সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুর্নীতির উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত: টিআই

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত দুর্নীতির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)।

মঙ্গলবার গভর্নমেন্ট ইন্টিগ্রিটি ইনডেক্স বা সরকারি প্রতিরক্ষা শুদ্ধাচার সূচক ২০২০ প্রকাশ করে সংস্থাটি বলছে, প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ‘অতি দূর্বল’। ৮৬টি দেশ নিয়ে প্রকাশিত এই সূচক অনুযায়ী ৬২ শতাংশ দেশেরই প্রতিরক্ষা খাত উচ্চ থেকে সংকটজনক দুর্নীতির ঝুঁকিতে রয়েছে।

একটি দেশের সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে সার্বিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কাঠামোতে দুর্নীতির ঝুঁকি কতোটা, ঝুঁকি কমাতে কি ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক নীতিকাঠামো ও চর্চা বিদ্যমান এবং সেগুলো কতোটা কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক এমন সব বিষয় বিবেচনা করে এ ধরণের পর্যবেক্ষণ দিয়ে থাকে টিআই।

সর্বমোট ৭৭টি জিজ্ঞাসার বিপরীতে ২১২টি নির্দেশকের ভিত্তিতে একটি দেশের প্রতিরক্ষা খাতের পাঁচটি ঝুঁকির ক্ষেত্র বিশ্লেষণ করে জিডিআই ২০২০ সূচকটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পাঁচটি ঝুঁকির ক্ষেত্র হল: রাজনৈতিক, আর্থিক, জনবল, পরিচালনা (operational) এবং ক্রয়। এসব ক্ষেত্রে একটি দেশের প্রাপ্ত নম্বরকে (০ থেকে ১০০ স্কেলে) ‘এ’ থেকে ‘এফ’ শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ‘এ’ শ্রেণী হল সবচেয়ে কম ঝুঁকিসম্পন্ন এবং ‘এফ’ শ্রেণী হল সংকটজনক দুর্নীতির ঝুঁকিসম্পন্ন। সূচকের ফলাফল বলছে, ৮৫ স্কোর করে প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির সবচে কম ঝুঁকিতে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। এরপরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে (স্কোর ৭৬), বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডের (স্কোর ৭৩)। আর ৫ স্কোর করে সর্বোচ্চ সংকটজনক দুর্নীতির ঝুঁকিতে রয়েছে সুদান। এরপরেই রয়েছে মিশর (স্কোর ৬), মিয়ানমার ও আলজেরিয়া (স্কোর ৮) এবং ইরাক (স্কোর ৯)। টিআই বলছে, জিডিআই সূচকে কম নম্বর পাওয়া দেশগুলোতে প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে থাকা সুরক্ষা পদ্ধতি বা কার্যক্রম- দূর্বল কিংবা অস্তিত্বহীন। বলা চলে, একইসাথে এসব দেশ অস্থিতিশীল, সংঘাতপূর্ণ কিংবা তার জনগণ শোষণের শিকার।

সার্বিকভাবে ২৫ স্কোর করে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত এই সূচকে দুর্নীতির অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। সূচকে বিচার্য পাঁচটি ঝুঁকি ক্ষেত্রের মধ্যে বাংলাদেশ সবচে বেশি স্কোর করেছে সামরিক জনবল ব্যবস্থাপনায়- স্কোর ৫২। আর সবচে খারাপ স্কোর ০ (শূন্য) পেয়েছে পরিচালনা ঝুঁকির ক্ষেত্রে। রাজনৈতিক ঝুঁকিতে স্কোর ২৬, আর্থিক ঝুঁকিতে স্কোর ১৯ আর সামরিক ক্রয়ে দুর্নীতির ঝুঁকিতে স্কোর ২৯।

জিডিআই এর ফলাফল বলছে, বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং সেগুলোর পরিচালনা কার্যক্রম গোপনে পরিচালনার যে রীতি অনুসৃত হয়ে আসছে তা মোটেই সঠিক নয়। বরং গোপনীয়তা কোনোভাবেই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য প্রযোজ্য শর্ত নয়, এটি মূলত একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। যেমন: নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য জিডিআই সূচকে উচ্চ স্কোর করেছে। এটি প্রমাণ করে যে, একটি দেশের সরকার যতো বেশি অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হয় সেখানে প্রতিরক্ষা খাত ততো বেশি স্বচ্ছ এবং দুর্নীতির ঝুঁকিও কম। একইভাবে জিডিআই স্কোর এর সাথে ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট রুল অব ল ইনডেক্সের তুলনা বলছে, যারা উন্মুক্ত সরকারের সূচকে ভালো ফলাফল করেছে তারা প্রতিরক্ষা খাতের স্বচ্ছতায়ও বেশি নম্বর পেয়েছে।

