বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন সরকারের বিবেচনাধীন

সাক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আইন প্রণয়নের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘বিচারের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে মামলার সাক্ষী। সাক্ষীদের প্রদত্ত সাক্ষ্য পর্যালোচনার মাধ্যমে বিচারক রায় প্রদান করেন।’

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকালে সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এতথ্য জানান।

বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে দ্রুততম সময়ে সাক্ষীদের অবহিত করার জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস প্রেরণের মাধ্যমে সাক্ষীদের প্রতি সমন জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতে সাক্ষীরা যাতে ভোগান্তি ছাড়া সাক্ষ্য প্রদান করতে পারেন সেজন্য জেলাগুলোতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া, সাক্ষীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আইন প্রণয়নের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে দ্রুততম সময়ে সাক্ষীদের অবহিত করার জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস প্রেরণের মাধ্যমে সাক্ষীদের প্রতি সমন জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ফৌজদারী মামলার সাক্ষীগণ আদালতে বিচারাধীন মামলার ধার্য তারিখ সম্পর্কে বিদ্যমান সমন জারি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি এসএমএস-এর মাধ্যমে অবগত হবেন। ফলে সহজে ও স্বল্প খরচে আদালতে সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত হবে, যার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হবে।

সৈয়দ আবু হোসেনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিকালে দেশের মানুষ যেন ন্যুনতম বিচারিক সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে দেশের সকল আদালতে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে বিচারপ্রার্থী সকল পক্ষ এবং তাদের আইনজীবীগণের ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিতক্রমে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্যোগ যুগান্তকারী। ফলে বিচারাধীন জরুরী বিষয়গুলো ভার্চ্যূয়াল আদালতে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালের ১১ মে হতে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট এবং ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ভার্চ্যুয়াল আদালতের মাধ্যমে মোট ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৮২টি জামিনের দরখাস্ত নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৪৬ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা প্রদান করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এসএম/এমএমএ/

 

Header Ad

গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ১৩৪ জন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবারের হতাহতের ঘটনার গাজায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৪৪ হাজার ২৮২ জনে এবং ১ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জনে।

তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার সকলেই এখন খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে রয়েছেন।

২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

Header Ad

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী

ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার বর্ডারে মাছ ধরার সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে সেন্টমার্টিন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসারে এ ঘটনা ঘটে।

আহত জেলের নাম মোহাম্মদ এরশাদ (৪০), তিনি সেন্টমার্টিন গলাচিপার বাসিন্দা। তবে তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি এলাকায়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিনের এক ইউপি সদস্য বলেন, সেন্টমার্টিন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমারের কিছুটা অংশে দেশটির নৌবাহিনীর সদস্যরা জেলেদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে জেলেদের ওপর গুলি চালায়। এতে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হন।

দ্বীপের এক বাসিন্দা জানান, সেন্টমার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ শিকারকালে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে জেলেদের ওপর গুলি চালায়। এতে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার ডান হাতে গুলি লাগে।

এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, ভুলক্রমে মিয়ানমার নৌবাহিনী ওই জেলেকে গুলি করেছে। পরে তারা আহত জেলেকে চিকিৎসা দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয় বলে বিষয়টি জেনেছি।

Header Ad

সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা

ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠির নলছিটিতে ৮ দিন ধরে বাবাকে কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে মেয়েদের বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নলছিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম জানতে পেরে তাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমাপ্তি রায় উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের সরই গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা
মোশাররফ হোসেন তালুকদার ওই এলাকার বাসিন্দা।

মোশাররফ হোসেন তালুকদার বলেন, আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে আমি আমার মেয়েদের অনুমতিতে বিবাহ করি। আমার স্ত্রীকে নিয়ে নলছিটিতে বাসা ভাড়া থাকি। গত ১৯ নভেম্বর আমাকে ধরে এনে মেয়ের বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। জোর করে জায়গা জমি দলিল করিয়ে নিতে চেয়েছে। পরে আমার স্ত্রী জানতে পেরে ইউএনও স্যারকে জানায়। তিনি এসে আমাকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে মোশাররফ হোসেনের মেয়ে, রেবা আক্তার, লাকি আক্তার বলেন, তিনি আমাদের জন্মদাতা পিতা। তিনি আমাদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত করছেন। তাই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। আমাদের সবকিছু দিতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, মোশাররফ হোসেন তালুকদারের স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানেই গিয়ে ভুক্তভোগী নিজেই আমাদের লিখিত দিয়েছেন যে তাকে আটকে রেখেছেন। পরে তাকে উদ্ধার করা হয় এবং ওই মুক্তিযুদ্ধোকে বলা হয়েছে তার মেয়েরা যাতে বঞ্চিত না হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট