‘সামরিক স্বৈরশাসক শিক্ষার্থীদের লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করে’
মিলিটারি ডিক্টেটররা (সামরিক স্বৈরশাসক) মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র, অর্থ, মাদক তুলে দিয়ে তাদের দিয়ে নিজেদের লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৬ জুন) সকালে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২২ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ১৫ জনকে সেরা মেধাবী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য সরকার প্রধান এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটররা আমাদের মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র, অর্থ, মাদক তুলে দিয়ে তারা তাদের একটা লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করে। যাদের মাধ্যমে তারা ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার চেষ্টা করে। তারা শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করে দেয়। যার জন্য বছরের পর বছর সেশনজট হয়। আমাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার সুযোগ অনেকটা সীমিত হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর সরকার গঠন করে। সরকার গঠন করার পর আমাদের প্রচেষ্টা ছিল সমস্ত ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা। গ্রেডিং পদ্ধতি নিয়ে আসা বা শিক্ষাকে আধুনিকিকরণ করা আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষা, বিভিন্ন বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিই। পাশাপাশি গবেষণার উপর আমি গুরুত্ব দিই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে শিশুদের বলব আমাদের পরবর্তী প্রজন্মদের বলব। আমরা বিজয়ী জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলব। সম্মানের সঙ্গে চলব। এই দেশ আমাদের দেশ, এই দেশকে আমরা গড়ে তুলব উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার সুযোগ একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে গেছি। স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে গেছি। আমাদের বিজ্ঞান চর্চা এবং এর মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান তার মাধ্যমেই দেশকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। সেটা আমাদের আজকের নতুন প্রজন্ম তারাই পারবে। মেধা অন্বেষণের মাধ্যমে অনেক সুপ্ত জ্ঞান বেরিয়ে আসবে, যা আমাদের দেশের আগামী দিনের উন্নয়নে কাজে লাগবে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সোনার ছেলে মেয়েরা তোমরা তৈরি হও দেশকে আগামীদিনের নেতৃত্ব দিতে। সর্বক্ষেত্রে তোমরা তোমাদের মেধার বিকাশ করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, যেন বাংলাদেশ আর পিছিয়ে না থাকে, বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায়। ভবিষ্যতে আমাদের ছেলেমেয়েরা আরও উদ্ভাবনের শক্তিতে উন্নত হবে, বিশ্বে মাথা উঁচু করে নিজেরা চলবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এসএম/আরএ/