জিডিআই সূচকের বিশ্লেষণ বলছে, সামরিক বা প্রতিরক্ষা ব্যয়বৃদ্ধি এবং এখাতের দূর্বল শাসন বা ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত। এক্ষেত্রে জিডিপির ১ ভাগ সামরিক ব্যয়বৃদ্ধি মানে জিডিআই স্কোর ৫ পয়েন্ট কমে যাওয়া। এটি প্রমাণ করে যে, সামরিক ব্যয়বৃদ্ধি দূর্বল শাসনের ক্ষেত্রে হয়তো একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান হিসেবে ভূমিকা রাখে। যেটি বিদ্যমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে- শাসন ব্যবস্থার দূর্বলতাকে ব্যবহার করে দুর্নীতির সুযোগ বা ঝুঁকি তৈরি করে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এটি খুবই হতাশাজনক যে বিশ্বে সামরিক ব্যয় এখন বার্ষিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা দুর্নীতির মাত্রা ও ব্যাপকতাকে বাড়িয়ে চলেছে।

সূচকে বাংলাদেশের এমন ফলাফলে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই সূচক বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতি বিরাজ করছে, এমন কোনো তথ্য বা বিশ্লেষণ দিচ্ছে না; তবে খাতটিতে শুদ্ধাচার ঘাটতি ও দুর্নীতির ব্যাপক ঝুঁকির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছে। অতএব সূচকের ফলাফলকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের প্রতিরক্ষা শুদ্ধাচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এবং তার মাধ্যমে সম্ভাব্য দুর্নীতির প্রতিরোধক সক্ষমতা কাঠামো সুদৃঢ় করা অপরিহার্য।

জিডিআই এর তথ্য বলছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক অস্ত্র বাণিজ্যের ৮৬ ভাগই হয়েছে সেইসব দেশ থেকে, যেসব দেশের প্রতিরক্ষা খাত মধ্যম থেকে উচ্চ দুর্নীতির ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে। শীর্ষ পাঁচ রপ্তানিকারক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৫৫), রাশিয়া (৩৬), ফ্রান্স (৫০), জার্মানি (৭০) এবং চীন (২৮)। এই পাঁচ দেশ বিশ্ব অস্ত্র বাণিজ্যের ৭৬ ভাগই নিয়ন্ত্রণ করে। আবার বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ৪৯ শতাংশের গন্তব্যই ছিলো প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির ‘উচ্চ’ থেকে ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশগুলোতে। এসব দেশে মূলত দেশটির আইনপ্রণেতা, নিরীক্ষক বা সুশীল সমাজের কারোই অস্ত্র বা সামরিক চুক্তির খুঁটিনাটি পরীক্ষার সুযোগ নেই বা দেয়া হয় না; এমনকি এই দেশগুলো কোনো ধরনের অর্থপূর্ণ তথ্যও প্রকাশ করে না- যার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব, কিভাবে তারা সুনির্দিষ্ট কোম্পানি থেকে অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিংবা এতে কোনো তৃতীয় পক্ষের যোগসূত্র রয়েছে কিনা। দুর্নীতিবিরোধী প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকার কারণে অস্ত্রবাণিজ্য মূলত ঘুষ-দুর্নীতির অবারিত সুযোগ তৈরি করছে; এমনকি জনগণের অর্থ অপচয়ের মতো ঘটনার পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম সংঘবদ্ধ অপরাধী এবং উগ্রগোষ্ঠীর হাতে চলে যাবার ঝুঁকি তৈরি করছে।

জিডিআই এর তথ্য বলছে, সামরিক পরিচালনার দিক থেকে দুর্নীতির ঝুঁকির মাত্রা বৈশ্বিকভাবে খুবই উদ্বেগজনক। বেশিরভাগ দেশেরই খুবই স্বল্প দুর্নীতিবিরোধী প্রশিক্ষণ রয়েছে কিংবা মাঠ পর্যায়ে এসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ স্টাফ রয়েছে। এক্ষেত্রে সবগুলো দেশের গড় স্কোর মাত্র ১৬/১০০। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় নিযুক্ত বড় দেশ- যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কোর এই ক্ষেত্রে মাত্র ১৮, ফ্রান্সের ১০, আর বাংলাদেশের স্কোর ০ (শূন্য)। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারগুলো চাইলে খাতটিতে দুর্নীতির ঝুঁকি কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা- যেমন, স্বচ্ছতায় অগ্রাধিকার, দুর্নীতিবিরোধী কৌশল অবলম্বন ও প্রশিক্ষণ এবং নজরদারি ও কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সুশীল সমাজকে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে পারে। যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে ফলদায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

