জাতিসংঘের ইজিডি জরিপে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ

জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট জরিপে বাংলাদেশ ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১১তম স্থান অর্জন করেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের স্থান ছিল ১১৯তম। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ১১৫তম অবস্থানে ছিল।
জাতিসংঘের এ জরিপে দেখা যায়, এ বছর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৫৬৩০ স্কোর পেয়ে শীর্ষে আছে।
এরপর ভুটান শূন্য দশমিক ৫৫২১, রুয়ান্ডা শূন্য দশমিক ৫৪৮৯, নেপাল শূন্য দশমিক ৫১১৭ এবং কম্বোডিয়া শূন্য দশমিক ৫০৫৬ স্কোর পেয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ২০২২ সালের জরিপের তথ্য প্রকাশ করে। জাতিসংঘের ১২তম জরিপটি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে প্রকাশ করা হয়।
জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট জরিপটি অনলাইনে ই-পার্টিসিপেশন, অনলাইনে সেবা প্রদান, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং মানবসম্পদকে মূল্যায়ন করে করা হয়। ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স (ইউএনডিইএসএ) প্রতি দুই বছর পরপর এই জরিপ প্রকাশ করে থাকে।
এ জরিপে আরও জানানো হয়, ই-পার্টিসিপেশন সূচকে বাংলাদেশ ২০২০ সালের চেয়ে ২০ ধাপ এগিয়ে শূন্য দশমিক ৫২২৭ স্কোর পেয়ে ৭৫তম হয়েছে। তবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৫১তম হয়ে আরও ভালো অবস্থানে ছিল।
অনলাইন সেবা প্রদানে বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৬৫২১ স্কোর, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোয় শূন্য দশমিক ৪৪৬৯ এবং মানবসম্পদে শূন্য দশমিক ৫৯০০ স্কোর পেয়েছে।
বাংলাদেশ ই-পার্টিসিপেশন টুলের মাধ্যমে সারাদেশ, পৌরসভা ও গ্রামীণ স্থানীয় সরকার পর্যায়ে যোগাযোগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নয়নে কাজ করে।
জাতিসংঘ ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স বা ইজিডিআই-এ বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৫৬৩০ স্কোর নিয়ে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১১তম স্থান এবং শূন্য দশমিক ৫২২৭ স্কোর নিয়ে ই-পার্টিসিপেশন বা ইপিআইতে ৭৫তম স্থান অর্জন করেছে। এটি ২০২০ সালের জরিপ অনুসারে শূন্য দশমিক ৫১৮৯ স্কোর নিয়ে ১১৯তম স্থান এবং শূন্য দশমিক ৫৭১৪ স্কোর নিয়ে ৯৫তম স্থানে ছিল।
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নতি করেছে। এজেন্ট ব্যাংকিং ও মোবাইলে আর্থিক পরিষেবার (এমএফএস) মাধ্যমে সারাদেশের ১০০ মিলিয়নের বেশি গ্রামীণ নাগরিকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে দেশটি।
এমএমএ/
