রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দুর্নীতির উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত: টিআই

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত দুর্নীতির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)।

মঙ্গলবার গভর্নমেন্ট ইন্টিগ্রিটি ইনডেক্স বা সরকারি প্রতিরক্ষা শুদ্ধাচার সূচক ২০২০ প্রকাশ করে সংস্থাটি বলছে, প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ‘অতি দূর্বল’। ৮৬টি দেশ নিয়ে প্রকাশিত এই সূচক অনুযায়ী ৬২ শতাংশ দেশেরই প্রতিরক্ষা খাত উচ্চ থেকে সংকটজনক দুর্নীতির ঝুঁকিতে রয়েছে।

একটি দেশের সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে সার্বিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কাঠামোতে দুর্নীতির ঝুঁকি কতোটা, ঝুঁকি কমাতে কি ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক নীতিকাঠামো ও চর্চা বিদ্যমান এবং সেগুলো কতোটা কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক এমন সব বিষয় বিবেচনা করে এ ধরণের পর্যবেক্ষণ দিয়ে থাকে টিআই।

সর্বমোট ৭৭টি জিজ্ঞাসার বিপরীতে ২১২টি নির্দেশকের ভিত্তিতে একটি দেশের প্রতিরক্ষা খাতের পাঁচটি ঝুঁকির ক্ষেত্র বিশ্লেষণ করে জিডিআই ২০২০ সূচকটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পাঁচটি ঝুঁকির ক্ষেত্র হল: রাজনৈতিক, আর্থিক, জনবল, পরিচালনা (operational) এবং ক্রয়। এসব ক্ষেত্রে একটি দেশের প্রাপ্ত নম্বরকে (০ থেকে ১০০ স্কেলে) ‘এ’ থেকে ‘এফ’ শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ‘এ’ শ্রেণী হল সবচেয়ে কম ঝুঁকিসম্পন্ন এবং ‘এফ’ শ্রেণী হল সংকটজনক দুর্নীতির ঝুঁকিসম্পন্ন। সূচকের ফলাফল বলছে, ৮৫ স্কোর করে প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির সবচে কম ঝুঁকিতে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। এরপরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে (স্কোর ৭৬), বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডের (স্কোর ৭৩)। আর ৫ স্কোর করে সর্বোচ্চ সংকটজনক দুর্নীতির ঝুঁকিতে রয়েছে সুদান। এরপরেই রয়েছে মিশর (স্কোর ৬), মিয়ানমার ও আলজেরিয়া (স্কোর ৮) এবং ইরাক (স্কোর ৯)। টিআই বলছে, জিডিআই সূচকে কম নম্বর পাওয়া দেশগুলোতে প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে থাকা সুরক্ষা পদ্ধতি বা কার্যক্রম- দূর্বল কিংবা অস্তিত্বহীন। বলা চলে, একইসাথে এসব দেশ অস্থিতিশীল, সংঘাতপূর্ণ কিংবা তার জনগণ শোষণের শিকার।

সার্বিকভাবে ২৫ স্কোর করে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত এই সূচকে দুর্নীতির অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। সূচকে বিচার্য পাঁচটি ঝুঁকি ক্ষেত্রের মধ্যে বাংলাদেশ সবচে বেশি স্কোর করেছে সামরিক জনবল ব্যবস্থাপনায়- স্কোর ৫২। আর সবচে খারাপ স্কোর ০ (শূন্য) পেয়েছে পরিচালনা ঝুঁকির ক্ষেত্রে। রাজনৈতিক ঝুঁকিতে স্কোর ২৬, আর্থিক ঝুঁকিতে স্কোর ১৯ আর সামরিক ক্রয়ে দুর্নীতির ঝুঁকিতে স্কোর ২৯।

জিডিআই এর ফলাফল বলছে, বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং সেগুলোর পরিচালনা কার্যক্রম গোপনে পরিচালনার যে রীতি অনুসৃত হয়ে আসছে তা মোটেই সঠিক নয়। বরং গোপনীয়তা কোনোভাবেই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য প্রযোজ্য শর্ত নয়, এটি মূলত একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। যেমন: নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য জিডিআই সূচকে উচ্চ স্কোর করেছে। এটি প্রমাণ করে যে, একটি দেশের সরকার যতো বেশি অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হয় সেখানে প্রতিরক্ষা খাত ততো বেশি স্বচ্ছ এবং দুর্নীতির ঝুঁকিও কম। একইভাবে জিডিআই স্কোর এর সাথে ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট রুল অব ল ইনডেক্সের তুলনা বলছে, যারা উন্মুক্ত সরকারের সূচকে ভালো ফলাফল করেছে তারা প্রতিরক্ষা খাতের স্বচ্ছতায়ও বেশি নম্বর পেয়েছে।

