বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

নয়নের জল নয়নে শুকায়

সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেবার আর কয়েক মাস বাকী। নির্ঝঞ্ঝাটের মধ্যে অবশিষ্ট দিনগুলি কাটিয়ে দিতে চাইছেন অ্যাডভোকেট আফসার খান। এমন সময়ে ইংল্যান্ডের একটি আন্তর্জাতিক ‘ল’ সোসাইটি’ তাকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাদের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য। ইংল্যান্ড দেশটি মিস্টার খানের কাছে নুতন কোনো দেশ না। জীবনের সোনালী দিনগুলি সেখানেই তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন। সরকারি কাজেও তাকে সেখানে কয়েকবার যাওয়া-আসা করতে হয়েছে। তাই আমন্ত্রণ পত্রখানা পাওয়ার পর হৃদয় কম্পিত হওয়ার মতো কিছুই হয়ে উঠেনি। তা ছাড়া, এই বুড়ো বয়সে আগের মতো কোথাও যাওয়া আসার ব্যাপারে সে রকম রোমাঞ্চ অনুভব করেন না।

ছেলেগুলি মানুষ হয়েছে, সবাই নিজেদের জীবনের বাছাই করা পেশায় প্রতিষ্ঠিত। আশ্চর্যের বিষয়, ছেলেদের মাঝে কাউকেই আইনজীবির পেশায় রাজী করাতে পারেননি। তাদের সবার সেই একই কথা, ‘আইনজীবিরা ধোকাবাজ ,আইনের কলাকৌশলে দোষী আসামীকে নির্দোষ প্রমান করাই তাদের কাজ। সুতরাং আমরা এই পেশার ধারে কাছে যেতে চাই না’। কিন্তু মিস্টার খান ছেলেদেরকে কিছুতেই বোঝাতে পারলেন না যে, নির্দোষ আসামীকে কাঠগড়া থেকে বাঁচিয়ে আনাটা একজন আইনজীবির কাছে কতবড় তৃপ্তিদায়ক তা একমাত্র ওই মামলায় সংযুক্ত আইনজীবি ছাড়া অন্য কেউ উপভোগ করতে পারবে না। মিস্টার খান কখনো কখনো ভাবেন ,যদি তার পাঁচ ছেলের মধ্যে একটি মেয়ে থাকতো তাহলে হয়তোবা উনার কথামতো সে আইনজীবি পেশায় লিপ্ত হতে পারত।

আজ ও মনে পরে এইতো সেদিন, তিন তিনটে ছেলে হবার পর মিস্টার খান ভাবলেন, ‘আর নয় ,এখানেই শেষ। মেয়ে মেয়ে করে বাংলাদেশে আর জনসংখ্যা বাড়াতে চাই না।’ বন্ধুরা বলাবলি করত,’ তোরা তো আধুনিক শিক্ষিত দম্পতি, তোদের তো দুটির বেশী সন্তান হবার কথা নয়। তোরাই যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ না করিস, তাহলে সাধারণ মানুষদের দোষ দিয়ে লাভ কী ?’, তাইতো, মিস্টার খান ভাবেন ,অনেক পরিবারে একটি ছেলের জন্য রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়, এদিকে একটি মেয়ের জন্য তাদের নিয়মিত ঘুমের ব্যাঘাত হতে চলল। অবশেষে শেষ চেষ্টা করা হলো। তখনকার দিনে Pregnency scan করার মতো তেমন সুযোগ ছিল না অর্থাৎ ছেলে কি মেয়ে হবে সেটা জানাটা এখনকার মতো এত সহজ ছিল না। তাইতো মাদ্রাজের এক নামকরা মেটার্নিটি ক্লিনিকে বসে তিনি ভাবছিলেন, এবার যেন তাদের একটা মেয়ে হয়। কিন্তু বিধির বিধান, কে খণ্ডাবে? কিছুক্ষন পর ওয়েটিং রুমে এসে যখন তামিল নার্স তাকে জানালেন, ‘Congratulation Mr Khan I have got a good news for you , you have a twin and both Mother and babies are doing well, পরক্ষনেই খান সাহেব ,ব্যগ্রচিত্তে নার্সকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘যমজ বাচ্চারা ছেলে না মেয়ে?’ নার্স সুন্দর একটা হাসি দিয়ে জানালো, ‘I am glad to say, both are boys’। খান সাহেব কথাটি শুনে তো অবাক, নার্স বলে কি , দুটোই ছেলে! কথাটা শুনে হতাশায় মিস্টার খানের মনটা ভেঙে গেল। হায় খোদা, ‘মানুষ যা চায় তা পায় না, সে জন্যই বুঝি নিয়তির কাছে মানুষ যুগ যুগ ধরে পরাজয় স্বীকার করে আসছে’।

জুনিয়র উকিলের ডাকে মিস্টার খানের ধ্যান ভাঙল। ‘স্যার, কী ভাবছিলেন ? কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর তিনি উত্তর দিলেন, ‘ভাবছিলাম কি, তোমাদের মাঝখান থেকে আমার হয়ে কেউ ওই সম্মেলন থেকে ঘুরে এসো । এই বুড়ো বয়সে আর কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না। তোমাদের মতো প্রতিভাবান ছেলেদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য এ ধরনের সম্মেলনে যোগদান করা দরকার’। সমবেত কণ্ঠে রুম থেকে সে এক কথা, ‘স্যার, আপনাকেই যেতে হবে ,যদিও আপনি খুব শিগগিরই অবসর নিচ্ছেন, তবু ও আপনার মতো বিচক্ষণ কৌসলীর আমাদের বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা একান্ত দরকার’। কলিগ আজম সাহেব কিছুটা জোর দিয়ে বলল’ স্যার,পৃথিবীর বিখ্যাত আইনবিদগণ ওখানে আসবেন, পান্ডিত্য দেখাবেন, সেক্ষেত্রে আমরা আপনাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ভাবতেই পারি না’। মিস্টার খান একান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বে সম্মলনে যোগদান করতে রাজী হলেন।

ইংল্যান্ডের ছোট্ট শহর চেমসফোর্ড। এই শহরই একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়েছে। শহরটি লন্ডন নগরী থেকে ২৫/৩০ মাইল দূরে। প্রাকৃতিক শোভায় সম্মৃদ্ধ। সুন্দর পরিছন্ন শহর। বিরাট আয়োজন। সম্মেলন তিন দিন ধরে চলবে। পৃথিবীর দূর-দূরান্ত থেকে ঝানু আইনবিদদের উপস্তিতি। ফটকে করা প্রহরী। সকালের কফি শেষে সম্মেলন শুরু হবার কথা। ক্যাফেটেরিয়ার একটি টেবিলে বসে মিস্টার খান গরম কফি পেয়ালায় চুমুক দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় ৯/১০ হাত দূরে অবস্থিত অন্য একটা টেবিলে বসে ২৯ /৩০ বছরের এক যুবতী মেয়ে উনার নেমপ্লেটের দিকে বার বার লক্ষ্য করছিলো। নেমপ্লেটে ইংরাজীতে লেখা ,"মিস্টার আফসার খান , পাবলিক প্রসিকিউটর , বাংলাদেশ "। এত লোক থাকতে এই ভিন দেশের
সুন্দরী যুবতী মিস্টার খানের মত একটা বুড়ো লোককে এভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে ,ব্যপারটা উনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছিলো। কৌতূহলবশত মিস্টার খান যুবতীর নেম প্লেটের দিকে লক্ষ্য করলো ,তাতে লেখা ,Ulrika Khan , Bar -at -Law ,Sweden।

