শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুসাংবাদিকতার প্রত্যয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর আত্মপ্রকাশ

পাঠকের আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়ে ঢাকাপ্রকাশ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে: স্পিকার

পাঠকের আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়েই ঢাকাপ্রকাশ তাদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত কোনো পছন্দ-অপছন্দ যেন কোনো ঘটনাকে প্রভাবিত না করে সেভাবে সংবাদ উপস্থাপন করবেন তাহলেই সেটি বস্তুনিষ্ট হবে।

স্পিকার বলেন, ‘আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ দিয়ে তথ্য প্রভাবিত হলে সেটি হয়তো সাবজেকটিভ হয়ে যাবে অথবা একপেশে হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সেটির অবজেকটিভিটিটা হারিয়ে যাবে। আমি সব সময় মনে করি, যারা সংবাদ পড়বেন, যারা এই অনলাইনে যুক্ত হয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর খবরগুলো দেখবেন তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, তাদের চাওয়া-পাওয়া, তাদের প্রত্যাশা পূরণ হওয়া খুব জরুরি। ঢাকাপ্রকাশ সেই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

বুধবার মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল ঢাকাপ্রকাশ-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এ কথা বলেন। বক্তৃতা শেষে স্পিকার ঢাকাপ্রকাশ-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিক, লেখক, কবি-সাহিত্যিক, অভিনয়শিল্পী, সংগীত শিল্পী ও সুধী সমাজের প্রতিনিধিগণ।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আজ একটি বিশেষ সময়ে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রথম দিনে। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে আজকের দিনটি।’

তিনি বলেন, ‘সততাই শক্তি সুসাংবাদিকতায় মুক্তি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ যাত্রা শুরু করেছে এবং কেনো তারা এই বিশেষ প্রতিপাদ্যকে বেছে নিয়েছেন? সেই বিষয়টি এই পত্রিকার সম্পাদক বলেছেন। সততাই শক্তি এই কথাটি কিন্তু শাশ্বত সত্য সকল ক্ষেত্রে, পাশাপাশি এটিও সত্য যে, কঠিনেরে ভালবাসি। যখনই সততার পক্ষে আপনার অবস্থান তখেই তার সঙ্গে এটিও মনে রাখতে হবে যে, সেই সততা এবং সত্য কঠিনের পথটিই আপনি বেছে নিয়েছেন। সেটি প্রকাশের স্বার্থে যদি কোনো চ্যালেঞ্জ আপনাকে মোকাবেলা করতে হয় বা চ্যালেঞ্জের সন্মুখীন হতে হয় তাহলে তা হতেও আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

স্পিকার আরও বলেন, ‘বর্তমান যে তথ্য প্রবাহের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এবং বিশ্বায়নের যুগে সেখানে সবার হাতে স্মার্টফোন, সেল ফোন, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি। তার মানে আমরা সমগ্র বিশ্বে একটা বড় নেটওয়ার্কের বেড়াজালে আবদ্ধ। আমরা চাইলেও সেখান থেকে বের হতে পারি না। সে কারণে প্রতি মুহূর্তের সংবাদ কোথায় কি হচ্ছে, কখন কোথায় কি ঘটছে, মুহূর্তের মধ্যে আমাদের সামনে চলে আসে। সেটি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান হোক বা কারো মৃত্যু দিবসে দোয়া মাহফিল হোক। আমাদের অফিসের কাজেই থাকি অর্থাৎ সংবাদকে অবজ্ঞা করার আজ আর কোনো সুযোগ নেই। এখন আর কোনো খবর পাড়ার জন্য পরদিন সকাল পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হয় না।’

তিনি বলেন, ‘আগের দিনই আপনি আগামীকালের অনেক খবর জেনে ফেলতে পারছেন। তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে সংবাদের এই ধারাটি সম্ভব হয়েছে। সে কারণে সংবাদগুলোর যথার্থতা, বস্তুনিষ্টতা এবং সততা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এখানে বলা হয়েছে, সংবাদ মানে কোনো একটি বিষয়ে তথ্য দেওয়া। এই তথ্যের মাধ্যমে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমি সকাল বেলা বের হব কি-না? আবহাওয়া বার্তাটা যদি দেখে বের হই তাহলে সকালে ছাতা নিয়ে বের হব কি-না? বৃষ্টি নামবে কি-না? এই বিষয়টা কিন্তু তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব। এখন আবহাওয়া বার্তাটি ঠিক না হলে আমি যে প্রস্তুতিটি গ্রহণ করছি সেটিও ঠিক হবে না। মানুষকে যে সংবাদপত্রের মাধ্যমে বা অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে আপনি তথ্য পরিবেশন করছেন সেটির যথার্থতা খুবই জরুরি। সেটির সঠিক এবং বস্তুনিষ্টতা খুবই জরুরি।

