বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

'সারাদেশের চিত্র পাল্টে দেবে পদ্মা সেতু'

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা বলেছেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এই সেতুর কারণে সারাদেশের চিত্র পাল্টে যাবে। তারা আরও বলেন, এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। এ সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করতে হবে।

সোমবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ওই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্যানেল সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম।

আলোচনায় অংশ নেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সরকারি দলের কাজী কেরামত আলী, বেগম মুনিরা সুলতানা, মুহিবুর রহমান মানিক, জিল্লুল হাকিম, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বেনজির আহমেদ, তাহজিব আলম সিদ্দিকী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, বেগম হাবিবা রহমান খান, হোসনে আরা, রানা মোহাম্মদ সোহেল, সালমা চৌধুরী ও আদিবা আনজুম মিতা এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, বর্তমান সরকারের গত ১৩ বছরের উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এ সময়ে সারাদেশের চিত্রই পাল্টে গেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ষড়যন্ত্র ও বাধা মোকাবিলা করেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে সারাদেশের মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করেছেন, যা বিশ্বের কাছে প্রশংসা পাচ্ছে।

সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা সমগ্র বিশ্বে প্রশংসা পাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি সেই উন্নয়ন দেখতে পায় না। জনবিচ্ছিন্ন এই দলটি এখনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় লিপ্ত। উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা বুকে ধারণ করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এর মাধ্যমে একদিকে শেখ হাসিনা একজন আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে, অন্যদিকে বিশ্ববাসীও বাংলাদেশের সক্ষমতা জানতে পেরেছে। এটাতে দেশের ভাবমূর্তি অনেক বেড়েছে।
তিনি বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে প্রস্তাবিত বাজেটের সুযোগটি সঠিক উল্লেখ করে বলেন, পৃথিবীর বহু দেশ নানা কলা-কৌশলে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত এনে বিনিয়োগ করে। আমাদেরও এসব টাকা ফেরত এনে পুঁজিবাজার কিংবা শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ কর যেতে পারে।

সিলেট-সুনামগঞ্জের চলমান বন্যাকে স্মরণকালের বড় বন্যা বলে উল্লেখ করেন সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। তিনি বলেন, বিএনপি দলীয় এমপি আজকে বন্যা নিয়ে মানবতা দেখানোর চেষ্টা করলেও তাদের দল বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ১৯৯৫ ও ২০০৪ সালের বন্যায় বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে বন্যায় ৬১ কেজি ওজনের কেক কাটতে দেখেছি।

১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা—এই তথ্যটি ঠিক নয় উল্লেখ করে মুহিবুর রহমান বলেন, বড় বন্যা হয়েছে। চেরাপুঞ্জিতে ১২২ বছরের ইতিহাসে একদিনে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। ১২২ বছরের ইতিহাসে এত বড় বন্যা হয়নি সেটা বলব না। তবে আমি ১৯৮৮, ১৯৯৫, ১৯৯৮, ২০০৪ ও ২০১৭ সালের বন্যা দেখেছি। মনে করি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ বন্যা। সবচেয়ে বেশি মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বন্যা মোকাবেলার জন্য দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে তৈরি করতে হবে। সুরমা কুশিয়ারা ও মেঘনা নদীর উৎসস্থল খননের প্রয়োজন। হাওর জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে। খালগুলো থেকে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। এগুলো করা সম্ভব হলে এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে পারব।

বিদেশে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার সুযোগ দেওয়ার সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিদেশে অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এই সুযোগ গ্রহণ করতে চায়। তাদেরকে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এ নিয়ে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হবে। তাই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি পদ্মা সেতুসহ দেশে একের পর এক বৃহত্তর প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপকূলের উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানান সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। যা শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, সারাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে।

সরকারি দলের মুনিরা সুলতানা বলেন, সরকারের উন্নয়ন দেখলেই বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে যায়। এরা দেশ ও দেশের মানুষের শত্রু। সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে এরা নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে লিপ্ত। এরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আবার যদি বিএনপি নেতারা এ ধরণের হুমকি দেয়, তবে পুরুষদের লাগবে না, আমরা নারীরাই রাজপথে তাদের মোকাবিলা করে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেব।

কাজী কেরামত আলী বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির আমলে দুটি সরকার ছিল। একটা হাওয়া ভবনের অন্যটা খালেদা জিয়ার সরকার। হাওয়া ভবনের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আজ তারাই বড় বড় কথা বলেন। শত ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে চ্যালেঞ্জ নিয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। আমরা আশাবাদী, এরপর দৌলদিয়া-পাটুরিয়াতেও তিনি দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন।

তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের সোনার সেতু। সক্ষমতার প্রতীক। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিএনপি। দেশে কিছু করতে না পারে বিদেশীদের কাছে ধর্না দিয়ে মিথ্যাচারের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। মিথ্যাচার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের জনগণ মেনে নেবে না।

আবিদা আনজুম মিতা বিএনপিকে খুনির দল উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন বলেই ইনডেমনিটি দিয়ে বিচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে হাওয়া ভবনে বসে পরিকল্পনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। এখন তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সেই দিন আর তাদের কোনোদিন আসবে না, বিএনপির স্বপ্নও কোনোদিন পূরণ হবে না।

এসএম/এসজি/

Header Ad

রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা থেকে ঢাকা ফেরার পথে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবারও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়ি। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, এর আগে মাতুয়াইল ও গুলিস্তানে দুইবার দুর্ঘটনার শিকার হয় তাকে বহন কারী গাড়ি। মাতুয়াইলে আঘাত করে পালিয়ে যায় একটি ট্রাক। আবার গুলিস্তানে আঘাত করে আরেকটি মিনি ট্রাক।

