‘ভারতের সংবিধানও চোরাকারবারিদের হত্যার অনুমতি দেয় না’
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, ভারতের সংবিধানও চোরাকারবারিদের হত্যা করার অনুমতি দেয় না। এটা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। তারা মেরে ফেলতে পারে না, আটক করতে পারে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে ইমতিয়াজ আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কমেছে। কিন্তু একটা হত্যাকাণ্ডও যেন না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। চীন-ভারত সীমান্তের দুই কিলোমিটারের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ। এমন একটা চুক্তি আছে দেশ দুটির মধ্যে। আমাদেরও এমন একটা চুক্তি হতে পারে।
তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক বলেন, তিস্তা চুক্তি কোনোভাবে হওয়ার কথা না। সিকিমে ছোট বড় ৩০টি হাইড্রোড্যাম হয়ে গেছে। প্রতিটি হাইড্রোড্যাম ৫ শতাংশ পানি নিয়ে নেয়। তাহলে আর পানিই বা কতটুকু অবশিষ্ট থাকল? আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিই বা কী দোষ করল? আমি মনে করি তার অবস্থান ঠিক আছে।
বাংলাদেশ তাই বৃষ্টির পানি ধরে রেখে ব্যবহার করতে চায় জানিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পদ্মা সেতু হয়েছে তাতে কি আমেরিকা বা অন্য কেউ আমাদের উপর রাগ করেছে? তাহলে তিস্তা প্রকল্প হলে কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে কেন?
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দিল্লি কেন মধ্যস্থতা করল না? তাদের সঙ্গেও তো মিয়ানমারের খুব ভালো সম্পর্ক।
বর্তমান বিশ্বের মেরুকরণ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, বিশ্ব এক মেরু থেকে বহু মেরুতে যাচ্ছে। পৃথিবী কখনো এর আগে মাল্টিপোলার হয়নি। বরাবরই ইউনিপোলার ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাইপোলার ছিল কিছুদিন, যখন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ ছিল।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ঢাকা-দিল্লি মাত্র ৩ ঘণ্টা লাগে হাইস্পিড ট্রেনে। তেমন টেকনোলজি আছে আমাদের। কাজেই সম্পর্কের ক্ষেত্রেও আমাদের সেভাবেই চিন্তা করতে হবে।
আরইউ/এসজি