সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘ইসি-মাঠ প্রশাসন দূরত্ব ঘোচাতে না পারলে বুমেরাং হবে’

মাঠ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে দূরত্ব জাতীয় নির্বাচনসহ যেকোনো নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই দূরত্ব কমিয়ে আনার উপর জোর দিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন কমিশন ও মাঠ প্রশাসনের মধ্যে বিদ্যমান দূরত্ব কমিয়ে এনে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা জরুরি। এ জন্য প্রয়োজনে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আরও বেশি বেশি বসতে হবে, তাদের সঙ্গে কথা বলে সব ঠিক করতে হবে। না হলে বুমেরাং হয়ে যাবে বলেও মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনাররা।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের একটি বৈঠকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। একজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে একটি বক্তব্য নিয়ে মাঠ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সেই বৈরী সম্পর্ক এখনো বরফ গলেনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাংবাবিধানিকভাবে নির্বাচন পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধান অনুষঙ্গ মাঠ প্রশাসন। আর একটু পরিষ্কার করে বললে পুলিশ। যেকোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পুলিশ প্রশাসনকে দল নিরপেক্ষ হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন আর মাঠ প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক।

গত ৮ অক্টোবর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের কথা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, কর্মকর্তারা নানা সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের যে তেল খরচ দেওয়া হয়, সেটাও অনেক সময় তাঁদের (ম্যাজিস্ট্রেট) কাছে পৌঁছায় না। তখন বেশ কয়েকজন ডিসি এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় কিছুটা হট্টগোলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন আনিছুর রহমান বলেন, তিনি তথ্য-প্রমাণ নিয়েই কথা বলছেন। যদি কর্মকর্তারা তার বক্তব্য শুনতে না চান, তাহলে তিনি বক্তব্য দেবেন না। কর্মকর্তারা তার বক্তব্য শুনতে চান কি না, এমন প্রশ্ন রাখলে কেউ কেউ ‘না’ সূচক জবাব দেন। তখন বক্তব্য বন্ধ করে দেন আনিছুর রহমান।

সেদিনের ঘটনার পর ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনের নির্লিপ্ততা স্পষ্ট হয়ে ওঠে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এর বক্তব্যে।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে সিসিটিভিতে ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখার পর ভোট-কক্ষে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ‘কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। কাজেই নির্বাচন বন্ধ করা কমিশনের ‘হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না।’

প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনে ভোট হয়। গত ১২ অক্টোবর ভোটে ১৪৫টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ইভিএমে ভোট-গ্রহণ চলছিল।

সবগুলো কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ঢাকার নির্বাচন ভবনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল ভোটের পরিস্থিতি। সেখানে নানা অনিয়মের ঘটনা সরাসরি দেখে দুপুরের মধ্যেই অর্ধশত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি। বেলা আড়াইটার দিকে পুরো নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশনাররা। একই সঙ্গে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসা শুনছেন সিইসি।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ‘যখন ভোটের কোনো সম্মান নাই, ভোটাররা ভোট দিতে পারে না, আর একজন ভোট দিয়ে দেয়, ধরা পড়ে, তখন ইলেকশন কমিশন চুপ করে বসে থাকবে কীভাবে? নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আছে। তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন তো বাংলাদেশের সরকারের ইলেকশন কমিশন না। এটা বাংলাদেশের ইলেকশন কমিশন। ইলেকশন কমিশন স্বাধীন সংস্থা। তাদের চোখের সামনে ধরা পড়েছে ভোট দিতে পারছে না। নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা বলেছি যদি দরকার হয় বারবার বন্ধ করবেন। তবুও জাতিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন।’

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বলেন, মাঠ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে ভালো সমন্বয়ের উদ্যোগ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করতে হবে, আলোচনা করতে হবে। এই দূরত্ব রাখা যাবে না।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে একটা ডেমনস্ট্রেশন দেখলাম। ডিসিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বাগবিতণ্ডা। যেটা আগে হয়নি কখনও। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের আস্থায় আনতে হবে। ডিসিদেরও আস্থায় আনতে হবে যে আপনারা প্রটেকশন দিচ্ছেন নির্বাচনের সময়।’

