জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা, সম্পাদক শ্যামল
জাতীয় প্রেস ক্লাব নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদা ইয়াসমিন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে টানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। প্রেস ক্লাবের ১ হাজার ২ জন ভোটারের মধ্যে ৯৮২ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা-ই-জামিল।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি পদে জয়ী ফরিদা ইয়াসমিন পেয়েছেন ৫৬৭ ভোট। তার বিপরীতে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে কামাল উদ্দিন সবুজ পেয়েছেন ৪০১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী শ্যামল দত্ত পেয়েছেন ৪৯৬ ভোট এবং বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে ইলিয়াস খান পেয়েছেন ৪৭৪ ভোট।
নির্বাচনে কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৭টি পদে এবার ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সদস্য পদে ১০টি ভোট, সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে, কোষাধ্যক্ষ পদে একটি করে এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে দুটি পদ ছিল।
জাতীয় প্রেস ক্লাব ২০২২-২৩ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কল্যাণ সাহা, কাজী রওনাক হোসেন, ফরিদ হোসেন, জুলহাস আলম, মোহাম্মদ মোমিন হোসেন, বখতিয়ার রাণা, শাহনাজ বেগম পলি, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, সীমান্ত খোকন, সৈয়দ আবদাল আহমদ।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মো. মোস্তফা-ই-জামিলের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাব নির্বাচন পরিচালনা করেন আট সদস্যের কমিশন। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- জাফর ইকবাল, মিনার মনসুর, গৌতম অরিন্দম বড়ুয়া (শেলু বড়ুয়া), এস এ এম শওকত হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, শামীমা চৌধুরী ও নবনীতা চৌধুরী।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের এবারের নির্বাচনে ১৭টি পদে সর্বমোট ৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের দুটি প্যানেল ছিল। ফরিদা-শ্যামল পরিষদ ও সবুজ-ইলিয়াস পরিষদ। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নেন।
কেএম/এএস