মন্ত্রিসভায় জাতীয় স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালার খসড়া অনুমোদন
ফাইল ফটো
সরকার ‘শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর আইন ২০২২ এবং পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর আইন ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালা ২০২২ এর খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সব খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি জামালপুর এবং পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুরের পৃথক আইনে ২৩টি ধারা আছে। এ দুটিই পরিচালিত হবে বার্ড এবং আরডিএ এর আদলে। একটা বোর্ড থাকবে। কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে বোর্ড আইন, বিধি প্রণয়ন এবং সরকার কর্তৃক নির্দেশনা অনুসরণ করবে। ২১ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন পদাধিকারবলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী। ভাইস চেয়ারম্যান হবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব। সদস্য সচিব থাকবেন একাডেমির মহাপরিচালক। বোর্ডের মিটিং হবে প্রতি চার মাসে একবার।
তিনি জানান, এগুলোর কাজ হবে মূলত ক্যাপাসিটি বিল্ডিং। এর পাশাপাশি কিছু কিছু প্রকল্প করা। রুর্যাল ডেভলপমেন্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা দেবে, সার্টিফিকেট কোর্স করবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ডের সঙ্গে এফিলিয়েইটেড থাকবে। পেশাগত প্রশিক্ষণগুলো তারা করবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে তাদের গবেষণা কার্যক্রম থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালা ২০২২ করা হয়েছে। সংবিধানের ১৬ এবং ৫৯ নম্বর অনুচ্ছেদ, বিভিন্ন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, টেকসই অভিষ্ট ও উন্নয়ন, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনা এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যে কাঠামোগত নির্দেশনা ছিল তার সঙ্গে সংগতি রেখে একটা স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালা উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি জানান, এটার কাজ হবে নিজের এলাকায় স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাধীনতা থাকবে স্বেচ্ছাসেবীদের। কমিউনিটি শিক্ষা ও শিক্ষণ কার্যক্রম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী গ্রুপ, দুঃস্থ, সুবিধাবঞ্চিত ও বৈষম্য বঞ্চনার শিকার গ্রুপ, পরিবেশ গ্রুপ, কমিউনিটি সহায়তা গ্রুপ, কমিউনিটি ও রাজনৈতিক গ্রুপ, সংগঠিত ও সামাজিক গ্রুপ, সমন্বিত কমিউনিটি কার্যক্রম, কমিউনিটি অনুষ্ঠান, উৎসব, খেলাধুলা ও বিনোদন অবসরের কার্যক্রম উৎসব, কর্পোরেট স্বেচ্ছাসেবা, প্রাসঙ্গিক ও স্বতঃস্ফূর্ত স্বেচ্ছাসেবা এবং জরুরি সাহায্যসেবা এ সব কার্যক্রম চালাবে স্বেচ্ছাসেবীরা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালা স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে উপস্থাপন করা হলেও এতে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় জড়িত। আর যেহেতু দুর্যোগ মন্ত্রণালয় আগে থেকেই স্বেচ্ছা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত তাই এটি লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে।
এনএইচবি/আরএ/