সুইডেনের মেয়ে ব্যারিস্টার, আর পদবী’ খান, তাজ্জব ব্যাপার তো ! শেষের নাম খানা আবার ভালো করে দেখলেন, Kahn (ইহুদি নাম) নয়, KHAN ই (ইসলামিক নাম) লেখা রয়েছে। বানানের কোনো ভুল নেই। রহস্য আরও ঘনীভূত হয়ে উঠল। পরিচিত হতে আগ্রহী হয়ে উঠলেন। কিন্তু বেশী বেগ পেতে হলো না। যুবতীটি নিজেই চলে আসলো মিস্টার খানের টেবিলের কাছে শূন্য চেয়ারটাতে। সে মিস্টার খানের পাশের চেয়ারটাতে বসতে বসতে নির্ভুল ইংরেজিতে বলল, ‘Mr Khan , I can see you are from Bangladesh and what a coincidence , your surname and my surname is same.’ মিস্টার খান ইংরেজিতে উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, তাইতো দেখছি’। মিস উলরিক খান বলল, ‘আমি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে অনেক আগ্রহী’।

মিস্টার খান একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের মত উন্নত ধনবান দেশের শিক্ষিতা মহিলা আমাদের মতো দরিদ্র দেশ সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছ জেনে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করলাম। কিন্তু তবুও আমার কেমন যেন বিশ্বাস হচ্ছে না, সত্যিই তুমি বাংলাদেশ সমন্ধে জানতে আগ্রহ কি না। উলরিকা বোধদয় মিস্টার খানের কথায় কিছুটা হোঁচট খেল। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, ‘মিস্টার খান বাংলাদেশ সম্পর্কে গভীরভাবে জানার আমার একটা বিশেষ কারণ আছে’। মিস্টার খান পরক্ষনেই জিজ্ঞাসা করলেন ‘সে কারণটা কি হতে পারে তা কি আমি জানতে পারি ?’ কথাটি বলার সঙ্গে সঙ্গে মিস্টার খান দেখতে পেলেন উলরিকার সুন্দর দু চোখে জল ছল ছল করছে। ম্লান হেসে উলরিকা বললো, ‘ওই সামনের বারে (bar) আজ সন্ধ্যায় আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই’। মিস্টার খান মৃদু হেসে জানালেন, ‘আমি তো অ্যালকোহোল জাতীয় পানীয় পান করি না’। উলরিকা সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল। সে আমি জানি ,কারণ বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোকই মাদক দ্রব্য পান করে না, তা ছাড়া আমি নিজেও মাদক দ্রব্য পান করি না’।

উলরিকা মিস্টার খানকে ভরসা দিয়ে বলল, ‘আমরা দুজনেই অরেঞ্জ জুস খাব আর বাংলাদেশ সমন্ধে গল্প করব’। পরস্পরে বিদায় নেবার আগে উলরিকা হঠাৎকরে বলে উঠল, ‘বাংলাদেশের
সঙ্গে আমার নাড়ীর সম্পর্ক রয়েছে, তাই আপনার সঙ্গে আমার আলাপ করা একান্ত দরকার। আশাকরি আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ওই বারে (bar) আপনার সাক্ষাৎ পাব’। তারপর তখনকার মতো দুজনে দুজনার কাছ থেকে বিদায় নিল।

