২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট ও সমৃদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

কোনো প্রতিবন্ধকতা যেন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বাধা না হয় এ জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও সব বাধা ডিঙিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট ও সমৃদ্ধ হবে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন বর্ণিল প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জন করা যেকোনো বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা ইতোমধ্যে পুলিশ অর্জন করেছে। করোনা পরবর্তী যুদ্ধ আর পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা না হলে বাংলাদেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যেত।’
পুলিশের কল্যাণে নেওয়া তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভাগীয় শহরে সরকার পুলিশ হাসপাতাল করার পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলের পাশাপাশি বিদেশি শান্তি মিশনেও গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।’ দেশের মানুষের সেবায় এই বাহিনীর সদস্যদের আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, তার সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছে, সেখানে প্রত্যেক নাগরিক হবে প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ। তাই পুলিশ বাহিনীকেও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি যুগোপযোগী বাহিনী হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, পুলিশের ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এবছর ১১৫ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম দেওয়া হয়। এ বছর র্যাব থেকে পদক পেয়েছেন ১৮ জন সদস্য। আর কর্মক্ষেত্রে জীবন আত্মত্যাগ করেছেন এমন চারজনকে দেওয়া হচ্ছে বিপিএম সাহসিকতা পদক।
কেএম/আরএ/
