২ চুলার গ্যাসের দাম বেড়ে ১০৮০ টাকা, বাড়েনি সিএনজির দাম
আরেক দফা বাড়ানো হলো গ্যাসের দাম। আবাসিক খাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের মাসিক বিল এক চুলার ক্ষেত্রে ৯৯০ টাকা এবং দুই চুলার ক্ষেত্রে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। তবে যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়েনি।
রবিবার (৫ জুন) বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবু ফারুক এ দাম ঘোষণা করেন। জুলাই মাস থেকে এ দাম কার্যকর হবে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১ জুলাই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তখন আবাসিক খাতে দুই চুলার খরচ ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা আর এক চুলার খরচ ৭৫০ টাকা থেকে ৯২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সে হিসাবে এবার এক চুলার ক্ষেত্রে ৬৫ টাকা ও দুই চুলার ক্ষেত্রে ১০৫ টাকা বাড়ল।
এর আগ গত ২১ মার্চে গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে গণশুনানী করেছে বিইআরসি। আইন অনুযায়ী গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে হয়।
ওই শুনানিতে গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ, অর্থাৎ এক চুলা ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করার প্রস্তাব করার বিপরীতে দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা এবং এক চুলার ট্যারিফ ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করে বিইআরসি।
গণশুনানির পরপরই বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, অর্থ বিভাগের ভর্তুকির ওপর গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ভর করবে।
সারা বিশ্বে তেল এবং এলএনজির দাম বাড়ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আশা করছি আমরা সামলাতে পারবো। এখনো আমরা বড় ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।
গ্যাসের দাম বাড়বে কি না তা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটারি কমিশন (বিইআরসি) জানে এমনটা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা শুনানি করছে। তবে আমরা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চাই। আমরা প্রয়োজনীয় ভর্তুকির জন্য প্রস্তাব করেছি। এখন সরকারের বিবেচনার বিষয় এ খাতে কতটুকু বিনিয়োগ করবে।
বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল। কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, এক্ষেত্রে আমরা ১০০ ভাগ বাকি রেখেই চিন্তা করছি। ১৭ ভাগ বাড়ানোর হয়েছে।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরোধীতা করে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্পট মার্কেট থেকে অতিরিক্ত দামে এলএনজি আমদানির অজুহাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনও যুক্তি নেই। এই অল্প পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশেই উৎপাদন বাড়িয়ে পূরণ করা সম্ভব।
এ জন্য প্রথমেই গ্যাস চুরি বন্ধ করতে হবে এমন মত দিয়ে বক্তারা বলেন, দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং অবশ্যই নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে জোর দিতে হবে।
আরইউ/এমএমএ