বিদেশিদের সত্যিই সময় জ্ঞানের প্রশংসা করতে হয়। ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উলরিকা নির্ধারিত জায়গায় এসে উপস্থিত। মিস্টার খানেরই বরং ১০/১২ মিনিট দেরী হয়ে গেল। শরৎকাল আসি আসি করছিল। পড়ন্ত বিকেলে পরিষ্কার আকাশটা নীল আভায় ভরপুর ছিল। এক কথায় আবহাওয়া এবং পরিবেশ মিলে সময়টা অত্যন্ত মনোরম ছিল। বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে মিস্টার খান প্রথমে দু গ্লাস অরেঞ্জ জুসের অর্ডার দিয়ে একটা খালি টেবিলে দুজনে মুখোমুখি বসে পড়ে। তারপর কোনো ভূমিকা ছাড়াই উলরিকা শুরু করলো ওর জীবনের না বলা কাহিনী।’ বাংলাদেশ থেকে আমি কি চাই আর কি পাইনি তা আজ আমি বলতে চাইছি না। শুধু এক পিতাহারা এক মেয়ের করুন কাহিনী আজ আপনাকে বলতে এসেছি। আমার মা জুডিথ জেনসেন (খান ) সুইডেনের হেলসিংবেরির মেয়ে। পেশায় ইংরেজির শিক্ষীকা। উনার বরাবরই ইংলান্ডের প্রতি আকর্ষণ ছিল। তাই প্রথম যৌবনেই ইংরেজি ভাষাকে আরও চৌকশ এবং ইংরেজদের ঐতিহাসিক দর্শনীয়গুলো নিজের চোখে দেখার জন্য লন্ডনে চলে আসেন। সে সময় বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনক্ষেত্র ছিল লন্ডনের পোর্টল্যান্ডে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলে। ভবিষৎ স্বামীর সঙ্গে ওখানেই পরিচয় হয় আমার মার । উনার নাম ও আফসার খান। বাঙালি ছেলে, তবে পাকিস্তান থেকে এসেছিলেন, কারণ তখন ও বাংলাদেশের জন্ম হয়নি। আপনার নাম এবং বাংলাদেশ থেকে এসেছেন দেখে মরিয়া হয়ে আপনার সঙ্গে আলাপ করার আগ্রহ চেপে বসে আমাকে, তারই সুযোগ খুঁজছিলাম। ভাগ্য ভালোই বলতে হবে, আপনার সঙ্গে পরিচয় হয়ে গেল। বলতে পারেন মনোস কামনা পূর্ণ হলো। উলরিকা তার কথায় কিছুক্ষন বিরতি নিল। কয়েক ঢোক অরেঞ্জ জুস পান করে তার কথা আবার শুরু করল, ‘মিস্টার খান,আমি জানি খান পদবী বাংলাদেশে-ইংল্যান্ডের স্মিথ পদবীর মতো পথে-ঘাটে ছড়িয়ে আছে।

তবুও ভাবলাম, বাংলাদেশ থেকে যখন এসেছেন তখন আপনার কাছে আমার আরজিখানা পেশ করতে পারব। আমার একান্ত অনুরোধ, ঘটনাক্রমে যদি বাংলাদেশে কখনো কোনো ‘বার’ অ্যাসোসিয়েশনে আমার বাবার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, তাহলে তাকে জানাবেন, তার মেয়ে উলরিক খান সেই সুদূর সুইডেনে বসে প্রতি রাতে ঘুমোবার আগে তার জন্য অশ্রু ঝরায়। তার যে একান্ত ইচ্ছে ছিল ব্যারিস্টার হবার, যা সে হতে পারেনি। তার মেয়ে ব্যারিস্টার হয়েছে। শুধু এই কষ্টটুকু আমার জন্য করবেন। তার প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নেই’।

তারপর উলরিকা তার হাত ব্যাগ থেকে কয়েক দশকের এক পুরোনো ছবি বের করে মিস্টার খানের সামনে ধরল এবং সঙ্গে সঙ্গে জানাল, ‘এটা আমার বাবার ছবি এবং ছবিখানা আমি সব সময়ই আমার কাছে রাখি, আর আমি ভাবি আমার বাবা আমার সঙ্গেই আছেন। ছবিখানা দেখেই মিস্টার খানের মাথা চরকগাছ !! উনার মাথাটা যেন দুলতে শুরু করল, মনে হলো এখনই বুঝি মাটিতে পড়ে যাবেন। কিন্তু তা হলো না, শুধু দুচোখ বেয়ে অশ্র্রু গড়িয়ে পড়ল। মিস্টার খান নিশ্চিত হলেন, তা হলে উলরিকা তারই মেয়ে। জীবনে তিনি যা হতে পারেননি, উলরিকা তার সেই ব্যারিস্টার হওয়ার সাধ পূরণ করেছে। তিনি কি এখন বলতে পারেন, ‘আমি তোমার সে হারিয়ে যাওয়া বাবা ,আর তুমিই আমার মেয়ে’। নিজেকে অপরাধী ভেবে সে কথাটি বলার আর সাহস হলো না। আজ বয়সের ভার আর দাড়ির আড়ালে উলরিকা উনাকে চিনতে পারছে না। উলরিকা যে ছবিখানা মিস্টার খানকে দেখালো সেটা তোলা হয়েছিল লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ল’ পাশ করার পর কনভোকেশনের দিনে। সঙ্গে ছিল উলরিকার মা। তারপর কত স্বপ্ন দেখেছেন জুডিথ জেনসেনকে অথাৎ উলরিকার মাকে নিয়ে। যথা সময়ে মিস জেনসেনকে বিয়ে করে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ভর্তিও হয়েছিলেন। এমন সময় দেশ থেকে আর্জেন্ট চিঠি এলো, মা গুরুতর অসুস্থ। কোনো উপায় না দেখে জুডিথকে লন্ডনে রেখেই দেশের উদ্দেশে পাড়ি দিলেন। দেশে পৌঁছে যা দেখলেন ,তা অন্যরূপ। মায়ের শরীর খারাপ, ওটা একটা উছিলা ছিল। আসলে উনাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য এভাবে ডাকা হয়েছে। তা না হলে উনি হয়তো দেশে এভাবে ফিরতেন না। পরিবেশের চাপে পড়ে মিস্টার খানের বিয়ে হয়ে গেল, আর এভাবেই উনার জীবন থেকে জুডিথ ও হারিয়ে গেল। বিলেতে আর ফেরা হলো না।

