বুধবার থেকে জনশুমারি শুরু, সবাইকে যুক্ত করা হবে
জনশুমারি ও গৃহগণনায় কেউ বাদ পড়বে না উল্লেখ করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ‘১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত এই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু হচ্ছে। এই তথ্য মসজিদ থেকে শুরু করে সব জায়গায় প্রচার করা হয়েছে। সবার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একজন ব্যক্তি দুইবার গণনায় আসবে না। বিদেশে যারা আছেন তাদের তথ্যও অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর শেরে-ই বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান। ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর সার্বিক বিষয়ে অবহিতকরণে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে প্রথম জনশুমারি শুরু হয়। তখন জনসংখ্যা ছিলো ৭ দশমিক ১৫ কোটি। ১০ বছর পর পর এই শুমারি হয়ে থাকে। সর্বশেষ ২০১১ সালের শুমারিতে জনসংখ্যা ছিলো ১৪ দশমিক ৯৮ কোটি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনশুমারি ও গৃহগণনার জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি করে তথ্যসংগ্রহকারিদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাত ১২টার পরই থেকে সারা দেশে গণনা শুরু হবে। তাই নতুন করে কোন তথ্য যোগ করার সুযোগ নেই। যা হওয়ার হয়ে গেছে। তার ভিত্তিতেই তথ্য আনা বড় কথা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে করা হবে রিপোর্ট। তবে অর্থনৈতিক শুমারিতে সড়ক বা রাস্তার তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
ড. শামসুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী খানা প্রধানের (তথ্যপ্রদানকারি) তথ্য গোপন রাখা হবে। কাজেই ভয়ের কিছু নেই। কেউ যেন বাদ না পড়ে সেজন্য সবার সহযোগিতা দরকার। কারণ প্রতি ১০ বছর পর পর এই শুমারি করা হয়। তাতে প্রায় দুই কোটি মানুষ বেশি বলে গণ্য হয়। কাজেই এবারও দুই কোটি মতো মানুষ শুমারিতে যোগ হতে পারে। গণনা শেষে খুব তাড়াতাড়ি চূড়ান্ত রিপোর্ট করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক ও উপ-সচিব দিলদার হোসেন বলেন, ‘ভোট হলেও কোনো এলাকায় শুমারির কাজ বন্ধ হবে না। সরকার থেকে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তথ্য সংগ্রহকারিদের তথ্য ও আইডি কার্ড নেওয়া হয়েছে। তাদের তথ্যও থানায় দেওয়া হয়েছে। কাজেই কারো কাছে তথ্যসংগ্রহকারিদের ব্যাপারে সন্দেহজনক মনে হলে কাছের থানাকে অবহিত করতে পারবেন। এবারের শুমারি ট্যাবের মাধ্যমে হবে। কাজেই ট্যাব চুরি হয়ে গেলে ভয়ের কিছু নেই। সাতি দিনে একজন তথ্য সংগ্রহকারি ১০০ মতো খানা জরিপ করবে। সেই তথ্য বিবিএস অফিসে জমা হয়ে যাবে। কাজেই হ্যাক হলেও ভয়ের কিছু নেই। আবার সার্ভার থেকে তথ্য নেওয়া হবে নতুন ট্যাবে। এই জরিপ শেষে ট্যাবের তথ্য মুছে ফেলা হবে। ওই ট্যাব আবার অর্থনৈতিক শুমারিসহ অন্যান্য শুমারির কাজে ব্যবহার করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ সবার কাছে শুমারির তথ্য প্রচার করার জন্য শুক্রবারও ঈমামদের বলা হয়েছে। তারা মসজিদে মুসল্লিদের সেই বার্তাও দিয়েছে। আগামী শুক্রবারও বার্তা দিবে। সারা দেশে ৩ লাখ ৬৬ হাজার তথ্য সংগ্রহকারিদের মাধ্যমে এই শুমারির কাজ শুরু হবে। ৬ স্তরে সুপারভাইজ (মনিটরিং) করা হবে। অল্প সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। কারওয়ান বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজারের ভাসমান মানুষকেও গণনায় আনা হবে।’
জেডএ/