সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

অ্যালকোহল উন্মুক্ত করার পক্ষে যা বললেন মন্ত্রী-এমপি

চোরাই পথে মাদক আনা ও কেনাবেচা বন্ধে অ্যালকোহল আমদানিতে ছাড় দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিসহ পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মাদক কেনাবেচা বন্ধে বিকল্প পথ খুঁজে বের করারও পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত কর্মসূচিও তুলে ধরা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ অংশ গ্রহণ করেন।

বিষয়টির ওপর সুনির্দিষ্ট মতামত ও সুপারিশ চান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনির সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন। তিনি সংসদীয় কমিটির কাছে প্রস্তাব করে বলেন, ‘মাদক এবং অ্যালকোহল দুইটি ভিন্ন জিনিস। অ্যালকোহলের প্রতি কিছুটা ছাড় দিলে ড্রাগ সেবন কিছুটা কমতে পারে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট মতামত ও সুপারিশ প্রয়োজন।'

পরে সে বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেন জানান, বাংলাদেশে অ্যালকোহল উপর ৬০০ শতাংশ ট্যাক্স নির্ধারণ করা আছে। বাংলাদেশের সমস্ত ক্লাবে অ্যালকোহলের লাইসেন্স আছে। কিন্তু তারা কেউ আমদানি করে না কারণ, ট্যাক্স দিতে হয় বেশি। ক্লাবগুলো বেআইনীভাবে চোরাই পথে আসা মদ বিক্রি করে। যার কারণে দাম কম, ক্রেতাও বেশি। এতে করে সরকার প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাহলে মদ আমদানির উপর ট্যাক্স বৃদ্ধি করে কী লাভ হলো। আবার ট্যাক্স কমিয়ে দিলে অথবা মদ উম্মুক্ত করে দিলে ইসলামপন্থী বিভিন্ন দলগুলো আন্দোলনে নেমে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

এ বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, মাদক নির্মূল করতে হলে কিছু নীতি পরিবর্তন করতে হবে। চোরাই পথে মদ ও বিয়ার ঢাকা শহরের সকল ক্লাবে বিক্রি হয়। ক্লাবগুলোর বৈধ লাইসেন্স রয়েছে আমদানি ও বিক্রয় করার জন্য। কিন্তু ট্যাক্স দিয়ে কেউ আমদানি করে না।

মুসলিম দেশ হিসেবে উম্মুক্তভাবে না হলেও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিলে যুব সমাজকে মাদকাসক্ত থেকে কিছুটা কমিয়ে আনা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন। ফেনসিডিল-ইয়াবা বন্ধে সীমান্ত এলাকায় অনেক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না বিধায় নতুন করে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

র‍্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমেরিকা ও কানাডায় গাঁজাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বাংলাদেশে মাদক কখনো বন্ধ করা যাবে না, তবে হয়তো কিছুদিনের জন্য কমিয়ে রাখা যেতে পারে। কারণ, মাদকের বিকল্প কিছু একটা সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাই অ্যালকোহল, মদ, গাঁজা এগুলো সম্পর্কে আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, মদ, বিয়ার বা অ্যালকোহলের ওপর ট্যাক্স কমিয়ে দিলে যদি রাজস্ব বৃদ্ধি পায় তাহলে তাই করা উচিত। ড্রাগ, আইস, ইয়াবা ও এলএসডি এগুলো ভয়াবহ ক্ষতিকর মাদক। কোনো মাদকে অ্যালকোহলের পরিমাণ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে তা সরকারিভাবে বৈধ করা আছে। মদ, বিয়ার, গাঁজা ইত্যাদি মাদক যদি ৫ শতাংশের নিচে অ্যালকোহল থাকে তাহলে এগুলো বৈধ ঘোষণা করে দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। 'গিয়ার' নামে ড্রিঙ্কসে ৪ দশিমক ৯ শতাংশ দিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। তিনি যুব সমাজকে মাদকের নেশা থেকে বাঁচাতে এই সবকিছু বিবেচনা করার জন্য সরকারের নিকট অনুরোধ জানান।

