২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা: প্রতিমন্ত্রী
২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি আর জানান, ‘সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন বলে ঘোষণা দেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ২০০৯ সালের শুরুতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৮ হাজার ৩০০ সার্কিট কিলোমিটার। একই সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ৬ লাখ ১০ হাজারে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে।’
মাহফুজুর রহমানের (চট্টগ্রাম-৩) অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ এ খাতের সার্বিক ও সুষম উন্নয়নের তাৎক্ষণিক, স্বল্প মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ২০০৯ সালের পূর্বে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধাভুক্ত মানুষ ছিল মাত্র ৪৭ শতাংশ।
সরকারের পরিকল্পনাসমূহ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যুৎ খাতে বিগত ১৩ বছরে অবশিষ্ট ৫৩ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার ফলে বর্তমানে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম এলাকা ব্যতীত দেশের সকল উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
এসএম/এমএমএ/