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, হট্টগোল করার দরকার নাই। প্ল্যানিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার পর্যন্ত একটা টিম। এই টিম গঠনে জোর দিতে হবে। আমরা লক্ষ্য করেছি কোথাও কোনো একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। এটা দূর করতে হবে। ডিসি-এসপিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নাই। নির্বাচন কমিশন একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। ডিসি-এসপিদের সঙ্গে এমনকি পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত টিম গঠন করতে হবে। টিম ওয়ার্ক না করলে ভালো ভোট করা মুশকিল।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

দুই ঘণ্টায় স্বদেশে ফিরলেন ২ লাখ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইল নেটজারিম করিডোর খুলে দেয়ার পর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে উত্তর গাজায় ফিরেছেন প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি। দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তারা প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।

ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিরা কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে এবং কোলে সন্তানদের নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে হাঁটছেন। তবে যারা যানবাহনে করে যাচ্ছেন তাদের চেকপয়েন্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

গাজার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করিডোর খোলার পর দুই ঘণ্টার মধ্যেই হেঁটে অন্তত ২ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ উত্তর গাজায় ফিরে এসেছেন। তবে তাদের অধিকাংশই বাড়ি ফিরে ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছেন না। তবুও তাদের চোখেমুখে ছিল ফিরে আসার আনন্দ।

কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ফিরতে থাকা ১৯ বছর বয়সী আহমেদ জানান, তিনি ১৫ মাস ধরে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তিনি বলেন, “আমরা ক্লান্ত, আমরা আমাদের পরিবারের কাছে যেতে চাই। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”

ফিলিস্তিনিরা শনিবার (২৫ জানুয়ারি) উত্তর গাজায় ফিরতে প্রস্তুত থাকলেও ইসরাইলি জিম্মি আরবেল ইয়েহুদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের কারণে তারা আটকে পড়েন। অবশেষে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় পায়ে হেঁটে এবং সকাল ৯টায় যানবাহনে করে তাদের পার হতে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করে। টানা ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। তবে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি

Header Ad
Header Ad

ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ১১ জনই আ:লীগ নেতা  

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া দাওয়াতপত্র। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২৯ ও ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকা সম্বলিত একটি দাওয়াতপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ১৭ জন অতিথির মধ্যে ১১ জন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা।

এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দাওয়াতপত্রে যাদের অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের ১১ জনের মধ্যে শরিসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোঃ আজমল আল বাহার বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সোবাহান, সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মতিয়ার রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ হোসেন আলী, আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জন।

বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, শরিসা ইউনিয়ন বিএএনপির সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক রেজাউল আলম হুমায়ুন স্যারের পরার্মশে এমন চিঠি করা হয়েছে। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন। সেখানে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের নাম রয়েছে। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান আসলে দল বিবেচনা করে নয় অতিথিদের সম্মান জানানো হয়েছে।

রাশেদুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শরিসা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি এ দাওয়াতপত্র ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, আজ একটি জিনিস দেখে খুবই অবাক লাগলো। আমাদের বহলাডাঙ্গা হাই স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা আগামী ২৯ ও ৩০ তারিখ। এখানে একটা চিঠি ইস্যু করা হয়েছে ১৭ জনের নামের মধ্যে ১০-১১ জনই আওয়ামী লীগ, শুধু আওয়ামী লীগ বললেই হবে না, এখানে আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, থানা কমিটির মেম্বার সবাইকেই রাখা হয়েছে। সরিষা ইউনিয়নে কি আমাদের বিএনপি‍‍`র লোকজন নাই নাকি? আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা আমরা সাধারণ বিএনপি জানতে চাই।

এ পোস্টের অসংখ্য কমেন্টের মধ্যে বেশ কিছু কমেন্ট আলোচিত তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের পূর্নবাসন করতেই এমন কাজ করছে। তারুন্যের উৎসবে নেই, কোন তারুন্যে আছে, শুধু আওয়ামী লীগের পূর্নবাসনের কার্যক্রম।

