রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা বাংলাদেশের
রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে সিঙ্গাপুর এবং আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনকালে এ সহায়তা কামনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং নিজ নিজ দেশের মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য সিঙ্গাপুর সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে সিঙ্গাপুর এবং আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন যাতে তাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা যায়।
ড. ভিভিয়ান আশ্বস্ত করেন যে সিঙ্গাপুর এই ইস্যুতে নিযুক্ত থাকবে এবং সংকটের একটি টেকসই সমাধানের জন্য অব্যাহত সমর্থন থাকবে।
ড. মোমেন চলমান কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীদের প্রতি সিঙ্গাপুর সরকারের ক্রমাগত সহায়তা সন্তুষ্টির সঙ্গে উল্লেখ করেন। তিনি আরও পরামর্শ দেন যে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে তাদের স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য পরিষেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের কথা বিবেচনা করতে পারে।
আলাপকালে ড. মোমেন দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্তৃত দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার জন্য সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সমন্বয় অন্বেষণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হন।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন যে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে এফটিএ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরও বৃদ্ধি করে পারস্পরিকভাবে উপকারী হবে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এফটিএ তাড়াতাড়ি শেষ করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সম্মত হন।
ড. মোমেন দেশে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ সঞ্চালন খাতে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীরা আরও বিনিয়োগ করতে পারেন বলে জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ড. বালাকৃষ্ণানও দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন শুরু করতে সিঙ্গাপুরে আনুষ্ঠানিক সফরের জন্য ড. মোমেনকে আমন্ত্রণ জানান।
আরইউ/এমএমএ/