বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘মেট্রোরেল চালু হলে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে’

মেট্রোরেল চালু হলে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন মেট্রোরেল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‌‘যানজটে প্রতি বছর ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি ক্ষতি হচ্ছে। এমআরটি লাইন-৬ চালু হওয়ার পর যে ট্রাভেল টাইম বাঁচবে দেখা গেছে ৩৮ মিনিটে যেতে পারবে যে পথ যেতে লাগতো ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। তাতে পরিমাণ ভেহিক্যাল অপারেশন খরচ হতো এমআরটি লাইন-৬ চালু হলে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।’

বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এমআরটি লাইন-৬ (মেট্রোরেল) এর অগ্রগতি ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান।

রাজধানীতে চলাচলের জন্য নিবদ্ধিত যানবাহনের সবশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে চলাচলের জন্য নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ মে পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ। এই যানবাহন ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করার জন্য নিবন্ধিত। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ঢাকায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ৬ দশমিক ১২ কিলোমিটার গতিতে মানুষ যাতায়ত করতে পারে, এটা আস্তে আস্তে আরও বাড়ছে। বিভিন্ন স্টাডি থেকে দেখেছি ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা প্রতি বছরে যানজট এবং যানজটের প্রভাবে ক্ষতি হচ্ছে। এমআরটি লাইন চালু হওয়ার পর যে ট্রাভেল টাইম বাঁচবে যেখানে তিন থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় লাগতো সেখানে ৩৮ মিনিটে যেতে পারবে। ফলে যে পরিমাণ ভেহিক্যাল অপারেশন খরচ তাতে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

তিনি বলেন, এমআরটি লাইন ঢাকার পূর্ব পশ্চিমে যাতায়ত অনেক সহায়ক হবে। ৬টি এমআরটি লাইন বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্ধারিত আছে সেভাবে কাজ চলছে। এমআরটি লাইন যখন বাস্তবায়ন শেষ হয়ে যাবে ২০৩০ সালে তখন প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ যাত্রী এই এমআরটি লাইন দিয়ে যাতায়ত করতে পারবেন। যানজট নিরসনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, এমআরটি লাইন-৬ এই ডিসেম্বরে চালু করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আগারগাঁও পর্যন্ত চালু করা হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে বর্তমানে তিনটা পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। প্রথম অংশের কাজ প্রায় ৯২ ভাগ শেষ করেছি। দ্বিতীয় অংশে ৮০ ভাগ এবং ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক কাজ ৮১ ভাগ হয়েছে। মতিঝিল পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের সব জায়গাতে ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ২০ ভাগ আমাদের হাতে আছে দিন রাতে করে যাচ্ছি। সেটিও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।

ডিপোর অভ্যন্তরে প্রায় ১৯ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এমআরটি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হবে। সেজন্য বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ নিয়েছি। অর্থাৎ ন্যাশনাল গ্রিড যদি ফেইল না করে এমআরটিতে কখনও বিদ্যুৎ ফেল করবে না। তারপরও নিজস্ব সিস্টেমেও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। যদি ন্যাশনাল গ্রিড ফেল করে তারপরেও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ট্রেনটা নিকটস্থ স্টেশনে পৌছাতে পারবো। ডিপোতে আর কোন কাজ বাকি নাই। ডিপোর প্যাকেজ ২০ জুন শেষ হবে। ভেতরে সামান্য একটু কাজ বাকি আছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট করার কথা ছিল সেটা পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। ৯ টা মেট্রো স্টেশনের ভেতরে কিছু কাজ দিনরাতে পুরোদমে চলছে। ৯টা স্টেশনের মধ্যে উত্তরা, উত্তর উত্তরা, দক্ষিণ এবং পল্লবী স্টেশনে গমন বর্হিগমন স্ট্রাকচার পুরোপুরি শেষ করেছি। বাকি ৫টার কাজ চলছে। ২/৩ মাসের ভেতর পুরো অংশের কাজ শেষ করতে পারবো।