সকলের মতামত শুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, মাদক বন্ধে সরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। যুব সমাজকে মাদক থেকে সরিয়ে আনতে হলে বিকল্প ব্যবস্থা অবশ্যই দরকার। তবে আমাদের বুঝতে হবে ক্ষতিকর ড্রাগ কোনটা? এলএসডি, ইয়াবা, হিরোইন এগুলো ক্ষতিকর বিধায় যারা সেবন করে তাদের ব্রেন ও লিভার দুই বছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এগুলো থেকে যুব সমাজকে সরানোর উপায় খুঁজে বের করার বিকল্প কী আছে তা নিয়েও সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানান। যমুনা গ্রুপের 'হান্টার' ড্রিংকসে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ ঘোষণা দিয়ে পণ্য বাজারজাত করছে। সবগুলো বিষয়ের উপর সরকার সার্বিক বিবেচনা করেই পদক্ষেপ নেবে। এগুলোর দিকেও সরকার নজর রাখছে বলে তিনি জানান।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, অ্যালকোহল সেবন উন্মুক্ত করার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। অ্যালকোহল আমদানিতে ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত নেওয়া যায়। তবে সে সঙ্গে চোরাই পথে বা অবৈধপথে আমদানি হলে লাইসেন্স বাতিলসহ আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। অ্যালকোহল কী পরিমাণ মাত্রায় সেবন করা যায় তার জন্য বিভিন্ন নীতিনির্ধারক এবং বিশেষজ্ঞ রয়েছে। ড্রাগ অর্থাৎ মাদক বলতে যেটা বুঝাচ্ছে সেটার কারণে দেশের তরুন সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তরুণ সমাজকে রক্ষা করার জন্যই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকতে হবে। যে সকল মাদক সেবন করলে যুব সমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে যেমন-ইয়াবা, এলএসডি, আইস, হেরোইন ইত্যাদি বন্ধ করার জন্য কঠোর হওয়ার অনুরোধ করেন।

পাঁচ শতাংশের নিচে অ্যালকোহল যুক্ত বেভারেজ/পানীয় যে সকল প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করছে, তাদের নির্দেশ দেওয়া দরকার যে, সে সকল বোতল বা ক্যান এ অবশ্যই দৃশ্যমান করে অ্যালকোহলের মাত্রা লিখে দিতে হবে। যাতে অনুমোদিত মাত্রার অ্যালকোহল নিশ্চিত হলেও কেউ অজান্তে অ্যালকোহল গ্রহণ করতে না পারে। নেশা জাতীয় ড্রাগ, ইয়াবা যারা অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসছে, যারা বহন করছে, যারা এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের এবং দ্রুততম সময়ে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন হলে আইনও সংশোধন করা দরকার। চোরাই পথে মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। পুলিশের হাতে ইয়াবা ধরা পড়লে বিজিবি'র উপর কিছুটা হলেও দায় এসে যায়। হয়তো কিছু চেক পয়েন্টে আরো সতর্ক থাকার দরকার ছিল, তেমনি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও আরও তৎপর থাকলে ইয়াবার প্রবেশ ঠেকানো যেত। অর্থাৎ সবগুলো সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে না পারলে দায় সবার।

সংসদ সদস্য বেগম রুমানা আলী বলেন, যে সকল মাদক হালকা ক্ষতিকর সেগুলোর ব্যবহার উন্মুক্ত করা যেতে পারে এবং যেগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ক্ষতি হয় সেগুলোকে অনুমোদন দেওয়া উচিত নয়।

 

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক সাগর, রেদোয়ান ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাইফ ও মোরশেদুল ইসলাম। তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে আজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আচমকা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ছাত্রদল নেতা ফারুক চট্টগ্রাম কলেজে থাকতে পারবে না।’ এরপর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীরা শিবির নেতা শামীম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মী নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের মারধর করে এবং কলেজে ছাত্রদলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা চকবাজার থানার ওসি ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানভীর হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই আমরা কোনো গ্যাদারিং করিনি এবং কলেজের বাইরে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখেছি, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ফরম বিতরণ করছিল। তাদের কোনো কলেজ ড্রেস বা আইডি কার্ড ছিল না। তখন কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয় এবং জানায় যে এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক হামলা নয়। যদি ছাত্রশিবির হামলা করত, তাহলে তাদের নাম ও পদ-পদবি প্রকাশ করা হোক।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার কাছে বিচার দিয়েছে যে, তারা লিফলেট বিতরণ করার সময় কিছু ছেলে এসে তাদের টানাহেঁচড়া করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা জানিয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে জটলা করছিল এবং তারা বহিরাগত। এরপর আমি উভয়পক্ষকে কিছুক্ষণ কাউন্সেলিং করেছি।”

এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে পরবর্তী কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

Header Ad
Header Ad

সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করেছে রোহিত শর্মার দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিলের ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪২ এবং খুশদিল শাহের ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ২৪১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিং ছিল প্রশংসনীয়।

২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল ভালো শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল আউট হলে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার।

কোহলি ও আইয়ারের ১১৪ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। তবে ৫৬ রানে খুশদিল শাহের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কোহলি ছিলেন অবিচল। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তিনি ১১১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ধীরে শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। বাবর ২৬ বলে ২৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্যদিকে রান আউট হয়ে ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর রিজওয়ান ও শাকিল ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ৭৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরে গেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। ৬২ রান করে শাকিলও বিদায় নেন। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহ ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ২৪১ রানে নিয়ে যান। ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ, শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ও দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।

Header Ad
Header Ad

নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।"

এর আগে, গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২