এ ব্যাপারে শরিসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল আলম হুমায়ুন বলেন, আমিসহ প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মিলেই এ চিঠি করা হয়েছে। আমি একটা শালিসে আছি, পরে কথা বলব।

এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। সকল স্কুলের দাওয়াত পত্রও আমরা পাই না।

Header Ad
Header Ad

বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা  

বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা । ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্ব ইজতেমায় যাতায়াত নির্বিঘ্ন এবং যথাস্থানে যানবাহন পার্কিং করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশগামীদের জন্যও নির্দেশনা রয়েছে।

আজ সোমবার ডিএমপি’র উপ-কমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আখেরী মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কার্ভাডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর, ধউড় ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।

অনুরূপভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আগত যানবাহনসমূহ কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়ীবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আগত যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে।

আখেরী মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আগত যানবাহন সমূহ কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামি) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামি) ব্যবহার করবেন। কোনভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না।

আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহনের চালকগণ বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন।

ঢাকা মহানগর থেকে যে সকল মুসল্লিগণ পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তারা তুরাগ নদীর উপরে নির্মিত পল্টুন ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন।

বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেয়ার জন্য আখেরী মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ- ২ এবং নিকুঞ্জ-১ গেট হতে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা প্রদান করা হবে।

নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লীবাহী যানবাহন পার্কিং এর সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রীগণ ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।

মুসল্লীবাহী প্রতিটি যানবাহনের দৃশ্যমান স্থানে চালকের নাম এবং মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকতে হবে। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইওভারের নিচে আব্দুল্লাহপুর বেইলী ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সকল যানবাহন চালকদের আজমপুর থেকে ফ্লাইওভার ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে ফ্লাইওভার দিয়ে পারাপার না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। খিলক্ষেত হতে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে পার্কিং করা যাবে না।

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গাড়ি পার্কিং ও চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা

ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহন নিম্নবর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবেন:

ঢাকা ও চট্টগাম বিভাগ থেকে আসা গাড়ি- ১৫নং সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫নং ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নং সেক্টর উলুদাহ মাঠ এলাকায় পার্কিং করবে।

সিলেট ও খুলনা বিভাগ থেকে আসা গাড়ি:
উত্তরাস্থ ১৫নং সেক্টর লেকপাড় মাঠে পার্কিং করবে। রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের গাড়ি: ১০নং ব্রিজ এবং ১১নং ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্ব, ১৬নং সেক্টরের ভিতরে এবং বউবাজার মাঠে পার্কিং করবে।

বরিশাল বিভাগ থেকে আসা গাড়ি:
ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন এলাকায় পার্কিং করবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরী গাড়িগুলো ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গায় পার্কিং করবে।

ভাইভারশন সংক্রান্ত তথ্য ডাইভারশন পয়েন্টসমূহ:
শুধুমাত্র আখেরী মোনাজাতের দিন অর্থাৎ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪টা থেকে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত ধর্মপ্রাণ নাগরিকবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই ঘণ্টায় স্বদেশে ফিরলেন ২ লাখ ফিলিস্তিনি
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ১১ জনই আ:লীগ নেতা  
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা  
ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত: আইন উপদেষ্টা
এবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
প্লে অফে এক পা রাজশাহীর  
সীমান্তের ওপারে মাদকের বাঙ্কার: বাংলাদেশে পাচারের আগেই ধরা পড়লো বিশাল চালান
ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদি  
সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাবির বাস চলতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি
টাঙ্গাইলে গুড়িয়ে দেওয়া হলো সীসা তৈরি কারখানা
কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে: জামায়াত সেক্রেটারি
নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের  
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে ক্লাসে ফিরিয়ে দিন : চরমোনাই পীর  
‘‘বেতনে না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান’’ সংবাদের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ক্ষমতার লোভে তরুণ প্রজন্মকে কেনা সম্ভব নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ
বিচারপতি মানিকের মৃত্যু! যা জানা গেলো
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে বললেন ছাত্রশিবির  
মালানের তান্ডবে খুলনাকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল
বাজেটে তামাক-কর ও দাম বাড়ানোর দাবি