এদিকে পরপর এমন কয়েকটি ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা সন্দেহ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। 

এর আগে গতকাল বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে হাসনাত ও সারজিসের গাড়িবহরের একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয় একটি ট্রাক। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

পরে চাপা দেয়া ট্রাকটিকে জব্দ করে থানায় রাখা হয়। আটক করা হয়েছে চালককেও। আটক ট্রাকচালকের নাম মুজিবর রহমান (৪০)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর গ্রামে।

Header Ad

থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া এক লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অনুসন্ধান কার্যক্রম বর্তমানে থমকে রয়েছে। সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটে এই তদন্ত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো অগ্রগতি ছাড়াই বন্ধ হয়ে আছে। এর পেছনে এস আলম গ্রুপের প্রভাব এবং দেশের প্রভাবশালী মহলের সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে।

সিআইডি সূত্র জানায়, ৩১ আগস্ট এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন এবং তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তারা এ বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আনলেও তাঁদের হঠাৎ বদলি করা হয়েছে।

বদলির পেছনে কারা?
জানা গেছে, তদন্ত প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করার উদ্দেশ্যে এস আলম গ্রুপের পক্ষে কাজ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। বিশেষ পুলিশ সুপার মো. সরোয়ার্দী হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবির এবং তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেনকে একযোগে বদলি করা হয়। একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশেই এ বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবিরকে চট্টগ্রাম, এসএস মো. সরোয়ার্দী হোসেনকে র‍্যাবে এবং অনুসন্ধান কর্মকর্তা মনির হোসেনকে শিল্প পুলিশে বদলি করা হয়। তিন কর্মকর্তাকেই বদলি করে দেওয়ায় গত ১২ অক্টোবর থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান স্থবির। তদন্ত কর্মকর্তা এখন অনুসন্ধানের কাজ অন্য একজনকে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছেন।

সিআইডির সূত্র জানিয়েছে, এস আলম গ্রুপের অর্থ পাচার অনুসন্ধানের কাজকে প্রভাবিত করার জন্য দেশে-বিদেশে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের বদলির নেপথ্যে একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত বলে জানা গেছে। অভিযোগ, তিনি এস আলমের বিষয়ে অনুসন্ধান কাজে ‘ধীরে চলো’ নীতিতে এগোতে বলেছেন। তাঁর কথা না শোনায় পুরো তদন্ত দলকে বদলি করা হয়েছে। এ নিয়ে আরও তিন-চারজন কর্মকর্তা নেপথ্যে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। দৃশ্যত এভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এস আলম গ্রুপ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ ইউনিট এস আলমের পরিবার ও তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম ও অর্থ পাচারের ব্যাপকতা এত বড় যে দেশ-বিদেশ থেকে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধান একটি জায়গায় নিয়ে আসা বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। তার মধ্যে এ ধরনের হস্তক্ষেপ কাজটি আরও কঠিন করবে।

সিআইডি ইতিমধ্যে এস আলমের বিষয়ে তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটির কাছে চিঠি দিয়েছে। তবে গ্রুপটি এখনো কোনো চিঠির জবাব দেয়নি। সিআইডির অনুসন্ধান কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি দেখে এই বিতর্কিত ধনকুবেরের অর্থ পাচার তদন্তের উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন তাঁরা।

সিআইডির মুখপাত্র ও বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান অবশ্য এ বিষয়ে বলেছেন, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাঁর কথায়, অনুসন্ধান কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় অন্য কর্মকর্তাকে কার্যক্রম বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা স্বাভাবিক।

সিআইডি প্রাথমিকভাবে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। গ্রুপটির কর্ণধার সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং দুই ছেলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাসসহ ইউরোপে অর্থ পাচার করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে দাবি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পাচার করা এই বিপুল অর্থ দিয়ে তাঁরা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ কেনা ছাড়াও ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। তাঁদের পাচারকৃত অর্থে সিঙ্গাপুরে ২৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ক্যানালি লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভুয়া নথি তৈরি, জাল-জালিয়াতি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নামে-বেনামে ছয়টি ব্যাংক থেকে নেওয়া ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন। বিদেশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান (শেল কোম্পানি) খুলে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৮ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এস আলম ও তাঁর পরিবারসহ তাঁদের সঙ্গে যুক্ত অন্যদের সহযোগিতায় এ বিশাল অঙ্কের অর্থ পাচার করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে এই বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দেশের অর্থনৈতিক খাতের স্বচ্ছতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্ত কার্যক্রম সফল হতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

Header Ad

ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে আশীষ পুরোহিত (৬৫) নামে একজনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক আশীষ চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের মৃত নির্মল চন্দ্র পুরোহিতের ছেলে। আটকের সময় তার মোবাইলে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সঙ্গে একাধিক ছবি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, আশীষ পুরোহিত মিরসরাইয়ের অলিনগর সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় অবৈধভাবে প্রবেশ করার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে আটক করে বিজিবিকে খবর দেয়। পরে বিজিবি এসে তাকে তল্লাশি চালায়। এসময় তার কাছ থেকে বাংলাদেশি এনআইডি কার্ড, ভারতীয় আধার কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজিবি-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, আটক ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন চিকিৎসার জন্য অবৈধভাবে ভারতে যাচ্ছিলেন। দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং অবৈধ পারাপারের দায়ে তাকে জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা