বিশ্ব জুড়ে প্রকৌশল বিদ্যার পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর নির্মাণ পদ্ধতি বিশ্ব জুড়ে প্রকৌশল বিদ্যার পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ পদ্ধতি বিশ্ব জুড়ে প্রকৌশল বিদ্যার পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এটা একটা আশ্চার্য সৃষ্টি। এটা অনেক মানুষের শেখার সুযোগ রয়েছে। আমাদের প্রজন্মের পরবর্তী প্রজন্ম শিখতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিশাল এ কর্মযজ্ঞ থেকে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের দেশের প্রকৌশলী ও কর্মীরা যে জ্ঞান লাভ করেছেন, ভবিষতে এ ধরনের আরও অনেক স্থাপনা তারা করতে পারবেন। অন্য দেশেও সহযোগিতা করতে পারবেন সেই সক্ষমতা আজ আমরা অর্জন করেছি। বিশ্বের সেরা প্রযুক্তিতে নির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন পদ্মা সেতু।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মাওয়া প্রান্তের সুধী সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৌশলী কর্মী ও বিদেশি পরামর্শ নিয়ে এ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছি। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের গুণগত মানে কোনো আপস করা হয়নি। এই সেতু নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে। সম্পূর্ণ স্বচ্চছতা বজায় রেখে। নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে। পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বের গভীরতম। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ, আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জনগণই হচ্ছে আমার সাহসের ঠিকানা। তাই বাংলাদেশের জনগণকে আমি স্যালুট জানাই।
কবির ভাষায় তিনি বলেছেন, “যতবারই হত্যা করো, জন্মাবো আবার; দারুণ সূর্য হবো, লিখবো নতুন ইতিহাস “
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি বীরের জাতি। বাঙালির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁক রঞ্জিত হয়েছে ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্ত ধারায়। কিন্তু বাঙালি আবার সদর্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’
উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আসুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এই ঐতিহাসিক দিনে যে যার অবস্থান থেকে দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার শপথ নিই, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।’
সেতু নির্মাণ কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, যারা এ প্রকল্পের জন্য বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে দিয়েছেন, সবার প্রতি তিনি জানান কৃতজ্ঞতা।
এসএম/এসএন