পুলিশের বীরত্বগাথা উচ্চারিত হবে দীর্ঘকাল: আইজিপি
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, যতদিন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা হবে, ততদিন পুলিশের বীরত্বগাথা উচ্চারিত হবে।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ’ শীর্ষক গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা ছিল বীরত্বের।’
আইজিপি বলেন, ‘গত শতকে দুটি ঘটনা ঘটে গেছে, যা চার হাজার বছরের গতিপথ পাল্টে দিয়েছে। একটি হলো বঙ্গবন্ধুর আবির্ভাব, আরেকটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ৩০ বছর গণতন্ত্রের দেখা মেলেনি ৷ সে সময় স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে স্বাধীন দেশের পতাকা দেখেছি। তবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের কারণে খুব সহজেই আমরা এখন তুলনা করতে পারি ৷ তা ছাড়া আমাদের একটি প্রমিজিং জেনারেশন রয়েছে।’
পুলিশ প্রধান বলেন, এখন অনেক সত্য ইতিহাস বেরিয়ে আসছে। সিক্রেট ডকুমেন্টস সূত্রে জানতে পারি, বাঙালি পুলিশ শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিল। সভা-সমিতি করার ব্যবস্থা করেছে বাঙালি পুলিশ। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে তা উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, রাজারবাগে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো বাঙালি ও অবাঙালি পুলিশের মধ্যে। বাঙালি পুলিশ সব সময় বঞ্চনা উপলব্ধি করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধিকার আন্দোলনে শুরু থেকে একাত্ম ছিল বাঙালি পুলিশ।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর পুলিশ অস্ত্র বিতরণ করেছে ছাত্রসহ সাধারণ মানুষের মাঝে। ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশের বীরত্বগাথা নিয়ে অনেক আগেই কাজ শুরু হয়েছে ৷ ডকুমেন্টারি হয়েছে। বই লেখা হয়েছে। আমরা উদ্যোগ নেবো। প্রয়োজনে ৬৪ জেলায় মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আলাদা প্রকল্প নেব।
কেএম/এমএমএ/