নিজেদের মতামত তুলে ধরে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে প্রথম ও অতিগুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে একটি অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১০ এর ধারাবাহিকতায় একটি প্রতিরক্ষা শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন ও তার চর্চা করা উচিত। এক্ষেত্রে খসড়া প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট খাতে বিশেষজ্ঞজনের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃত্ব, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের মতো সকল অংশীজনকে সম্পর্কিত করলে এর গ্রহণযোগ্যতা ও জাতীয় মালিকানাবোধ বাড়বে।’

এনএইচ/

Header Ad
Header Ad

মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৩ মার্চ) বিচারপতি সহিদুল করিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী পারভেজ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০১৫ সালে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল দুদকের পক্ষ থেকে মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়, যেখানে তার নিজের, স্ত্রীর ও নির্ভরশীলদের নামে থাকা সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিবরণী জমা না দেওয়ায় ওই বছরের ১৩ জুন দুদকের উপপরিচালক নূর আহম্মেদ গুলশান থানায় এ মামলা করেন।

হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান এই মামলার সাজা থেকে অব্যাহতি পেলেন।

Header Ad
Header Ad

সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

১৩৩ কোটি টাকা পাচারের মামলায় সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে সিআইডির একটি দায়িত্বশীল সূত্র তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সিআইডি জানায়, তার বিরুদ্ধে ১৩৩ কোটি টাকা পাচারের মামলা রয়েছে। সেই মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মোট ১,০৩০ টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন পড়েছে ৬৬ হাজার ৪০২টি। ফলে প্রতি সিটের বিপরীতে লড়বে ৬৪ জন পরীক্ষার্থী। সোমবার (৩ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার।

জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে 'এ' ইউনিটে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) আবেদন পড়েছে ৩২,৬৫৮ টি, বি ইউনিটে (কলাও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান এবং আইন অনুষদ) আবেদন পড়েছে ২৩,৭৯২টি এবং সি ইউনিটে (ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ) আবেদন জমা পড়েছে ৯,৯৫২ টি।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলেও পেমেন্ট প্রক্রিয়া চলে ২ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ে ১,০৩০ টি সিটের বিপরীতে ৬৬ হাজার ৪০২ জন পরীক্ষার্থী পেমেন্ট সম্পন্ন করেছে। ফলে প্রতি সিটের বিপরীতে লড়বে ৬৪ জন পরীক্ষার্থী।

'এ' ইউনিটের আসন সংখ্যা ৩৫০ টি। 'বি' ও 'সি' ইউনিটের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪০ ও ২৪০ টি। 'এ' ইউনিটের একটি আসন পেতে লড়বে ৯৩ জন, 'বি' ইউনিটের প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৫৪ জন এবং 'সি' ইউনিটে লড়বে ৪১ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, '৬৬ হাজার ৪০২ জন পেমেন্ট করেছে এটাই আমাদের প্রকৃত আবেদন সংখ্যা। এটার ভিত্তিতে ইউনিট প্রধানদের জানিয়ে দেব। আমরা আগামীকাল সেন্ট্রাল কমিটির সাথে বসে আলোচনা করে কেন্দ্রগুলো নির্ধারণ করব।'

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু এবার আবেদন বেশি পড়েছে কোটবাড়িতে যদি কেন্দ্র সংকুলান না হয় তাহলে আমরা কুমিল্লা শহরের বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা নিয়ে ওখানে কেন্দ্র স্থাপন করব।'

উল্লেখ্য, আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় 'সি' ইউনিট এবং একই দিনে বিকেল ৩টায় 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস
সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার  
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন
মিঠাপুকুরে স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ওসির বাড়িতে ডাকাতি: গুলি করে নিয়ে গেছে ৩টি গরু  
ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন দাবি সাংবাদিক ইলিয়াসের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সুজনের মানবেতর জীবন
হিমাগারে আলু রাখতে কেজিতে লাগবে পৌনে ৭ টাকা
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে আগুন, চারজনের মৃত্যু
হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি
আদালতে কাঁদলেন কামাল, বললেন আর আওয়ামী লীগ করব না (ভিডিও)
গাজীপুরে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন, কয়েক কারখানায় ছুটি
পুরো গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা ইসরায়েলের
পলাতক একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. ইউনূস
যাদের হাতে উঠল এবারের অস্কার  
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন আবরার ফাহাদ
পাকিস্তানে গাড়িতে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৬
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া  
লন্ডন সম্মেলনে ইউক্রেনকে সমর্থনে চার পদক্ষেপ  
সেকেন্ড রিপাবলিক ‘তত্ত্ব’ থেকে সবাই একটু সাবধান থাকবেন : মির্জা আব্বাস