প্রথম রোজাতেই বাজারে আগুণ
বেগুন ১৩০, মরিচ ১০০, শসা ৭০
আজ সিয়াম সাধনার মাস রমজানের প্রথম দিন। রমজান এলেই পণ্যের দাম যায় বেড়ে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এদিকে মাস খানেক ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে চলছে অস্থিরতা। এ অবস্থায় প্রথম রোজাতেই বাজারে আগুণ লেগেছে। বিশেষ করে বেড়েছে ইফতার সামগ্রীর দাম।
এর আগে দেশে পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা। এরপরও অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সুযোগ না নিতে পারেন, সে জন্য বাজার তদারকি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। সরকারের পক্ষ থেকেও রোজায় পণ্যের দাম সহনীয় থাকবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সেই সঙ্গে অন্যান্য বছরের মতো এবারও রমজান মাস আসার আগেই ভোজ্যতেলসহ অনেক পণ্যের দাম বাড়িয়েছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এ নিয়ে দেশে হই-চই পড়লে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অবশেষে ১৭ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। তারপরও বেড়েছে পণ্যের দাম।
রবিবার ( ৩ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়। তিনদিন আগে বেগুনের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আজ প্রথম রমজান, সেই বেগুনের কেজি হয়েছে ১০০ টাকা। আজ এক ডজন লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। যা গতকাল ছিল ৯০ টাকা। আর তিন দিন আগে ৬০ টাকা ডজন। বাজারের শসার দাম দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে। ৭০ টাকা কেজি শসা, যা গতকাল ছিল ৮০ টাকা। তিন দিন আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মরিচ আগে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ছিল আজকে তা ১০০ টাকা কেজি। আদার দাম ও সামান্য বেড়ে গেছে। যে দেশি আদা আগে ৭০ টাকা আজকে তার নব্বই টাকা, আর চায়না আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
দাম দ্বিগুণ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমির হোসেন নামে এক বিক্রেতা জানান, বেশি দামে কেনা, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
আরিফ নামের এক ক্রেতা জানান, এভাবে রমজান মাসের প্রথম দিনে সব জিনিসের দাম বাড়ছে খুবই খারাপ লাগছে। ভাবতে অবাক লাগছে। শুধু বেগুনের দাম না ইফতারের অন্যান্য উপকরণ মরিচ, লেবুর দাম ও দ্বিগুণ হয়েছে। আদার দাম সামান্য বেড়েছে। তবে টমেটোর দাম আগের মতই আছে। এটি হচ্ছে কারওয়ান বাজারের বাস্তব চিত্র।
রোজার উপকরণের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, আমরা জাতিতে বাঙালি। তাই রোজা আসলে বেশি করে কেনা শুরু করি। এজন্য চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। যা দরকার তাই কেনা হলে হয়তো বেশি দাম বাড়ত না।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ রোজার অছিলায় বিক্রেতারা বার বার দাম বাড়িয়েছে। বাজার মনিটরিং কম হওয়ায় তারা এভাবে সুযোগ নিচ্ছে। কারণ যখনই বাজার মনিটরিং করা হয় কিছুটা হলেও দাম কমে যাচ্ছে।
জেডএ/কেএফ/