জিডিআই সূচকের বিশ্লেষণ বলছে, সামরিক বা প্রতিরক্ষা ব্যয়বৃদ্ধি এবং এখাতের দূর্বল শাসন বা ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত। এক্ষেত্রে জিডিপির ১ ভাগ সামরিক ব্যয়বৃদ্ধি মানে জিডিআই স্কোর ৫ পয়েন্ট কমে যাওয়া। এটি প্রমাণ করে যে, সামরিক ব্যয়বৃদ্ধি দূর্বল শাসনের ক্ষেত্রে হয়তো একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান হিসেবে ভূমিকা রাখে। যেটি বিদ্যমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে- শাসন ব্যবস্থার দূর্বলতাকে ব্যবহার করে দুর্নীতির সুযোগ বা ঝুঁকি তৈরি করে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এটি খুবই হতাশাজনক যে বিশ্বে সামরিক ব্যয় এখন বার্ষিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা দুর্নীতির মাত্রা ও ব্যাপকতাকে বাড়িয়ে চলেছে।

সূচকে বাংলাদেশের এমন ফলাফলে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই সূচক বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতি বিরাজ করছে, এমন কোনো তথ্য বা বিশ্লেষণ দিচ্ছে না; তবে খাতটিতে শুদ্ধাচার ঘাটতি ও দুর্নীতির ব্যাপক ঝুঁকির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছে। অতএব সূচকের ফলাফলকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের প্রতিরক্ষা শুদ্ধাচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এবং তার মাধ্যমে সম্ভাব্য দুর্নীতির প্রতিরোধক সক্ষমতা কাঠামো সুদৃঢ় করা অপরিহার্য।

জিডিআই এর তথ্য বলছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক অস্ত্র বাণিজ্যের ৮৬ ভাগই হয়েছে সেইসব দেশ থেকে, যেসব দেশের প্রতিরক্ষা খাত মধ্যম থেকে উচ্চ দুর্নীতির ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে। শীর্ষ পাঁচ রপ্তানিকারক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৫৫), রাশিয়া (৩৬), ফ্রান্স (৫০), জার্মানি (৭০) এবং চীন (২৮)। এই পাঁচ দেশ বিশ্ব অস্ত্র বাণিজ্যের ৭৬ ভাগই নিয়ন্ত্রণ করে। আবার বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ৪৯ শতাংশের গন্তব্যই ছিলো প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির ‘উচ্চ’ থেকে ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশগুলোতে। এসব দেশে মূলত দেশটির আইনপ্রণেতা, নিরীক্ষক বা সুশীল সমাজের কারোই অস্ত্র বা সামরিক চুক্তির খুঁটিনাটি পরীক্ষার সুযোগ নেই বা দেয়া হয় না; এমনকি এই দেশগুলো কোনো ধরনের অর্থপূর্ণ তথ্যও প্রকাশ করে না- যার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব, কিভাবে তারা সুনির্দিষ্ট কোম্পানি থেকে অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিংবা এতে কোনো তৃতীয় পক্ষের যোগসূত্র রয়েছে কিনা। দুর্নীতিবিরোধী প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকার কারণে অস্ত্রবাণিজ্য মূলত ঘুষ-দুর্নীতির অবারিত সুযোগ তৈরি করছে; এমনকি জনগণের অর্থ অপচয়ের মতো ঘটনার পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম সংঘবদ্ধ অপরাধী এবং উগ্রগোষ্ঠীর হাতে চলে যাবার ঝুঁকি তৈরি করছে।

জিডিআই এর তথ্য বলছে, সামরিক পরিচালনার দিক থেকে দুর্নীতির ঝুঁকির মাত্রা বৈশ্বিকভাবে খুবই উদ্বেগজনক। বেশিরভাগ দেশেরই খুবই স্বল্প দুর্নীতিবিরোধী প্রশিক্ষণ রয়েছে কিংবা মাঠ পর্যায়ে এসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ স্টাফ রয়েছে। এক্ষেত্রে সবগুলো দেশের গড় স্কোর মাত্র ১৬/১০০। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় নিযুক্ত বড় দেশ- যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কোর এই ক্ষেত্রে মাত্র ১৮, ফ্রান্সের ১০, আর বাংলাদেশের স্কোর ০ (শূন্য)। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারগুলো চাইলে খাতটিতে দুর্নীতির ঝুঁকি কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা- যেমন, স্বচ্ছতায় অগ্রাধিকার, দুর্নীতিবিরোধী কৌশল অবলম্বন ও প্রশিক্ষণ এবং নজরদারি ও কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সুশীল সমাজকে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে পারে। যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে ফলদায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

নিজেদের মতামত তুলে ধরে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে প্রথম ও অতিগুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে একটি অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১০ এর ধারাবাহিকতায় একটি প্রতিরক্ষা শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন ও তার চর্চা করা উচিত। এক্ষেত্রে খসড়া প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট খাতে বিশেষজ্ঞজনের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃত্ব, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের মতো সকল অংশীজনকে সম্পর্কিত করলে এর গ্রহণযোগ্যতা ও জাতীয় মালিকানাবোধ বাড়বে।’

