ডিপ্লোমেটিক জোন হবে পূর্বাচলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অদূর ভবিষ্যতে অনেক দেশেরই বাংলাদেশে মিশন খোলার ব্যাপারে আগ্র্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমন। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে যে সকল দেশ ভাড়াক্রমে তাদের অফিস পরিচালনা করছে একময় তাদেরকেও অফিস ভবন নির্মাণের জন্য নতুন জমির দাবি উঠতে পারে। এ কারণেই সরকার রাজউকের মাধ্যমে পূর্বাচলে নতুন ডিপ্লোমেটিক জোন হিসেবে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা নিয়েছে।
রবিবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এতথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান গুলশান ও বারিধারা এলাকায় কূটনৈতিক মিশনের জন্য বরাদ্দ দেয়ার মতো জায়গা খালি নেই। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) তার শহর সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পূর্বাচল ডিপ্লোমেটিক জোন গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুলশান ও বারিধারা এলাকায় মিশনসমূহকে বরাদ্দ দেওয়ার মতো জমির সংকট থাকায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বাচলের ২৭ নং সেক্টরে ডিপ্লোমেটিক জোন করার জন্য প্লট নির্ধারিত রয়েছে। বিদেশি মিশনগুলো সম্মত হলে প্রক্রিয়াটি দ্রুত গতিতে শুরু করা যাবে।
তিনি বলেন, প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে নতুন নতুন কূটনৈতিক মিশন খোলার বিষয়ে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহও বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। এ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মিশনগুলোকে প্রদেয় নিজস্ব অফিসভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকারমূলক যৌক্তিক নির্দেশ রয়েছে। কারণ সমগ্র বিশ্বেই জমির দাম ও ভাড়া করা অফিসের মূল্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন রাষ্ট্রে তার মিশনসমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জমি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে কাজ করা যাচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দূতাবাস ভবনের জন্য ভূমি বিনিময় এখন একটি যৌক্তিক রাষ্ট্রাচারে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভূমি বিনিময় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি এই মুহূর্তেও কিছু কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাসের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে যে সকল দেশ জমি বরাদ্দ দিয়েছে অথবা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে সেগুলো হচ্ছে-ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, থাইল্যান্ড, ইরাক, মিশর, জাপান ইত্যাদি। তারই ধারাবাহিকতায় ভিয়েনা কনভেনশন-১৯৬১ অনুযায়ী বিদেশি মিশনগুলোকে তাদের নিজস্ব ভবন তৈরির ক্ষেত্রে নতুন করে জমি বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন।
এসএম/