পাঠকের ভালোবাসায় ৪র্থ বর্ষে পদার্পণ করল ঢাকাপ্রকাশ
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
তিন বছর আগে, ২০১৯ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকাপ্রকাশ। ছোট্ট একটি স্বপ্ন ছিল—পাঠকের কাছে সঠিক, নিরপেক্ষ ও প্রাসঙ্গিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া। স্লোগান ছিল, ‘সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি।’ এই স্লোগানকে ধারণ করে যাত্রা শুরু করা ঢাকাপ্রকাশ আজ পাঠকের ভালোবাসা ও আস্থার মধ্য দিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণ করেছে।
শুরু থেকেই ঢাকাপ্রকাশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল সত্যকে তুলে ধরার। পাঠকই এর সবচেয়ে বড় শক্তি, এবং তাদের আস্থা ও ভালোবাসা প্রমাণ করে, সংবাদমাধ্যমে বিশ্বাসের এখনও কোনো বিকল্প নেই।
ঢাকাপ্রকাশের লক্ষ্য ছিল শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, বরং প্রতিটি ঘটনা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে, সত্য ও নিরপেক্ষ তথ্য সমাজের সামনে তুলে ধরা। প্রতিটি খবরের পেছনে ছিল সততা, নিষ্ঠা এবং দায়িত্ববোধ। ঢাকাপ্রকাশের প্রতিবেদনগুলো ছিল বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিবেদনের মাধ্যমে পাঠক পেয়েছেন সমাজের বিভিন্ন সমস্যার গভীরে যাওয়ার দিশা।
আমরা বিশ্বাস করি, সংবাদ কেবল তথ্য নয়; এটি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, সমাজের সংস্কৃতিকে গড়ে তোলে এবং একটি দেশের উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করে। কঠিন সময়ে সঠিক তথ্য পরিবেশন করে মানুষকে সচেতন ও সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়াই ছিল ঢাকাপ্রকাশের মূল লক্ষ্য।
এই তিন বছরের পথচলায় পাঠকের ভালোবাসা, সমর্থন এবং সবচেয়ে বড় কথা, তাদের বিশ্বাসই ঢাকাপ্রকাশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। পাঠকের প্রতিক্রিয়া ও মতামত আমাদের কাজের মান উন্নত করতে সাহায্য করেছে। সমাজের যে আস্থার জায়গাটি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল, ঢাকাপ্রকাশ সেখানে নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছে। পাঠকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার এই যাত্রা ছিল আস্থা ও ভালোবাসার একটি উদাহরণ।
প্রতিদিন সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি আমাদের দায়িত্ব ছিল সত্যকে সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরা। একদিকে সংবাদমাধ্যমের ওপর থাকা চাপ, অন্যদিকে দ্রুত বদলে যাওয়া সমাজব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো-এই দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই ঢাকাপ্রকাশ এগিয়ে গেছে। কঠিন সময়ে আমাদের দায়বদ্ধতা আরও বেড়েছে, এবং আমরা সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি।
৪র্থ বর্ষে পদার্পণের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা আরও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আরও দায়িত্বশীল। পাঠকের ভালোবাসা আমাদের চলার পথের শক্তি। আমরা চাই, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর গভীরে গিয়ে তথ্য তুলে ধরতে। আমাদের লক্ষ্য হলো, এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে সঠিক তথ্য ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা মানুষকে সচেতন ও সংহত করে তুলবে।
এই যাত্রায় যারা আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের পাঠকেরা আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আপনাদের মতামত ও পরামর্শ আমাদের আরও ভালো কিছু করার শক্তি জোগায়। আগামী দিনগুলোতেও আমরা একই নিষ্ঠা ও সততা নিয়ে কাজ করে যাব।
পাঠকদের ভালোবাসা ও বিশ্বাসের জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ। ঢাকাপ্রকাশের এই যাত্রা আপনাদের কারণেই সম্ভব হয়েছে। ধন্যবাদ, আমাদের পাশে থাকার জন্য। আগামীতে আরও ভালো কিছু নিয়ে আপনাদের কাছে আসার প্রত্যাশায় আমরা এগিয়ে যাব।