এনএইচ/

Header Ad
Header Ad

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু

শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার দোতলা ভবনের দোতলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা শামছুন্নাহার ও ছেলে সানোয়ার হোসেন দগ্ধ হয়েছে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থায়ীয় জানা যায়, দোতলা ভবনের দোতলায় কিচেন রুমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে জানালার থাইগ্লাস ফেটে নিচে পড়ে। স্বজনরা আহত দুজনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট ঢাকায় পাঠায়। আহত দুজনের মধ্যে মায়ের অবস্থা আশংকাজনক ছিল পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের স্বামী আবুল হাসেম প্রধান শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের মৃত গাফফার প্রধানের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌর আওয়ামীলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক।

প্রতিবেশী আব্দুল গফুর জানান, দোতলা ওই বাড়িতে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। তিনিসহ প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে গিয়ে শামসুন নাহার ও তার ছেলে মো. সানোয়ার হোসেনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন। এর মধ্যে শামসুন নাহারের অবস্থা ছিল গুরুতর। তার মুখসহ শরীরের অনেক অংশই পুড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে স্বজনরা তাদেরকে ঢাকা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে মা ও ছেলে দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস

দ্য ইকোনমিস্টকে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণেরা খুবই পক্ষপাতহীন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তরুণেরা দেশকে নতুন করে গড়তে চান।

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, 'এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে না। দেশের তরুণেরা খুবই উদ্যমী। ধর্মের বিষয়ে তারা খুবই পক্ষপাতহীন।'

গত শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এ কথা বলেন। ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইকোনমিস্টের বিদেশ বিষয়ক সম্পাদক প্যাট্রিক ফোলিস।

বাংলাদেশ ২০২৪ সালে ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশ নির্বাচিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

প্যাট্রিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা ফিরে আসার কিছু ঝুঁকি আছে, সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কর্মকর্তারা। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

বাংলাদেশ ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশ হওয়ায় ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান প্যাট্রিক।

ড. ইউনূস বলেন, 'আমরা আনন্দিত, অত্যন্ত গর্বিত যে, ছাত্র অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং সত্যিকার অর্থেই আমরা বড় একটি পরিবর্তন ঘটিয়েছি। এরপর থেকে আমরা বলছি, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।'

তরুণরা দেশকে নতুন করে গড়তে চান উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'তরুণরা পুরো পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে। এটি কেবল একটি দেশের পরিবর্তন না, বাংলাদেশে যা হয়েছে সেটি তরুণ-যুবকরা কতটা শক্তিশালী তার উদাহরণ। আসুন, আমরা তরুণদের ওপর মনোযোগ দিই।'

'বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে তরুণীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের যে কোনো তরুণের মতো তারা (অভ্যুত্থানে) সামনের কাতারে ছিল। আমাদের তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং তাদের স্বপ্নগুলো যেন পূরণ হয়। যদি তারা সুযোগ পায়, তাদের সেটা করার সক্ষমতা আছে,' বলেন তিনি।

অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণকে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।

'তারা এখন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং অসাধারণ কাজ করছেন। তারা যোগ্য। তারা বিগত শতাব্দীর না, এই শতাব্দীর তরুণ। যোগ্যতার দিক থেকে তারা কোনো অংশে কম না।'

বাংলাদেশের নির্বাচনের পর কী করতে চান, প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, 'আমাকে আমার কাজ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। জোর করে এই কাজে আমাকে যুক্ত করা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম, যে কারণে আমি প্যারিসে ছিলাম। আমাকে ভিন্ন কিছু করার জন্য প্যারিস থেকে আনা হয়। আমি আমার কাজে ফিরে যাব এবং জীবন উপভোগ করবো।'

 

Header Ad
Header Ad

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গেল জার্নির টিকিট নিয়ে সমস্যা চলছিল রাজধানীর মেট্রোরেলে। এবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, এই সংকট কেটে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের সিঙ্গেল জার্নির টিকিট সংকট আর থাকছে না।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে করা এক স্ট্যাটাসে এ সুখবরের কথা জানায়।

স্ট্যাটাসে বলা হয়, মেট্রোরেলের সম্মানিত যাত্রীদের জন্য সুসংবাদ। মেট্রোলের সম্মানিত যাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, ২১ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল স্টেশনগুলো থেকে চাহিদামতো সিঙ্গেল জার্নি টিকিট বিক্রয় করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, পাশাপাশি র‍্যাপিড পাসও বিক্রয় এবং রিচার্জ করা হচ্ছে। এমআরটি পাসও রিচার্জ করা হচ্ছে। আপনারা সানন্দে মেট্রোরেল ভ্রমণ করুন। এছাড়া ডিএমটিসিএল পরিবারের পক্ষ থেকে সবার সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের কার্ডের সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। একক যাত্রার কার্ড না থাকায় অনেক স্টেশন থেকে যাত্রীদের ফিরে যেতে হয়েছে। আবার সরবরাহ না থাকায় স্থায়ী কার্ড বা এমআরটি পাস বিক্রিও একেবারে বন্ধ ছিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