অনলাইনে এক মিনিটে ১৩ হাজার টিকিট বিক্রি!

রেলপথে ঈদযাত্রার ৩০ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল)। সকাল ৮টায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ৮টা ১ মিনিটেই টিকিট সব বিক্রি হয়ে গেছে বলে দেখানো হয়।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলছেন, এক মিনিটে ১৮ লাখ হিট পড়েছে। এই এক মিনিটেই ১৩ হাজার যাত্রী টিকিট কিনে ফেলেছেন।
কিন্তু মাসুদ সারওয়ারের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছেন অনেকে। ভুক্তোভোগী টিকিট প্রত্যাশীরা বলছেন, এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। অনলাইনে টিকিট কারসাজি করে রাখা হয়। যেটা কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করা হয়।
মাসুদ সারওয়ার বলছেন, ‘ট্রেনের ই-টিকিট দেখভাল করা প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আজ ১৫ থেকে ১৮ লাখ মানুষ একসঙ্গে অনলাইনে প্রবেশ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘টিকিট বিক্রি শুরুর পর থেকেই অনলাইনে ভোগান্তি ও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ। গতকাল ওরা (সহজ ডটকম) ব্রিফ করেছে। আজ আমি নিজে ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ ১৫-১৮ লাখ টিকিট প্রত্যাশীরা এক সময়ে অনলাইনে প্রবেশ করেছেন। এদের মধ্যে ১৭ লাখ ৮৭ হাজার টিকিট প্রত্যাশী টিকিট পাননি।
কমলাপুর রেলস্টেশনে অনেকেই অভিযোগ করেন, রেলের কর্তাব্যক্তিরা টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। কারণ কাউন্টারেও সব টিকিট দেওয়া হয় না। বিশেষ করে এসি টিকিট চাইলে বলা হয় শেষ হয়ে গেছে। অথচ কালোবাজারে ঈদযাত্রার আগ পর্যন্ত বেশি দামে ঠিকই টিকিট পাওয়া যায়।
যদিও রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলছেন, রেলের কর্মীদের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। কারণ যার টিকিট তাকেই এনআইডি নম্বর দিয়ে কাটতে হচ্ছে। কাজেই এখানে কালোবাজারির সুযোগ কই?
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কাউন্টারেও দুইবার টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ২৪ থেকে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা টিকিট প্রত্যাশীরা।
গত ২৩ এপ্রিল থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ৫০ শতাংশ টিকিট পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে আর বাকি ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে।
আরইউ/এমএমএ/
