জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রশংসা জন কেরির

জলবায়ু বিষয়ক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে লেখা সাম্প্রতিক এক চিঠিতে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ অক্টোবর লেখা চিঠিতে জন কেরি নতুন আইন মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইন (IRA) সহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাইডেন প্রশাসনের বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও তুলে ধরেন।
জলবায়ু সংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপ এবং লক্ষ্যগুলোর জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করার সময় জন কেরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জলবায়ু উদ্যোগে যোগদানেরও আহ্বান জানান যাতে বাংলাদেশ অন্যান্য বৃহৎ নির্গমনকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক উদাহরণ স্থাপন করতে পারে এবং বিশ্ব জলবায়ু প্রক্রিয়ায় অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে তাদের উত্সাহিত করতে পারে।
জন কেরি গত বছর গ্লাসগোতে কপ-২৬-এর আগে জমা দেওয়া উচ্চাভিলাষী ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের (এনডিসি) জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং এই বছরের নভেম্বরে মিশরে কপ-২৭-এর আগে আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এনডিসি লক্ষ্য বাস্তবায়নের উপায় খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের সমর্থনেরও আশ্বাস দেন।
চিঠিতে বিশেষ দূত জন কেরি গত বছর দশটি নতুন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করার ঘোষণার জন্য বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি ক্লিন এজ এশিয়া ইনিশিয়েটিভসহ বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা, ক্লিন এনার্জি এবং এনার্জি এক্সেস লক্ষ্যের জন্য মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব এনার্জি রিসোর্সেস বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি এবং প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ল্যাবরেটরির মধ্যে একটি নতুন অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য উন্মুখ হয়ে কাজ করছে এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির বর্ধিত ব্যবহারকে সমর্থন করার জন্য গ্রিডের স্থিতিশীলতা এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছে।
জন কেরি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে কৃষি উদ্ভাবন মিশন ফর ক্লাইমেটে (AIM4C) যোগদান করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মহাসাগর সম্মেলনে গৃহীত প্রতিশ্রুতির জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
আরইউ/আরএ/
