‘মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি চুক্তিতে দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়নি’
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়নি বলে মনে করে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সাবেক কয়েকজন নেতা। বুধবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এ চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়নি। আইএলও কনভেনশনে বৈধ ও নিরাপদ অভিবাসনের ঘোষণা থাকলেও সেটি মানা হচ্ছে না।’
২৫ রিক্রুটিং এজেন্সি চূড়ান্ত করা অনিরাপদ উল্লেখ করে আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘দেশটিতে ১৪টা উৎস দেশের ১৩টা যেভাবে শ্রমিক পাঠায় সেখানে বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন নিয়ম হওয়ার অর্থ হলো, এটা তাদের মানি মেকিং মেশিন বানানোর পায়তারা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কর্মীরা, আর দেশ তো বটেই।’
টেকসই উপায়ে নিয়মিত শ্রমিক পাঠানোর পথ চায় বায়রা উল্লেখ করে সাবেক এই মহাসচিব বলেন, ‘অনিয়ম, দুনীতি ও খরচ বৃদ্ধি পাবে। অভিবাসনকে অনিরাপদ ও ঝুঁকিতে ফেলবে। শ্রমিক ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক সংবাদে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন। রিক্রুটিং এজেন্সি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
আলী হায়দার বলেন, ‘হাইকোটের সুনিদিষ্ট নির্দেশনা আছে, শ্রমিক পাঠানোয় কোন মনোপলি না থাকার। তাও উপেক্ষিত হচ্ছে। অনিয়ম, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাবে। এটা স্বাধীন দেশের জন্যে অমর্যদাকর।’
বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসার বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট ২৫টি প্রতিষ্ঠানের নাম আকারে প্রস্তাব আসলে, সরকার যেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়, এমনটা দাবি করছি। ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মনোপলি ব্যবসা করতে দিলে অর্থপাচারের শংকাও তৈরি হবে।
আগে ১০ জনের সিন্ডিকেটে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ হয়েছিল উল্লেখ করে আবুল বাসার বলেন, ‘এবারও সেদিকে গেলে এই বাজার উন্মুক্ত হয়ে আবারও রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। পুরো প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে, টেকসই হবে না।’
বায়রার সাবেক সভাপতি শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, ‘১৫৩০টি লাইসেন্সের সমঅধিকার আছে, যে কোন শ্রম বাজারে শ্রমিক পাঠানোর। এমপ্লয়মেন্ট ভিসা নিয়ে ডাম্পিং স্টেশন করার মালয়েশিয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। মালয়েশিয়ার অনিয়ম ও সঠিক মনিটরিং না থাকায় সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল।’
বায়রার সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘ডাটাবেজ, সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেমের মত অবকাঠামো থাকার পরও কেন সেই পুরনো পথে হাটার চেষ্টা চলে, এ নিয়ে প্রশ্ন এসেই যায়। সিন্ডিকেট হলে, অভিবাসন খরচ বেড়ে যায়, অস্বাভাবিকভাবে।’
আরইউ/এসএ/