উলরিকার ডাকে মিস্টার খানের অন্যমনস্কতা ভেঙে গেল, সে একটু উদ্বিগ্ন চিত্তে বলল, ‘মিস্টার খান, আপনার চোখে জল যে’। কথা চাপা দেবার জন্য তিনি বললেন, ‘বুড়ো বয়সে চোখের দৃষ্টি কমে যাচ্ছে ,তাই মাঝে মাঝে চোখে জল এসে যায়, উলরিকা আবার বলল, ‘আপনি আমার বাবার বয়সী, আপনার চোখের জল আমি কি মুছে দেব?’ ‘ধন্যবাদ’ , মিস্টার খান বিনয়ের সঙ্গে জানালেন , ‘মুছে দিয়ে আর কী লাভ ! আবার তো চলে আসবে, নয়নের জল নয়নেই শুকাতে দাও’।
‘আচ্ছা, তাই হোক’ উলরিকা সম্মতি জানালো।

ইতিমধ্যেই উভয়ই পরস্পরের কাছে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। উলারিকা আবার শুরু করল তার জমানো কথা, ‘জানেন মিস্টার খান ,যদিও আমার বাবা একজন বিদেশিনীকে বিয়ে করেছিলেন তবুও উনি ছিলেন মনে প্রাণে একজন খাঁটি বাঙালি। আমার মা বলতেন, হঠাৎকরে আমার বাবা রাত দুপুরে জেগে উঠে রবীন্দ্র সংগীত/নজরুল গীতি শুনতে বসে যেত। দেশের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে সর্বশেষ সংবাদের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকত’। উলরিকার হৃদয়স্পর্শী কথার মাঝখানে বাধা দিয়ে মিস্টার খান জিজ্ঞাসা করল, ‘যে লোকটা তোমাদের কোনো খোঁজ নেয়নি, তোমার মাকে ঠকিয়েছে, তার জন্য তোমার কেন এত আগ্রহ?’

উলারিকা দৃতার সঙ্গে উত্তর দিল, ‘আমার মার কোনো বিশ্বাস নেই আমার বাবার প্রতি, কিন্তু আপনিই বলুন, আমি কি করে বিশ্বাস হারাতে পারি? উনি তো আমার জন্ম দাতা ’কথাটি বলে সে মিস্টার খানের দিকে জিজ্ঞাসু নেত্রে তাকিয়ে রইল।

কি বা বলবে, কারণ মিস্টার খানের কাছে এ মুহূর্তে বলার কিছু ছিল না। মিস্টার খানের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে উলারিকা নিজেই বললো, ‘নিশ্চয়ই কোনো সাংঘাতিক কারণ ছিল যার জন্য আমাদের আর কোনো খোঁজ খবর নিতে পারেননি, হয়তোবা এ ভুলের জন্য এখনো তিনি পদে পদে কষ্ট পাচ্ছেন’। ‘হয়তোবা’ মিস্টার খান অস্ফুট স্বরে উত্তর দিলেন। সে সময় মিস্টার খানের কাছে মনে হচ্ছিল ,জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আজ আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে, যেন বুকটা ভেঙে চুরমার হতে চলছে। ভাবছে এ কী হলো!

