০০+ টন নুড়িপাথর মজুদ রয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটি সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, সরকারিভাবে চুনাপাথর, নুড়িপাথর উত্তোলন হচ্ছে না। যেগুলো হচ্ছে সেগুলো অবৈধভাবে হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। অবৈধভাবে যেভাবে চুনাপাথর ও নুড়িপাথর উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এটা যেভাবেই হোক বন্ধ করতে হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশে খনিজ সম্পদের মজুদ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, গ্যাস ফিল্ডসমূহে উৎপাদিত গ্যাস ও অন্যান্য উপজাত দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা ও পদ্ধতি এবং ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন এবং চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ প্রকল্পদ্বয়ের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/