দাবানলের সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার প্রকাশনা উৎসব
মুক্তিযুদ্ধকালীন পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক দাবানল’-এর সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
শহীদ ক্যাপ্টেন এমন মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং দাবানল পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. শেহেরিন সেলিম রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর বড় সন্তান রেজাউল করিম।
জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর অতিথিরা সম্মিলিতভাবে দাবানলের সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যা মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণের দুটি কবিতা আবৃত্তি করেন বাকশিল্পী মাহিদুল ইসলাম ও শিপ্রা রহমান।
দাবানল পত্রিকাটির চরিত্র ও চেতনার প্রসঙ্গে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচুর অপপ্রচার হয়েছে। অপপ্রচারকে রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ও স্পিরিট মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে দাবানলের মতো বেশ কয়েকটি পত্রিকা। সেই পত্রিকা আবারও নতুন কলেবরে আসছে সুতরাং অপপ্রচারকারীরা সাবধান। কারণ, আবারও আসছে দাবানল।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা প্রায়শই বলেন রক্ত কথা বলে। আজ জাতীয় নেতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর বড় সন্তান প্রয়াত ড. মোহাম্মদ সেলিমের একমাত্র পুত্র মো. শেহেরিন সেলিম রিপন মুক্তিযুদ্ধেও চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে যে ‘দাবানল’ পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন এতে প্রমাণ হয় সত্যি রক্ত কথা বলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যেসব পত্রিকা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যোগাতো এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য তুলে ধরা হতো তারমধ্যে দাবানল অন্যতম। আমরা সেই দাবানলের নামটিও ভুলে যেতে বসেছিলাম। কারণ, স্বাধীন বাংলাদেশেও স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা ঠাঁই করে নিয়েছিলো। ইতিহাসকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ইতিহাসকে ধ্বংস করা যায় না ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো চলতে দিয়ে হয় এটা তারা জানতো না। এসময় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ যেন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে না পারে, হত্যার রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে নজর রাখারও আহবান জানান তারা।
তারা বলেন, ক্ষমতায় থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের দল, বিপক্ষেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের দল। এখানে স্বাধীন দেশে একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের ঠাঁই হবে না । হতে দেওয়া হবে না।
এপি/