বন্যার্তদের রান্নাবান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের রান্নাবান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) ৭ম রাউন্ডের বৈঠক শেষে দেশে ফিরে সোমবার (২০ জুন) বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে ধরনের সিরিয়াসনেস নিয়ে কাজ করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আমরা একটা ইতিহাস সৃষ্টি করছি। দুর্গত অবস্থায় সবাই এক সঙ্গে কাজ করছে। সরকারি-বেসরকারি লোক, আমাদের দলের লোকজন, সবাই কাজ করছে।
নৌকার সঙ্কট ছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই সঙ্কট দুর করা হয়েছে। খাবার যথেষ্ট আছে। আমি ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আজ এবং গতকাল ওখানে বৃষ্টি ছিল না। এটা ভাল দিক। ড. মোমেন বলেন, সিলেটে যখন পানি আসে তখন আমরা ব্যাকিকেড দিয়েছি। তারপর পাম্প করে বের করে দিয়েছি। সিলেটে বিদ্যুতের কোনো সমস্য হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, অনেকেই বলেছেন আমদের সাহায্য লাগবে কীনা। আমরা বলেছি আমাদের পর্যাপ্ত অেছে। আমরা অন্যের কাছে হাত পাততে চাই না। নিজেকে সিলেট এলাকার সন্তান উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা বছরই আমরা বন্যা দেখেছি। সিলেট ছিল দীঘির শহর। এখন এগুলো নাই। খালগুরোও ভরাট করেছি আমরা। হাওরের মধ্যেও আবাসিক এলাকা বানিয়েছি।
কুশিয়ারা-সুরমা নদীতে কোনো ড্রেজিং হয় না ৫০ বছরেও এমনটা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, বলা হয় ১০ মিটার গভীরতা কমে গেছে নদীগুলোর। পণ্ডিতরা এসব বলেন। এগুলোর ব্যপারে সিরিয়াস কিছু পরিকল্পনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। ড. মোমেন বলেন, আমি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বলেছেন ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কথা। আমি বলেছি এত টাকার প্রকল্পের দরকার নাই। নদীগুলো ড্রেজিং করে দিলেই হবে।
আরইউ/এএজেড