রাত গভীর হতে চলছে। দুজনে দুজনকে শুভরাত্রি জানিয়ে ‘আগামীকাল আবার দেখা হবে’ অঙ্গীকার করে হোটেল রুমে ফিরে গেল। তারপর মিস্টার খান সারা রাত ঘুমাতে পারেননি। তিনি ভাবছেন, তাহলে উলরিকা আমারই মেয়ে, ওর মা এখন কোথায়? নিজের পরিচয় টুকু কি জানিয়ে দেবেন? অজস্র চিন্তা-ভাবনায় উনার মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো। ভোরবেলা কনফারেন্স রুমে ঢুকতেই উলরিকার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। উলরিকা মিস্টার খানকে জিজ্ঞাসা করল, ‘মিস্টার খান আপনাকে খুবই ক্লান্ত দেখাচ্ছে, রাতে কি ঘুমের কোনো অসুবিধা হয়েছিল’। ‘তুমি ঠিক ধরেছ , বয়সের জন্য ঘুমের একটু ব্যাঘাত হয়েছে ’, মিস্টার খান জবাব দিলেন।

বিকাল বেলায় কনফারেন্স শেষ হলো। আগামীকাল সবাই হোটেল ছেড়ে যে যার দেশে চলে যাবে। মিস্টার খানের মন কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছে না। কি করা যায় ভাবছেন। উলরিকাকে ওর রুমে ফোন করলেন,’ কাল তো আমরা সবাই চলে যাচ্ছি, এ মুহূর্তে আমরা দুজনে, কী করতে পারি?’ অপর প্রান্ত থেকে উত্তর এলো, ‘চলুন, সাগর পাড়ে আজকের সন্ধ্যাটি কাটিয়ে দেই। আমার মা বলতেন, আমার বাবা জল, নদী, সাগর খুবই ভালোবাসতেন’। মিস্টার খান জানালেন, ‘বাংলাদেশের সব ছেলে মেয়ে জল নদী, সাগর, ভালোবাসে। কারণ, এতেই তাদের জন্ম, আর বেড়ে উঠা, তাদের জীবনের গতিধারা এই নদী, সাগরের মতো উত্তাল, উচ্ছল।

তারপর ঘণ্টা খানকের মধ্যে উলরিকা মিস্টার খানের রুমের ‘door bell’ বাজাল। মিস্টার খান তাকে দেখে একেবারে হতভম্ব, তিনি এ কি দেখছেন! উলরিকা শাড়ী পরে উনার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মিস্টার খান জিজ্ঞাসা করল, এ শাড়ি তুমি পেলে কোথায়’? উলরিকা মিস্টার খানকে আরও হতবাক করে বললো, ‘এটা আমার মার শাড়ি। আমার বাবা প্রথম এই শাড়িখানা আমার মাকে উপহার দিয়েছিলেন। এই শাড়িটি প্রায় তিরিশ বছরের পুরোনো।’ কথাগুলি শুনে মিস্টার খানের হৃদয় যেন চৌচির হয়ে যেতে লাগল। জীবন যে এত কষ্টকর, তা তিনি কখনো ভাবেননি। সাগর পারের পরিষ্কার বালির উপর দিয়ে মেয়ে আর বাবা হেঁটে চলছে, আর সেই সঙ্গে মিস্টার খান মনে মনে কামনা করছে, এ চলার পথ যেন শেষ না হয়। আগামীকাল যেন না আসে। অতীত হারিয়ে গেছে, বর্তমান যেন চিরন্তন হয়ে থাকে।

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২