'জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা দেবে মন্ত্রণালয় ও বিপিসি'
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
জ্বালানি তেল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসি চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। বিষয়গুলো মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, তেলের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে তারা যেন আবারও ব্রিফ করে।'
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন নিম্নমুখী হওয়ায় তা সমন্বয় করে দেশেও কমানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা মন্ত্রিসভা দিয়েছে কি না জানতে চাইলে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'এগুলো নিয়ে তো জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে, এর মধ্যে আবার ব্যাখ্যা দেবেন।'
তিনি বলেন, 'আজকে বলে দেওয়া হয়েছে। কারণ এটা একটা টেকনিক্যাল বিষয়। স্বল্প পরিসরে আমি ব্যাখ্যা দিলে অনেক প্রশ্ন আসবে, উত্তরও হয়তো দেওয়া যাবে না টেকনিক্যাল বিষয়ে। সেজন্য অলরেডি জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলে দেওয়া হয়েছে, তারা যে ব্রিফিং করেছে সেটা আবার রি-ব্রিফিং করে দেবে।'
যেসব যুক্তিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, সেসব যুক্তি খণ্ডন করে গবেষণা সংস্থা সিপিডি বলেছে দাম বাড়ানোর ‘পদক্ষেপ’ এড়ানো যেত। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'এই জিনিসগুলোই আলোচনা হয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয় বা বিপিসিকে বলা হয়েছে, তারা যেন ইমিডিয়েটলি জিনিসগুলো ক্লারিফাই করে।'
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়। আর পেট্রলের দাম ৫১.১৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৫১.৬৮ শতাংশ বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়।
এনএইচবি/এসজি/