সাংবাদিকদের ফল উৎসব অব্যাহত রাখতে চাই: স্পিকার
সংসদ বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) আয়োজিত ফল উৎসবকে ইউনিক বলে আখ্যায়িত করলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'সংসদ বিটের সাংবাদিকদের ফল উৎসবে নতুনত্ব আছে, বিশেষত্ব আছে। ফল উৎসবের একটা আলাদা বৈশিষ্ট আছে। এটার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই।'
সোমবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ তলায় সাংবাদিক লাউঞ্জে বিপিজেএ আয়োজিত ফল উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রতি বছর জুন মাসে এই ফল উৎসব করা হয়ে থাকে। তবে করোনা শুরু হওয়ার পর গত দুই বছর এই আয়োজন বন্ধ ছিল।
স্পিকার বলেন, 'দুই বছর পরে হলেও আমরা আমাদের ফল উৎসবে আবার সকলে একত্রিত হতে পেরেছি। যদিও এটা সত্যি আজকে আরও অনেক বেশি ভিড় হতো এবং পুরো জায়গা মানুষে ভরে যেত। করোনা টেস্ট করার জন্য হয়তো সবাইকে সাথে পাইনি। এজন্য অবশ্যই তাদেরকে মিস করছি।'
তিনি বলেন, এই ফল উৎসব সংসদ বিটের সাংবাদিকদের চিন্তা প্রসূত একটা ইউনিক অনুষ্ঠান। অনেক জায়গাতে ফলের মেলা হয় কিন্তু এই ধরণের একটা ফল উৎসব হিসেবে এবং দেশীয় সকল ফলের সমাহার এটার বিশেষত্ব আছে। অতীতে যতবার এসেছি অনেক গুণেছি কতটি ফল এক সঙ্গে সংগ্রহ করতে পেরেছি। কত বেশি সংখ্যক ফল আনতে পেরেছি। এমন অনেক ফল এসছে যেটা হয়তো আমরাও অনেকে চিনি না। এই উৎসবের একটা নতুনত্ব আছে, বিশেষত্ব আছে।
স্পিকার বলেন, ফল উৎসবের ধারাবাহিকতা আগামীতে অব্যাহত রাখতে চাই। যেন প্রতি বছর মৌসুমি ফলের সময় এটা করতে পারি সেই চেষ্টা থাকবে। এটা বাংলাদেশের একটা ঐতিহ্য। তবে আজকের অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকারকে মিস করছি। অন্যান্য বছর সব সময় তিনি আমাদের পাশে থাকতেন, তাঁর সুস্থতা কামনা করি।
চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী বলেন, আমি ভাবতেও পারি নাই এধরণের সুন্দর অনুষ্ঠান হবে। আসার পর কাঠালের গন্ধে মনে হচ্ছে এখানে ফলের একটা সমাহার বসেছে। আমাদের ফল, আমাদের সংস্কৃতি, এটাই আমাদের সম্পদ। এটাকে ধরে রাখতে হবে। এটাতে যতো উন্নয়ন করবো আমাদের আগামী প্রজন্ম শিখবে। সবাই এখন বিদেশী ফলের দিকে চলে যাচ্ছি আমাদের ফল, আমাদের সংস্কৃতি আমাদের গান এটাই তো বাংলাদেশ। এই ধরণের উৎসব আরও বেশি করে করা দরকার।
বিপিজেএ এর সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি উত্তম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ফল উৎসবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম। বিপিজেএ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল ভদ্রের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক কাজী আফিফুজ্জামান (কাজী সোহাগ)।
এবারও দেশীয় ২১ জাতের ফল দিয়ে সাজানো হয় এই ফল উৎসব। এরমধ্যে ছিল আম, জাম, কাঠাল, লিচু, পেয়ারা, তরমুজ, ডেউয়া, লটকন, আমলকি, আনারস, পেঁপে, গাঁজর, বিলাতি গাব।
এসএম/এএজেড