দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশকে পরিচালনা করতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। সে লক্ষ্যে উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলতে হবে যেন পিছিয়ে না পড়ি।’
সোমবার (২৮ নভেম্বর) ২০২২ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শুরু হবে তখন দেশেও যেন আমরা সেই উপযোগী দক্ষ জনবল পাই তার জন্য এখন থেকেই শিক্ষাব্যবস্থায় উদ্যোগ নিতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষা ছাড়া আমরা দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারব না। আমরা এমডিজি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি। এসডিজিও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তা ছাড়া, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই উন্নয়নশীল দেশ পরিচালনার কার্যক্রমে আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। সে লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে, যেন পিছিয়ে না পড়ি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বহুমুখী শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে দেশ লাভবান হবে। করোনা মহামারির মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে বলে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘ভালো ভালো কতগুলো স্কুল আছে। আমাদের অনেকের ধারণা ওইসব স্কুলে না পড়লে পড়াশোনাই করা হয় না। দেশের বহু জ্ঞানী, বিজ্ঞানী, নেতা, পাকিস্তান আমলের বহু সিএসপি অফিসার জেলা স্কুল থেকে পাস করেই হয়েছে। জানি না এখন কোথা থেকে এমন ধারণা এসেছে যে মাত্র কয়েকটি স্কুল আছে যেখানে না পড়লে পড়া হয় না। এই মানসিকতা বদলাতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জেলা স্কুলগুলো তো সব সময়ই খুব ভালো স্কুল ছিল। আমাদের এখনো যারা আছে তাদের বেশিরভাগ তো ওখান থেকেই পাস করে আসছে। তাহলে সেই স্কুলকে খাটো করে দেখা বা দুই-একটা নামের ওপরে চলা…।’
সবচেয়ে ভালো ছেলে-মেয়েরা যেখানে ভর্তি হবে সেখান থেকে তো ভালো রেজাল্ট আসবেই-এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি কেউ গাধা পিটিয়ে মানুষ করতে পারে তাকে আমি ক্রেডিট দেই। যে কিছু জানে না তাকে ভালো শিক্ষা যারা দিতে পারবে আমার মনে হয় তাদেরকে একটু বিশেষভাবে সমর্থন দেওয়া ও পুরস্কৃত করা উচিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মহামারি নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও বাংলাদেশ আগে থেকেই সাবধান হয়েছে। আমাদেরকে আরও সাবধান হতে হবে। সব ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে, সাশ্রয়ী হতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সে ব্যবস্থাটা আমাদের নিতে হবে। আমরা সেটা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি, যেন কোনোমতেই আমরা পিছিয়ে না যাই।’
পরীক্ষায় কৃতকার্যদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদেরকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কেন ছেলেমেয়েরা ফেল করবে? ফেল করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। না পড়লে তো ফেল করবেই। কাজেই এটা মাথায় রেখে সবাইকে পড়তে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারপ্রধানের হাতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের কপি তুলে দেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রীর পর বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এনএইচবি/এমএমএ/
