রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ | ২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়লেই জাতির পিতার রক্তের ঋণ শোধ হবে’

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেদিন গৃহহীন গৃহ পাবে, দেশের মানুষকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবো- সেটা হবে রক্তের ঋণ শোধ করা। একই সঙ্গে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে জাতির পিতার রক্তের ঋণ পরিশোধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি বলেছিলাম এদেশ স্বাধীন করে ছাড়বো, আজ দেশ স্বাধীন। তিনি বলেছিলেন, রক্ত দিয়ে হলেও এ রক্তের ঋণ আমি শোধ করে যাব। লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছে, একজন বাঙালী বেঁচে থাকতেও এদেশের স্বাধীনতা নষ্ট হতে দেব না। বাংলাদেশ পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে বেঁচে থাকবে, বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। তিনি তার রক্ত দিয়ে ঋণ শোধ করে গেছেন, এখন আমাদের পালা। আমাদের কর্তব্য তার রক্তের ঋণ শোধ করা।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন সংসদ নেতা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি-১৪৭ ধারায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের প্রবীণ সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও নূরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও রওশন আরা মান্নান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শপথ করছি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। সেটাই হবে জাতীর পিতার রক্তের ঋণ শোধ করা। দেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রেখে গেছেন। জিডিপি ৯ শতাংশে নিয়ে গিয়েছিলেন। কেউ এখনও তা স্পর্শ করতে পারেনি। আমরা ক্ষমতায় এসে ৮ শতাংশ পর্যন্ত নিতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো।

সংসদ নেতা বলেন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র তিন বছর পরে ১৯৭৩ সালে তিনি নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন জাতীয় ঐক্য, মানুষের উন্নয়ন। তিনি চেয়েছিলেন দারিদ্র মুক্ত উন্নত সম্মৃদ্ধ দেশ। এদেশের মানুষ যাতে দু বেলা দু মুঠা ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন এরশাদ, জিয়া, মোস্তাক। কই তারা তো মানুষের উন্নয়ন, দেশের উন্নয়ন করে যেতে পারেনি। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ খেতে পায়, দেশের উন্নয়ন করে।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যার্বনের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভুট্টো তার নিজের স্বার্থে টিকে থাকার জন্য এবং ভারতীয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রধানদের পাকিস্তানকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তারই প্রেক্ষিতে ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান। তিনি প্রথমেই লণ্ডনে যান। আমার মা শুধু মাত্র বলতে পেরেছিলেন.. ‘তুমি কি বেচে আছো’’ আর কোন কথা মা বলতে পারেন নি। ১০ জানুয়ারী তিনি ভারত ঘুরে দেশে ফিরে এসে প্রথমে পরিবারের কাছে না গিয়ে জনগণের কাছে যান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকেন। তাকে ফাঁসি দেবার জন্য কারাগারে কবর খোড়াও হয়। তবে আমাদের এ যুদ্ধ কিন্তু জনযুদ্ধ ছিল। সেই সাথে ভারতের মিত্র বাহিনীও আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে, হাজার হাজার ভারতীয় সেনাও মারা যান।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জাতির পিতা দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দেশের মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন। শোষিত বঞ্চিত মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন। এই বঞ্চিত মানুষগুলোর মুখে দু’বেলা দু মুঠো ভাত তুলে দিতে চেয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান সরকার ভাষার ওপর আঘাত আনলো, তিনি ভাষার অধিকার ফিরিয়ে আনতে ভাষা অন্দোলন শুরু করেন এবং সেই পথ ধরেই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু ইয়াহিয়া খান ও পাকিস্তানী চক্রান্ত ক্ষমতা হস্তান্তরে টাল বাহনা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। অভুতপূর্ব সাড়া দেয় সবাই। এই অত্যাচারের পরে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী দেশের মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। বঙ্গবন্ধু তা আগে থেকেই জানতেন, সেজন্য তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনে বলেন, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে, ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তিনি সে সময় স্বাধীনতার ঘোষনাও দেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সুচতুর ভাবে। তারই নির্দেশনা মত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ভারতে আশ্রয় নিয়ে সরকার গঠন করে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে বলেছিলেন, আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যাবে যদি অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে না পারি। তিনি শূন্য হাতে শোষন মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে ফিরে কী পেয়েছিলেন? রাস্তা নেই, ব্রিজ নেই, রেল নেই, খাদ্যগুদামে খাদ্য নেই, রিজার্ভ নেই, ব্যাংকে টাকা নাই-এমন একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম শুরু করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা, অসাংবিধানিক সরকারগুলো স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে। তারা এখনো স্বাধীনতা-সার্বভৈৗমিত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহতের আহ্বান জানান তিনি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু না জম্মালে আমরা এ দেশ পেতাম না, স্বাধীন পতাকা পেতাম না। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন এদেশ (পূর্ব পাকিস্তান) বাঙালীদের না। সে জন্য তিনি বার বার বাঙালী জাতিকে সব দিক থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে তিনি দেশের মানুষের মুক্তির জন্য যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই নির্দেশে বাঙালী জাতি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। তার পরে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়। তার ২৪ দিন পরে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়, তিনি ১০ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে এলে দেশের জনগণ পূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষ বড় ভালবাসতেন। তিনি বলতেন, মানুষের ওপর বিশ্বাস না হারাতে। সেই আপন ভাবা মানুষই তাকে শেষ পর্যন্ত হত্যা করে।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার জেল খানায় বন্দী করে হত্যা করার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতসহ বিশ্ব জনমতের চাপে তারা সেটা করতে পারিনি। তার পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করে এই বাঙালিরাই। এর পরে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশকে পিছিয়ে নেওয়া হয়।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে খুব বিশ্বাস করতেন। আর তার সেই বিশ্বাসের মূল্য দিতে হয় তাকে জীবন দিয়ে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল। যারা ভেবেছিল, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতের উপনিবেশ হবে। সে ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সাথে কোনো মিটমাট নয়। ওদের সাথে কোনো আপস নয়। ওদের ধ্বংস করেই সামনে এগুতে হবে। আরেক ধাপ সামনে এগুতে হলে ওদের ধ্বংস করতেই হবে। তিনি বলেন, বিএনপি জামাত জোট মিমাংসিত বিষয়কে অমিমাংসিত করার চক্রান্ত করে চলেছে। এরাই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, তারা এখনো দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, এদের বিষ দাঁত এখুনি ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মারার রাস্তা তৈরি করেন তারই কাছের মানুষেরা। একদল বিপথগামী স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠি দেশি বিদেশি চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুকে ব্র্যাকেটবন্ধী করে রাখার চেষ্টা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শুধু নিদিষ্ট একটি দলের নেতাকর্মীদের পিতা নয়, তিনি সমগ্র জাতির পিতা। তাই তাকে কেউ যাতে দলীয় ব্যানারে আবদ্ব করে রাখতে না পারে সে জন্য জাতির পিতার কন্যাদ্বয়কে তা নিশ্চিত করতে হবে।

সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি-১৪৭-এর প্রস্তাবনায় বলা হয়, সংসদের অভিমত এই যে, ১০ই জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালির জাতীয় জীবনে এক বিশেষ মহিমান্বিত দিবস। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ২৪ দিন পর পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব। বাঙালি জাতির জীবনে ১০ জানুয়ারি একটি বিশেষ তাৎপর্যবহ দিন। এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে, তার আদর্শকে বুকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করা হোক।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে এই সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রোববার (১৬ মার্চ) ইউজিসিতে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কী হবে, এ নিয়ে প্রতিনিধি দলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি মত আসে। তাদের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে মত দেন। তবে অন্য শিক্ষার্থীরা এই নাম চান না। তারা বলছেন, ঢাকা কলেজের পূর্ব নাম ছিল ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ। তারা ফেডারেল ইউনিভার্সিটি নামের পক্ষে মত দেন। পরে ইউজিসি তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলে। পরে তারা আলোচনা করে একটি নামের পক্ষে নিজেদের মত দেন।

এর আগে গত ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সাত কলেজের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের মতবিনিময় সভা আয়োজনের ঘোষণা দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রদানের লক্ষ্যে কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে ১৬ মার্চ সকাল ১০টায় প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট, দ্রুত কার্যকর চান আবরার ফাহাদের বাবা

আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বুয়েটে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখন সব প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত এ রায় কার্যকর দেখতে চাই।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

এ রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেবি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী ও আজিজুর রহমান দুলু উপস্থিত ছিলেন। আদালত কক্ষে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামিরই সাজা বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৫ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

Header Ad
Header Ad

ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ, রংপুরের সেই উপ-পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার

রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সার। ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ-বাণিজ্য ও থানায় মামলার বাদীকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পর রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে রংপুর মহানগর পুলিশ থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশের সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রংপুর মহানগর পুলিশের আরেক উপকমিশনার (অপরাধ) হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, রোববার শিবলী কায়সার যেন সদর দপ্তরে রিপোর্ট করেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগে থানায় মামলা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন এক ব্যবসায়ীর প্রতিনিধি। শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত কনস্টেবলের রাইফেল কেড়ে নিয়ে মামলা করতে যাওয়া ব্যক্তিকে বেধড়ক পিটুনির অভিযোগ ওঠে। নগরের কোতোয়ালি থানায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একটি অভ্যন্তরীণ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ঘটনার পর থানা-পুলিশ চাঁদাবাজির অভিযোগে ভুক্তভোগী ব্যক্তির একটি মামলা নিলেও আসামির তালিকায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে রাখা হয়নি।

মোহাম্মদ শিবলী কায়সার নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ‘অপরাধ’ থেকে প্রত্যাহার করে ‘ক্রাইম অ্যান্ড অপসে’ সংযুক্ত করা হয়। মামলার বাদীকে মারধর ও ঘুষ–বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উপমহাপরিদর্শক (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিমের স্বাক্ষরিত চিঠি। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত ১৩ নভেম্বর রংপুরের হারাগাছের ব্যবসায়ী লিপি খান ভরসার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলার পর রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক অমিত বণিকের মাধ্যমে লিপি খানের কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠে পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ১১ মার্চ পুলিশ সদর দপ্তরে শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন লিপি খান।

অভিযোগের সঙ্গে অমিত বণিকের সঙ্গে ঘুষ দাবির কথোপকথনের কয়েকটি অডিও রেকর্ড জমা দেন লিপি খান। এর পর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে অমিত বণিককে থানায় ডেকে নেয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে লিপি খানের পক্ষে কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে যান তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক পলাশ হাসান (২৭)। ওই দিন বিকেল পাঁচটার দিকে থানায় যান উপপুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সার। তখন থানায় আরেক উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের ভাষ্য, শিবলী কায়সার থানায় ঢুকেই পলাশ হাসানের ওপর চড়াও হন এবং তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে কর্তব্যরত কনস্টেবলের রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাঁকে (পলাশ) গুলি করতে উদ্যত হন। পরে চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় মামলা নেওয়া হলেও এতে আসামি করা হয় শুধু অমিত বণিককে। মামলায় আগে থেকেই থানা হেফাজতে থাকা অমিত বণিককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

তদন্ত সূত্রগুলো জানায়, শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে হেডকোয়ার্টার্সে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৩মার্চ) বিকেলে শিবলী কায়সারকে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) থেকে বদলি করে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) পদে সংযুক্ত করা হয়।

তদন্ত সূত্রগুলো আরও জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিএনপি, জামায়াত এবং শিক্ষার্থীদের নামে হওয়া মামলাগুলো ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দিলেও ওই কর্মকর্তা তা না দিয়ে কালক্ষেপণ করেন। সেই সময়কার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বার বার তাকে বললেও তিনি অপেশাদার আচরণ করেন।

এ বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, থানার ঘটনার সাধারণ ডায়েরি হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হয়েছে। এরপর তাকে হেড কোয়ার্টার্সে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি সদর দফতর বলতে পারবে।

তিনি আরও জানান, লিপি খানকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলা ছাড়াও নিজের নাম মামলা থেকে বাদ দিতে অর্থ লেনদেনের যোগসাজেশের অভিযোগ রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’
হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট, দ্রুত কার্যকর চান আবরার ফাহাদের বাবা
ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ, রংপুরের সেই উপ-পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার
আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব
বই ছাপার কাজ শেষ, আজ রাতেই শুরু হবে বিতরণ  
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা চলছে
কার জন্য 'সতর্কবার্তা' দিলেন পরীমণি
ঈদে বাড়ি ফিরতে ২৬শে মার্চের ট্রেনের টিকিট মিলবে আজ  
৬৬ দিনে ধরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা পান্নুর, মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ  
ঈদের পরই দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া  
জামালপুরে ২ মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আটক  
টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের লজ্জার রেকর্ড    
যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া
ইয়েমেনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
হেলিকপ্টারে মাগুরা যাওয়ায় সমালোচনা, সারজিস বললেন ‘সিট খালি ছিল’
নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও কুসুম্বা মসজিদ পরিদর্শন করলেন চীনা প্রতিনিধি দল
দেশে ঈদ কবে হতে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস
ফেনীতে শিশুকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে
সংস্কারের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা দৃশ্যমান নয়: মির্জা আব্বাস