২ জঙ্গি এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় দীপন স্মৃতি সংসদের উদ্বেগ

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দীপন স্মৃতি সংসদ।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সংগঠনটির সদস্য সচিব ডা. রাজিয়া রহমান জলি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
তারা বলছে, প্রযুক্তি এত উন্নত হওয়ার পরও প্রসাশনের লোক দুই দিনেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারাটা দুঃখজনক।
বিজ্ঞপ্তিত বলা হয়, রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে প্রকাশ্যে সিএমএম কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে একজন পুলিশ কনস্টেবলের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রকাশক দীপন হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অস্বাভাবিক ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত, বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। আদালতের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোনো প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া শুধু পেপার স্প্রে ব্যবহার করে শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম যানজটপূর্ণ এলাকা থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার অস্বাভাবিক ঘটনা রাষ্ট্র ও সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তায় অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের চরম অবহেলা, অসতর্কতা বা সহযোগিতায় প্রশিক্ষিত জঙ্গিগোষ্ঠীর নিখুঁত পরিকল্পনা সহজতরভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় দীপন স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
জঙ্গি সদস্যদের সঙ্গে কারাবন্দী আসামিদের সুপরিকল্পিত যোগাযোগ কীভাবে ঘটে সে বিষয়টিও তদন্তের দাবি জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে উপস্থাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে আসামি পরিবহনের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাধারণ একজন আসামির জন্য তিনজন ও জঙ্গিদের ক্ষেত্রে চারজন পুলিশ রাখার বিধান রয়েছে। ২০ নভেম্বর দীপন এবং অভিজিৎ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জন আসামিকে অন্য একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে চার আসামিকে ১৬ জনের পরিবর্তে মাত্র একজন পুলিশ কনস্টেবল দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন আসামিকে ছিনতাই করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়।
কেএম/এমএমএ/
