মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে 'সিন্ডিকেট'ই বহাল থাকছে!
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে আগের অবস্থানেই আছে মালয়েশিয়া। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এর ফলে 'সিন্ডিকেট ব্যবস্থাই' বহাল রাখল দেশটি।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে ৩ বছর বন্ধ থাকার পর দেশটিতে কর্মী পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়। মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই ৩ বছর দেশটিতে কর্মী পাঠানো বন্ধ ছিল।
সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর মালয়েশিয়া শর্ত দেয় ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সি ও তাদের সহযোগী ২৫০ এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠাতে হবে। এজেন্সি নির্বাচনও করবে মালয়েশিয়া।
কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রা ও বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়ার শর্ত প্রত্যাখ্যান করে। বাংলাদেশ সরকার চিঠি দিয়ে সেটি জানিয়েও দেয় মালয়েশিয়াকে।
এর ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি। অবশেষে ঢাকায় আসেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানন। গত ২ জুন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, কর্মী পাঠানোর জট খুলেছে। ১ হাজার ৫২০টি রিক্রুটিং এজেন্সির সবগুলোই কর্মী পাঠাতে পারবে। তবে সবগুলো এজেন্সি তো সুযোগ পাবে না। কারা সুযোগ পাবে সেটা মালয়েশিয়া নির্ধারণ করবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার নেতারা বলে আসছিলেন সিন্ডিকেট ব্যবস্থাই বহাল থাকল।
কিন্তু রবিবার (১৯ জুন) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানন এক বিবৃতিতে আগের ব্যবস্থার কথা বলেছেন। বিবৃতিতে তিনি জানান, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের পাঠানো ১ হাজার ৫২০টি নিয়োগকারী সংস্থা থেকে ২৫০টি কোম্পানিকে বেছে নেবে। এ তালিকা থেকে আগেই ২৫টি কোম্পানিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এখন শুধুমাত্র প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২৫টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২৫টি কোম্পানি একটি কাঠামোর মধ্যে কাজ করবে। এ ২৫ কোম্পানির প্রতিটিতে ১০টি কোম্পানি বরাদ্দ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলছেন, দেশটিতে ১৪টা উৎস দেশের ১৩টা যেভাবে শ্রমিক পাঠায় সেখানে বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন নিয়ম হওয়ার অর্থ হলো, এটা তাদের মানি মেকিং মেশিন বানানোর পায়তারা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কর্মীরা, আর দেশ তো বটেই।
আলী হায়দার বলেন, হাইকোটের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে, শ্রমিক পাঠানোয় কোনো মনোপলি না থাকার। তাও উপেক্ষিত হচ্ছে। অনিয়ম, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাবে। এটা স্বাধীন দেশের জন্যে অমর্যদাকর।
আরইউ/এসএন