সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে আরও আলোচনা করব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সীমান্তে আমরা কিছু কাজ করতে চাইছি। ভারত বাধা দিয়েছে। আমরাও বাধা দিয়েছি। কিন্তু এসব বিষয় নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি। আমরা আরও আলোচনা করব।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) ৭ম রাউন্ডের বৈঠক শেষে দেশে ফিরে সোমবার (২০ জুন) বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তবে ভারত আমাদের ভাল রেসপন্স করেছে। সীমান্তে গত কয়েক সপ্তাহে কোনো হতাকাণ্ড নাই।
ড. মোমেন বলেন, নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচার করেছি। জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদের হাব হিসেবে ব্যবহার করা থেকে পদক্ষেপ নিয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে আসাম ও মেঘাালয়ে প্রভূত উন্নতি হয়েছে।
নদীগুলো উন্মুক্ত করার বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে যাতে সস্তায় বাণিজ্য করা যায় এমনটা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বলেছেন তারা এগুলো পরীক্ষা করবেন। তারা একমত হয়েছেন যে নদীপথে সস্তায় বাণিজ্য সম্ভব এবং বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ২৮ লাখ লোক নদীপথে ভারতের বেড়াতে গেছেন।
ড. মোমেন আরও বলেন, আমরা তাদের বলেছি আমার দেশের লোক যেহেতু তোমাদের ওখানে গিয়ে খরচ করে। এতে তোমাদের উন্নতি হয়। তোমার দেশের কয়েক হাজার লোক আমাদের এখানে চাকরি করে রেমিট্যান্স পাঠায়। বাংলাদেশ চতুর্থ বৃহত্তম রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশ ভারতের।
মূল্যস্ফিতি বাড়ানো নিয়ে যথেষ্ট অলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যদের যুদ্ধ নিয়ে আমাদের এখানে যাতে ইমপ্যাক্টটা কম হয় সেসব নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। ফিডব্যাকটা ভেরি পজিটিভ। তারা আমাদের নিয়ে কাজ করতে চায়।
শ্রীলঙ্কার দিকে ইঙ্গিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আশাপাশের দেশগুলো যাতে ঝামেলায় আর না পড়ে সেজন্য একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। স্থিতিশীলতা খুবই প্রয়োজন।
আরইউ/এমএমএ/