তিনি আরও বলেন, যাদের জন্য আপনি সংবাদ প্রকাশ করছেন তারা কি বলতে চায়? তারা কি জানতে চায়, তাদের আগ্রহের বিষগুলোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। তাহলেই আজকের এই প্রতিযোগিতার যুগে আপনার পত্রিকাতে কেনো একজন পাঠক যুক্ত হবে। অর্থাৎ পাঠকের কাছে চয়েজ আছে। কাজেই কোন অনলাইন পত্রিকায় যুক্ত হবে যেটি পড়ে তার প্রত্যাশার জায়গা পূরণ হবে, তিনি কিন্তু সেটিই পড়ছেন। কাজেই ঢাকাপ্রকাশ মূল জায়গায় স্থান করে নিতে চাইলে বস্তুনিষ্ঠতাটি ঠিক রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম কি চায়, তারা কি পড়তে চায়, কি দেখতে চায় সেগুলো গুরুত্ব দিতে হবে।

স্পিকার বলেন, ‘সঠিক খবর প্রকাশ, বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশন করা, দাঁয়িত্বশীলতার সঙ্গে খবর পরিবেশন করার বিষয়টি মনে রাখবে ঢাকাপ্রকাশ এবং জনকল্যাণের খবর পরিবেশন করবে। যা মানুষের কল্যাণ, সমাজের কল্যাণ এবং জাতীয় জীবনের কল্যাণ বয়ে আনবে।

তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় নিরপেক্ষতার বিষয়টি আসে। কিন্তু সব বিষয়ে তো আমি নিরপেক্ষ হতে চাই না। আমার জীবনে আপনার জীবনে অনেক মূল্যবোধ আছে, যার পাশে আমরা শক্ত অবস্থানে দাঁড়াতে চাই। আমাদের স্বাধীনতার চেতনা আমাদের অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা-এইখানে তো নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই। সব সময় এর পক্ষে আমার অবস্থান। কাজেই প্রতিটি মানুষের জীবনে, প্রতিটি জাতির জীবনে এমন কিছু মূল্যবোধ আছে এমন কিছু বিশ্বাসের জায়গা আছে সেখানে নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই। সেখানে আমাকে সেই পক্ষে অবস্থান নিয়ে থাকতে হবে এবং এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা প্রকাশের কাছে অনুরোধ আপনারা মানুষের কল্যাণে যে খবর তা পরিবশেন করবেন। আপনাদের অনলাইন পত্রিকা মানুষের কথা বলবে। মানুষের আস্থা এবং ভালবাসা অর্জন করবে এবং মানুষের আস্থা, পাঠাকের আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়েই আপনাদের শ্রেষ্টত্ব অর্জিত হবে। আপনাদের পথ চলা শুভ হোক, সফল হোক।’

সততা ও সুসাংবাদিকতা চর্চার ব্রত নিয়ে এগুতে চায় ঢাকা প্রকাশ। এজন্য বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে কর্মরত আছেন একঝাঁক তরুণ ও মেধাবী সাংবাদিক।

গত ১ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকাপ্রকাশের লোগো উন্মোচন করা হয়। সাতজন বিশিষ্ট সম্পাদক ঢাকা প্রকাশের লোগো উন্মোচন করেন। এরপর থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের শতাধিক বিশিষ্টজন ঢাকাপ্রকাশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

সম্পূর্ণ নতুন একটি ধারা নিয়ে এসেছে ঢাকাপ্রকাশ। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল। টেক্সট নিউজের পাশাপাশি পোর্টালটিতে থাকছে অডিও এবং ভিডিও নিউজ। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে থাকছে টকশো।

এ ছাড়া থাকবে ই-পেপার। প্রতিদিনের সংবাদ দিয়ে দিন শেষে হবে ই-পেপার। পাঠক ছাপা পত্রিকার স্বাদ পাবে ঢাকাপ্রকাশের ই-পেপারে।

এসএম/আরইউ/এএন

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি