জঙ্গি ছিনতাই: আহত পুলিশ সদস্য আজাদ বরখাস্ত

পুরান ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য নূরে আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন কনস্টেবল নূরে আজাদের চোখে-মুখে স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ নিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাত পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
উপপুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন আরও বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নূরে আজাদসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। নূরে আজাদ শনিবার (২৬ নভেম্বর) ডিউটিতে যোগদান করেন। তার সঙ্গে চার পুলিশ সদস্য ঘটনার দিন ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু তিনি একাই চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ডিউটিতে চারজন থাকা শর্তেও তিনি কেন একাই চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা তদন্তের বিষয়। কমিশনারের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন হবে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অপর পুলিশ সদস্যরা হলেন— সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভূঁইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফ হাসান, জয়নাল ও আব্দুস সাত্তার।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এ সময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৭-৮ জনকে। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করতে ঢাকাজুড়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় এক সহযোগী জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে বাকি দুজন এখনো পলাতক রয়েছে।
কেএম/আরএ/
