কুসিক নির্বাচন
সংসদ সদস্যের বিষয় থেকে ইসির শিক্ষা নিতে হবে: এম সাখাওয়াত
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন। তবে এই নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণের যে অভিযোগ উঠেছিল, তা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচন কমিশনের শিক্ষা নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন বিশ্লেষক এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আজকের ভোটসহ এ যাবত হয়ে যাওয়া সবগুলো নির্বাচনই সুষ্ঠ হয়েছে। সেখানকার নির্বাচন ধারাবাহিকভাবেই ভালো হয়েছে। কুমিল্লায় কখনো খারাপ নির্বাচন হয়নি।
তাছাড়া এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যথেষ্ট ভালো ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই নির্বাচন থেকে একটি বিষয়ে কমিশন শিক্ষা গ্রহণ করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি। কোন বিষয়? স্থানীয় সংসদ সদস্য (কুমিল্লা আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস এলাকা) আ ক ম বাহাউদ্দিনের কথা বলছেন কিনা, জানতে চাইলে সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, হ্যাঁ। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি হলে করণীয় বিষয়ে কমিশনকে চিন্তা করতে হবে। হাল ছেড়ে দেয়া উচিৎ হয়নি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য সিটি করপোরেশন এলাকার ভোটার। তিনি এলাকায় থাকার যৌক্তিকতা দেখাতে পারেন। এক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ে সাবেক একজন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আপনি কী পরামর্শ দেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই বিষয় আইনে বলা আছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য সিটি নির্বাচনে যেই প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন, ফলাফলে যদি ওই প্রার্থী জিতে, তাহলে তো তাকে নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ থেকে যাবে। আল্টিমেটলি দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সামনে আরও বড় পরীক্ষা। তাদের সামনে দুইটি পরীক্ষা। একটি হচ্ছে সব দলকে নির্বাচনে আনা, আর অন্যটি হচ্ছে এমন পরিস্থিতি (সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ) আরও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৫ জুন) কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট চলাকালে কেন্দ্র দখল বা প্রভাব বিস্তারের মতো বড় কোনো অভিযোগ আসেনি। মেয়র বা কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও অভিযোগও আসেনি। নির্বাচনকেন্দ্রিক খুব চেনা এসব পরিবেশের উল্টো চিত্র নির্বাচনে দেখা গেছে। পুরো সময়টায় দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে।
বুধবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হলো বেলা চারটায়। এ সময় অবশ্য বড় দুই বিঘ্ন ঘটেছে। একটি প্রাকৃতিক, অন্যটি যান্ত্রিক। দুই কারণেই ভোট দেওয়ার গতি হয়েছে ধীর। সকাল নয়টার দিকে শুরু হওয়া ঝুম বৃষ্টিতে এক দফা বিঘ্ন ঘটে ভোটের। আর দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএমের কারণে ভোটদানে ধীর গতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী প্রার্থীরাও এ নিয়ে কথা বলেছেন।
এমএ/