দুশ্চিন্তায় লঞ্চ মালিকরা
ভাড়া কমলেও যাত্রীর চাপ নেই সদরঘাটে
পদ্মা সেতুতে রবিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হয়েছে যান চলাচল। রাজধানীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ২১ জেলার সংযোগ ঘটেছে সড়কপথে। সেতু চালু হলে সদরঘাটে যাত্রীর চাপ কমবে এমন ধারণা করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। পদ্মা সেতুর প্রভাবে কমেছে যাত্রী সমাগম। যাত্রীর সমাগম কম থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন লঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও লঞ্চ মালিকরা। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ নেই।
ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট) থেকে লঞ্চযোগে যাতায়াত করে থাকে বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, কুয়াকাটা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জায়গার লঞ্চ। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের অন্যতম যাতায়াতের পথ নৌপথ হলেও পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কমেছে যাত্রীর চাপ। চিরচেনা সদরঘাটে নেই আগের সেই হাক ডাক। ভাড়া কমিয়েও যাত্রী পাচ্ছেন না লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা।
লঞ্চের ডেকের ভাড়া কমিয়ে ৩৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, ডাবল কেবিনের ভাড়া ২৫০০ থেকে ২২০০ এবং সোফার ভাড়া ৭৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুন্দরবন-১০ লঞ্চের দায়িত্বরত মুশফিক আহমেদ বলেন, এখন আগের মতো যাত্রী নেই। বৃহস্পতিবার যেমন যাত্রী আশা করেছিলাম তেমন নেই। সামনে কী হবে আল্লাহ ভালো জানেন।
ভাড়া কমিয়েও যাত্রী না পাওয়ার ব্যাপারে পারাবত লঞ্চে কর্মরত সুমন রহমান বলেন, আমরা ভাড়া কমিয়েছি কিন্তু যাত্রী নেই৷ আমাদের লঞ্চে প্রায় যাত্রী অর্ধেক হয়ে গেছে। ছুটির দিনেও আজ যাত্রীর চাপ নেই। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।
এএজেড