নিমতলী থেকে সীতাকুণ্ড- প্রতিকার নাই কেনো: ন্যাপ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তারা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একইসঙ্গে দুর্ঘটনায় আহতদের সুস্থতা কামনা করেছেন।
রবিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় এ আহ্বান জানান বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তারা বলেন, এই দুর্ঘটনা আমাদের জাতীয় জীবনে শোক ও কঠিন মানবিক মনোবেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ জানে না এর ক্ষতি ও বিপর্যয় কতটুকু সুদূরপ্রসারী। অন্যদিকে নিমতলী থেকে সীতাকুণ্ড- আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড চলছেই। এ 'অবিশ্বাস্য উন্নয়নের রোল মডেল' গরিবের জানমালের নিরাপত্তাকে আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলছে। নিমতলী থেকে সীতাকুণ্ড- গরিবরা মরছেই। কোনো প্রতিকার নাই কেন? কোনো বিহিত নাই কেন?
তারা রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, মানব দরদী সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতি আবেদন জানান ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য। একইসঙ্গে সকল রাজনৈতিক কর্মী ও সহযোদ্ধাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে পীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তারা।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিএমএইচ এর চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা বিনিদ্র-নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় জনগণ, স্বেচ্ছাসেবী ও রাজনৈতিক কর্মীরা সকলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আহতদের সেবা ও রক্ত দেওয়ার জন্য অভূতপূর্ব ত্যাগের নজির স্থাপন করেছেন। তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মালিকপক্ষের কাউকে খুঁজে না পাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই ভয়াবহ দুঘর্টনার জন্য মালিকপক্ষ তাদের দায় এড়াতে পারে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এটি কোনো দুর্ঘটনা নয় এটি সম্পূর্ণ ডিপো মালিকের গাফেলতির পরিণতি। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়নি সেখানে রাসায়নিক দাহ্য বস্তু আছে। বলা হয়েছে শুধু রপ্তানিযোগ্য পোশাক আছে।
আহতদের সেবা ও রক্তদানে এগিয়ে আসা সকলকে স্যালুট জানান তারা। বরাবরের মতো তারাই রক্ত দিয়ে, শ্রম দিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় সবার আগে এসে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে তারা অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং নিহত ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এমএইচ/এসজি/