মেট্রোরেলের গতি সম্পর্কে বলেন, এই ট্রেন বৈদুতিক সিস্টেমে চলবে। যে গতি দেওয়া আছে তাতে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার ডিজাইন করা তবে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে। সিগনালিং সিস্টেম যন্ত্র গুলো বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছি। এখানে ৫ জি তরঙ্গ ব্যবহার করবো। লিফট এবং স্কেলেটর উপরের দিকে শেষ করেছি। নিচের অংশ শেষের দিকে করবো। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল যেটা বলা হচ্ছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর সেটা নির্ধারিত সময়ের আগেই উদ্বোধন করা হবে। সব কাজ প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ করে ফেলেছি। এখন গমন বর্হিগমন কাজগুলো হচ্ছে। বাক কাজগুলো শেষ পর্যায়ে আছে। এরইমধ্যে ১৪ সেট মেট্রো টেন ডিপোতে এসে পৌঁছেছে। আরও দুইটা এখন শিপমেন্টের জন্য প্রক্রিয়াধিন আছে। আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচলারে জন্য ১০ টা মেট্রো টেন হলে আমাদের কমফোর্টলি সিডিউল ঠিক রাখতে পারবো। এখন ট্রায়াল রান হবে যেটা যাত্রীবিহীন হবে এটা সম্পটন্ন করার পর ডিসেম্বর মাসে উদ্বেধনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার।

এমআরটি লাইন-৬ অর্থনৈতিক প্রভাব: রাজধানী ঢাকা সব কিছুর কেন্দ্র বিন্দু। এখান থেকে মোট জিডিপির ৩৬ শতাংশ অবদান রাখে। এখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫০ হাজার লোক বসবাস করে। এমআরটি লাইন-৬ চালু হলে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এই সাশ্রয়কৃত অর্থ এমআরটি লাইন-৬। আরও ৫টা লাইন যখন চালু হবে এই সাশ্রয়কৃত অর্থ অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবহার করতে পারবো। অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

সামাজিক প্রভাব:

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বিদেশে যারা কর্মরত আছেন তারা যেন বাংলাদেশে এসে যেন অনুভব করেন যে ওই দেশের মেট্রোরেলের চাইতে বাংলাদেশের মেট্রোরেল কোন অংশে কম না, আরও বেশি। শারীরিক প্রতিবন্ধী যারা আছেন তারা যেন যাতায়ত করতে পারেন সেজন্য যতগুলো সুবিধা দরকার উন্নত দেশের ন্যায় সেটা মেট্রো স্টেশন এবং ট্রেনের ভেতরে করা হয়েছে। মেট্রোরেলের একটা কোচ মহিলাদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। এই কোচে মহিলারা যাতায়াত করতে পারবে। তবে অন্য কোচেও যাতায়াত করতে চাইলে তারা তা করতে পারবে। মেট্রো স্টেশনের প্লাটফর্মে মহিলাদের পৃথক বাথরুমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সেখানে বাচ্চাদের ডায়াপার পরানো এবং দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গর্ভবতী মহিলা এবং বয়স্করা যাতে যাতায়ত করতে পারে সেজন্য মেট্রো ট্রেনে মেট্রো স্টেশনে উঠা নামার বিষয়ে সব কিছুর ব্যবস্থা রাখা আছে। উঠা নামার তিনটা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সিঁড়ি, স্কেলেটর, লিফট।

পরিবেশগত প্রভাব: মেট্রো রেল যখন চলাচল করবে এখান থেকে শব্দ দূষণ করবে না। এটাকে আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন স্থাপনের পাশ দিয়ে নিয়েছি। মেট্রো চালু হলে কম্পন সৃষ্টি হবে না। মেট্রো লাইনে দুই পারে শব্দ নিরোধ দেওয়াল করা হয়েছে। এখান থেকে শব্দ এবং কম্পোন দুষন হবে না। দৈনিক ৫০ লাখ যাত্রী এই নেটওয়ার্কে যাতায়াত করতে পারবেন। যানজট নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে মেট্রো রেল। কার্বন নি:র্সন কমাতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে। শুধু যদি এমআরটি লাইন-৬ চালু হয় তাহলে ২ লাখ ২ হাজার ৭২৬ টন কার্বণ নি:সরন হ্রাস হবে।

কর্মসংস্থান: তরুন প্রজন্মে কর্মসংস্থানে ভালো ভূমিকা রাখবে মেট্রোরেল। আমরা গড় হিসেব করে দেখেছি প্রতিটা লাইনে প্রায় ২ হাজার প্রকৌশলী মাঠ প্রকৌশলী এবং ম্যানেজমেন্ট কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তাতে ৬ টা লাইন ধরলে ১২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

ঢাকাবাসীকে মেট্রোরেলের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মেট্রোরেল আসছে আপনারা প্রস্তুত হোন।

এসএম/

 

Header Ad

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

বিগত ১৬ বছরে হাজার হাজার গুম ও জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিসি) চিফ প্রসিকিউটর করিম এ খান সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

এ সময় তারা রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমার পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনের সময় নৃশংসতার বিচার ও জবাবদিহিতা নিয়ে আলোচনা করেন।

করিম এ খান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, মিয়ানমার সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে আইসিসি অফিস রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে।

করিম খান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের আহ্বানকে সমর্থন করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৫ সালে এই সম্মেলন আয়োজনের সম্মতি দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সম্মেলন থেকে সংকট সমাধানের একটি নতুন টেকসই দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে। সম্মেলনের স্থান ও তারিখসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সম্মেলন আন্তর্জাতিক সব অংশীদারকে একত্রে নিয়ে এসে সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের পথ বের করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গা এবং তাদের শিশুদের দুরবস্থার বিষয়ে।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এই সংকট বিস্ফোরিত না হয়। শিবিরে বেড়ে ওঠা হতাশাগ্রস্ত যুবকদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল এবং মিয়ানমারের সর্বশেষ পরিস্থিতি বাংলাদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি সুরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য তার সাম্প্রতিক আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই সুরক্ষিত অঞ্চল বাস্তুচ্যুত মানুষকে সহায়তা এবং চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় কার্যকর হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলের নিরাপত্তা জাতিসংঘ দ্বারা নিশ্চিত করা উচিত। যখন লড়াই বন্ধ হবে, এই সুরক্ষিত অঞ্চলে থাকা মানুষ সহজেই তাদের নিজ নিজ স্থানে ফিরে যেতে পারবে।

ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইসিসিতে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনবে, যা তার প্রায় ১৬ বছরের দীর্ঘ শাসনকালে জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনের সময়ের হত্যাকাণ্ড এবং হাজার হাজার গুমের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত।

আইসিসি চিফ প্রসিকিউটর জানান, তারা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সহযোগিতা করতে চান। এই আদালত শেখ হাসিনা এবং তার রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান প্রসিকিউটর করিম এ খান এবং তার আইসিসি প্রতিনিধিদলের সদস্যদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।

খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আইসিসি প্রতিষ্ঠার জন্য রোম সংবিধি স্বাক্ষরকারী প্রথম এশীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং আমরা আগামী দিনগুলোতে আমাদের সহযোগিতা আরও গভীরভাবে করার অপেক্ষায় আছি।

Header Ad

গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ১৩৪ জন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবারের হতাহতের ঘটনার গাজায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৪৪ হাজার ২৮২ জনে এবং ১ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জনে।

তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার সকলেই এখন খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে রয়েছেন।

২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

Header Ad

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী

ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার বর্ডারে মাছ ধরার সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে সেন্টমার্টিন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসারে এ ঘটনা ঘটে।

আহত জেলের নাম মোহাম্মদ এরশাদ (৪০), তিনি সেন্টমার্টিন গলাচিপার বাসিন্দা। তবে তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি এলাকায়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিনের এক ইউপি সদস্য বলেন, সেন্টমার্টিন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমারের কিছুটা অংশে দেশটির নৌবাহিনীর সদস্যরা জেলেদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে জেলেদের ওপর গুলি চালায়। এতে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হন।

দ্বীপের এক বাসিন্দা জানান, সেন্টমার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ শিকারকালে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে জেলেদের ওপর গুলি চালায়। এতে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার ডান হাতে গুলি লাগে।

এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, ভুলক্রমে মিয়ানমার নৌবাহিনী ওই জেলেকে গুলি করেছে। পরে তারা আহত জেলেকে চিকিৎসা দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয় বলে বিষয়টি জেনেছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি