ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
‘সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’ এই স্লোগান ধারণ করে জন্ম নেওয়া ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) উদযাপিত হয়েছে। রাজধানীর ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার-এর নিজ কার্যালয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।
এদিন দুপুরে কেক কেটে ঢাকাপ্রকাশ-এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এ সময় অন্যান্য অতিথি, ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান, ঢাকাপ্রকাশ-এর সাংবাদিক ও কলাকুশলীরা।
কেক কাটার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ঢাকাপ্রকাশ তার প্রথম বছর অতিক্রম করল। এটি একটি কঠিন সময়। একজন শিশু জন্মগ্রহণ করার পরে তাকে লালন পালন করে একটি বছর অতিক্রম করা যেমন কঠিন, তারচেয়েও একটি কঠিন মাধ্যম হচ্ছে সম্প্রচার মাধ্যম। কারণ, একটি বছর গণমাধ্যমের জন্য বড় কিছু নয়। কিন্তু এই এক বছরে বোঝা যায়; এই মাধ্যমটির সম্ভাবনা কতটুকু। সেই সম্ভাবনার জায়গা থেকে যদি আমি বলি-সারা বছর ঢাকাপ্রকাশ পাঠ করে তার থেকে আমরা যে তথ্য উপাত্ত পেয়েছি তাতে দেখা যায় সাধারণ মানুষের কথা যেমন ঢাকাপ্রকাশ বলেছে, তেমনি নানাদিক থেকে তথ্যবহুল সংবাদ এসেছে। সব তথ্য হয়তো আমার প্রয়োজন নাই, কিন্তু সংগৃহীত তথ্য যাচাই বাছাই করে সম্পাদনা, সুসম্পাদনার মাধ্যমে পাঠকের কাছে নিয়ে আসার কাজটি সঠিকভাবে করে চলেছে ঢাকাপ্রকাশ। সেই প্রত্যয়ে যে সম্ভাবনা রয়েছে তাতে করে আমি মনে করি ঢাকাপ্রকাশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। সেই প্রত্যয় ঢাকাপ্রকাশ-এর আছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে ঢাকাপ্রকাশ-এর জন্মদিন; আমাদের সবারই জন্মদিন আছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্মদিন আছে। প্রতিটি দেশের জন্মদিন আছে; আমাদের দেশের জন্মদিন ২৬ মার্চ। আর কিছুদিন পরই জন্মদিন উদযাপন করা হবে। জন্মদিন উদযাপন করার নানা রকম কৌশল আছে। কেউ আয়োজন করে জন্মদিন পালন করে আবার কেউ আয়োজন ছাড়া ঘরোয়া পরিবেশে জন্মদিন উদযাপন করে থাকেন। জন্মদিন নিয়ে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে একবার সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন; আপনি কি জন্মদিন উদযাপন করেন? জন্মদিনে আপনি কি করেন? প্রতিউত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার জন্মদিনই কী আর মৃত্যু দিনই কী। আমি কোনো সময় আমার জন্মদিনের কেক কাটিনি।’
তবে গণমাধ্যম যেহেতু জনগণের মাধ্যম সেহেতু গণমাধ্যমকে সরব হতেই হবে। প্রতিদিন সরব থাকে; গণমাধ্যম কখনো সাইলেন্ট থাকে না। ঢাকাপ্রকাশ-এর জন্মদিনে আজ সবার একটি কথা যুক্ত হচ্ছে-সেটি হচ্ছে সত্য তথ্য এবং তথ্যেই মুক্তি। সেই তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে যত ধরনের বাধা প্রতিবন্ধকতা আসে সেগুলো আমরা জানি। কিন্তু সেই বাধা অতিক্রম করার কাজটি হচ্ছে সত্য সাংবাদিকতার মূল লক্ষ্য।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আজ সারা বিশ্বে সাংবাদিকরা জীবন দিচ্ছেন সত্য প্রকাশের জন্য। প্রতিদিনই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও সাংবাদিকরা আহত হচ্ছেন, নিহত হচ্ছেন। কারণ তিনি সত্যের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। যদিও সত্য প্রকাশ করার বিষয়টা আমরা যত সহজে বলছি আসলে তা ততটা সহজ বিষয় নয়। ঢাকাপ্রকাশ সেই লক্ষ্যে নিয়ে আজ থেকে এক বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল এখন দ্বিতীয় বর্ষে পা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এক বছর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকাপ্রকাশ-এর সম্পাদক এক বাক্যে বলেছিলেন আমরা সত্য নিয়ে কাজ করতে চাই। এখন সেই সত্য নিয়েই এগিয়ে চলছে। শুধু এতোটুকু বলছি-আপনারা যে অঙ্গীকার ও প্রত্যয় নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেজন্য আপনাদের অভিন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর সমবৃদ্ধি কামনা করছি, জন্মদিনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।
এদিকে কেক কেটে উদ্বোধন ঘোষনার পর থেকে দিনব্যাপী ঢাকাপ্রকাশ-এর কার্যালয়ে চলছে নানান অনুষ্ঠান। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা এসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-কে।
এমএইচ/এনএইচবি/