সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শ্রেষ্ঠ সমাবেশ

গতকাল বিরোধীদলীয় একটি জনসভা হয়ে গেছে। অনেক মানুষ হয়েছিল জনসভায়। এই দেখে বড় ভয় পেয়ে গেছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শুফম হালদার। টিভি চ্যানেল, ইউ টিউব, ফেসবুকের উপর মনে মনে তার অনেক রাগ হচ্ছে। কেন যে এরা সারাদিন এই জনসভা প্রচার করতে গেল। এগুলো না থাকলে হয়তো চাল চুরি, গম চুরি, টেন্ডারবাজি, বালু তোলা, জমি দখল ইত্যাদি কাজের মতো করে বলে দিতাম; এটা গুজব। বিরোধীদলীয় নেতাদের অপপ্রচার। তাদের জনসভায় কোনো লোক হয়নি।

আজ সকালে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাহেব ফোন দিছিল। অনেক রাগ করেছেন। দল ক্ষমতায় থাকতে বিরোধীদলীয় নেতারা এত বড় জনসভা কেমনে করে? আগামী নির্বাচনে দলের পরিস্থিতি একবার বিবেচনায় আনেন। তাদের জনসভায় যত লোক এসেছে তাতে আমাদের অবস্থা কী একবার ভেবে দেখেছেন? তাদের জনসভায় যত লোক এসেছে তার পাঁচ গুণ লোক দেখতে চাই আমাদের জনসভায়।

- স্যার কী যে বলেন, ওদের জন্য সভায় মাত্র কিছু লোক এসেছে। বিরোধী দলে কোনো লোক নেই আমার সংসদীয় আসনে। সব আমাদের দলের। ওদের ওখানে কোনো লোক যায় নাই। ওটা অপপ্রচার।
- আমি তো দেখলাম টেলিভিশনে। ওদের জনসভায় অনেক লোকের জনসমাগম হয়েছে।
- স্যার, ওরা টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে এডিটিং করে সংবাদ প্রচার করেছে। এ নিয়ে ভাববেন না। আমি আছি তো।
- আপনি চুপ থাকেন। মিথ্যা বলতে বলতে আসলে আপনাদের স্বভাব এমন হয়ে গেছে যে, সত্য বলতে ভুলেই গেছেন। ইউটিউব, ফেসবুকে ওগুলোও কি ভুয়া? আমি এত কিছুই বুঝি না। আগামী দলীয় জনসভায় বিরোধীদলীয় জনসভার চেয়ে পাঁচ গুণ জনগণ আমাদের জনসভা দেখতে চাই। এটাই আমার শেষ কথা। মনে রাখবেন প্রচারেই প্রসার। সভায় লোক না হলে; বহির্বিশ্বে কেমনে প্রচার করব, জনগণ আমাদের পাশে আছে।

মনে বড় যন্ত্রণা। টাকা দিয়ে নমিনেশন কিনে এমপি হয়েছিল শুফম হালদার। রাজনীতির অ খ এত কিছু বোঝে না। ভাগ্যক্রমে টাকার বিনিময়ে দলের জেলা সভাপতি হয়ে পড়েছে আরেক বিপদে। শুধু চুরিচামারিটাই ভালো বোঝে। কীভাবে যে জনসমর্থন পেতে হয় সেটা তার মাথায় আসে না। কুয়ার ব্যাঙ সাগরে পড়লে যা হয় আর কী! সকাল থেকে টেনশন। এত কষ্ট করে চুরি ছ্যাঁচড়ামি করে কিছু টাকা অর্জন করেছিল শুফম হালদার। এই বার বুঝি এই জনসভায় সব যায়।

- বিরোধীদলীয় জনসভায় কত লোক হয়েছিল? তার একান্ত সচিব মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসা করে শুফম হালদার।
- কত আর হবে। মনে হয় হাজার পঞ্চাশেক লোক হয়েছিল।
- আমাদের জনসভা করলে কত হবে?
- হাজার বিশেক তো হবেই স্যার!
- শালা শুয়োরের বাচ্চা। বিশ হাজার লোক দিয়ে আমি কী করব। আমার শেষকৃত্য করার জন্য বিশ হাজার লোক জমায়েত করবি? এই বলে সজোরে থাপ্পড় মারে তার একান্ত সচিব মাসুদের গালে।
- স্যার, হুদায় আমাকে মারছেন কেন? জনগণ কম হলে আমি কী করব? আর আপনি তো ভালোই জানেন, এদেশে যারা সরকারে থাকে তাদের পাশে জনগণ থাকে না। কারণ সরকার দলীয় নেতারা সব সময় চুরি করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। জনগণের কথা তাদের মাথায় থাকে না। আর বিরোধী দল এই নিয়ে ভাগ পেতে চায়। না পেলে মায়া কান্না শুরু করে। দেশ প্রেম তাদের উথলায়ে উঠে। জনগণ চলে যায় বিরোধীদলীয় মায়া কান্না করার নেতাদের পাশে। আমার কী করার বলুন? আর কত লোক লাগবে তাই বলুন?
- লাখ তিনেক লোকের ব্যবস্থা কর।
- স্যার, টাকা ছাড়েন সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি?
- কত টাকা?
- জন প্রতি ৫০০ শত টাকা তো দিতেই হবে।
- বলিস কী? জন প্রতি ৫০০?
- স্যার, বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়ছে। এর কম দিলে একটা লোকও আসবে না।
- মোট কত টাকা লাগবে?
- স্যার, ৩০০০০০×৫০০= ১৫০০০০০০০+ গাড়ি ভাড়া + অন্যান্য নেতাদের খাওয়ার খরচ। মোট কোটি বিশেক টাকা লাগবে, স্যার।
- এত টাকা? আমার পক্ষে সম্ভব না। কানাডার ভিসার ব্যবস্থা কর। এ দেশ ছেড়ে আমি চলে যাব। রাজনৈতিক ব্যবসায় যা বিনিয়োগ করার করেছি। মুনাফা যা হবার হয়েছে। আর না।

সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা সংসদ সদস্যের চাচাতো ভাই শুভ হালদার দেখা করতে এসেছে সংসদ সদস্য শুফমের সাথে।
- কী, মিয়া ভাই। মন খারাপ কেন? একটু চিন্তিত মনে হচ্ছে। শুনলাম চিকিত্সার জন্য কানাডা যেতে চাচ্ছেন। কানাডায় যাওয়া আগে আমাকে ছাত্র সংগঠনের সভাপতি বানিয়ে দিয়ে যাইয়েন। আর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ চলছে। পারলে আমার একটা ব্যবস্থা কইরেন। একবার যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারি না! আমার সাথে আপনারাও লালে লাল হয়ে যাবেন। একটু তৎবির টৎবির কইরেন। আর বলেন সমস্যা কী আপনার। মন খারাপ কেন?
- সমস্যা তো অনেক রে। কী বলব বল?
- আরে বলেন। আমিও তো রাজনীতি করি। আপনি বড় দলে। আমি ছাত্রদের দলে। একজন আরেক জনের সুখে-দুঃখে পাশে থাকব। এটাই তো বড় কথা, মিয়া ভাই। এটাই তো রাজনীতি।
লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে শুফম হালদার সব খুলে বলল। সব শুনে হাহাহা করে হেসে উঠল শুভ হালদার।
- আরে মিয়া ভাই। এটা একটা বিষয় হলো। লোকের ব্যবস্থা আমি করে দিচ্ছি। আপনার জনসভায় তিন লাখ না, ত্রিশ লাখ লোক হবে। - কেমন করে? অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে শুফম হালদার।
- শোনেন, দেশের নামকরা (খ্যাতিমান) দুইজন শিল্পী, একজন নায়ক, তিনজন নায়িকাকে নিমন্ত্রণ করেন। আর কী লাগে। জনপ্রতি পাঁচ লাখ। ত্রিশ লাখ টাকায় সব খতম। আজ থেকে মাইকিং (প্রচার) শুরু করে দেন। দলীয় জোটের জনসভায় দেশ বরেণ্য শিল্পী, নায়ক, নায়িকা, গায়ক থাকছে। জনসভায় প্রথমে একটা গান করবে শিল্পী। তারপরে আধা ঘণ্টা রাজনৈতিক বক্তৃতা। আবার একটা গান। আবার বক্তৃতা। আবার নায়ক-নায়িকার নাচ। আবার বক্তৃতা। সকাল থেকে সন্ধ্যা এভাবেই চলবে। মাঠ থেকে জনগণ সরাতে পারবেন না।
- পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ। জনসভা চলছে। লোক আর লোক। দলীয়, বিরোধীদলীয়, না দলীয় সব। সব ধরনের লোকের বিশাল সমাবেশ। শ্রেষ্ঠ সমাবেশ। দলীয় জোট সরকারের মহা সমাবেশ।

লেখক: কবি ও গল্পকার
Sablushahabuddin@gmail.com

এসএন

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বরুড়া ও মুরাদনগরে পৃথক দুইটি ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

জানাযায়, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে সোমবার দুপুরে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুইজন বড়হরিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন পয়ালগছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বিপ্লব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হালকা মেঘের মধ্যে শিশুরা মাঠে ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ বজ্রপাত হলে দুই ছাত্র মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত কিশোর দুজন হলেন পয়ালগাছা গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন(১৩) এবং আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন (১৩)।

বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে দু স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে একজন। হাসপাতাল থেকে নিহত দুজনের লাশ স্বজনরা বাড়িয়ে নিয়ে যান।

অপরদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরে জমির ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের মৃত বীরচরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬৪) ও আন্দিকুট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসীম উদ্দীন ভুইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নিখিল দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে পাশাপাশি জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়। পরে তাদেরকে আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে দেখে তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বর্তমানে দুজনের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে আছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে তারা ঘটনাটি জানতে পারেন। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা