সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রকিবুল হাসানের একগুচ্ছ কবিতা

একটি সাধারণ ছবি

খুব সাধারণ মানের একেবারেই সাদাসিধে একটি ছবি
কী এক অদ্ভুত শক্তিতে
ধরে রাখে আমাকে গভীর সুতোবন্দি করে

একটুও যত্ন নেই ছবিটির কোথাও
শুধু নিখাদ মাটিতে দাঁড়ানো যেন কাঁচাবালিকা মুখ
পুষ্পিতা পাপড়ি ছড়ানো ছিটানো

মায়াবী দু’চোখে যেন মেঘভরা কথার পালক
উড়ে আসে ভেঙে ভেঙে
আমাকে অনেক কথা বলে যায় কোনো কথা না বলেই

ছবিটা কি রঙিন প্রজাপতি নাকি দোয়েলিকা পাখি
মনের অরণ্যে ওড়ে নিজমনে বাঁধা আপন সংগীতে
নাকি কবিতার রহস্যঈশ্বর জীবনছন্দে দুলে ওঠা
সুন্দরিমা স্বর্ণ ফসলের মাঠ

আমি কী যে মল্লিকা মুগ্ধতা নিয়ে ডুবে থাকি
ছবিটি কি তাহলে নদী অথবা সমুদ্র
আমাকে এ কোন স্রোতে টানে
আষাঢ়ের বন্যা কীভাবে চেনে সে...

খুবই সাধারণ মানের মধ্যবিত্ত পরিবারের অষ্টাদশীর
সাদাকালো ছবি যেন
একটুও প্রসাধনের ঘষামাজা নেই— নগরীনাবিলার
ঘ্রাণ নেই বসনে— কোনোরকমে
একখণ্ড কুচকুচে কালো মৈথিলী মেঘের মতো একমুঠো চুল
ছড়িয়ে রয়েছে ঢেউবতী বুকের কার্নিশে
আনমনে কখনো হয়তো সে নিজেই নিয়েছিল টেনে...

কোথায় দেখেছি যেন—
কাহ্নপা নাকি বড়– চণ্ডীদাসের ঘরে— মনে পড়ে না
শিলাইদহ নাকি লালনের মাজারে— গভীর ধ্যানে খুঁজি
পথ ভেঙে পথে পথে— ‘আমার মনের মানুষ যে রে...’

রবীন্দ্রনাথের নায়িকা

মধ্যরাত ভেঙে আমার মৃত্তিকা— বুনে দিল দু’চোখে আমার সরিষা ফুলের মতো হলুদ বিস্ময়
আমি তাকে দেখি— সারা ঘর দেখি— যেন সারা ঘর রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথের নায়িকা হয়ে অপূর্ব সজ্জিতা মৃত্তিকা শরীর

কবিতার মতো করে ঘরভর্তি রবীন্দ্রনাথের ছবি
কী অদ্ভুত সুন্দর করে ফুলেল পাপড়ির মতো সাজানো স্বর্ণ-কর্ম
লাউডগা শরীরের মোমবাতির মায়াবী আলোতে কী ভীষণ
উজ্জ্বল রবীন্দ্রনাথ

মৃত্তিকা তাঁর বুকের সাথে মুখ লুকিয়ে খুব শান্তি করে
খুব বড়ো করে নিশ্বাস নেয় যেন সমুদ্র শীতল হয়ে ওঠে
জন্মান্তরের তৃষ্ণা
মধ্যরাত রবীন্দ্রনাথ হয়ে ওঠে—ত কী যে মুগ্ধ আলোতে ডুবে যায়
রাতের আঁধার— মৃত্তিকা আর মৃত্তিকা থাকে না

রবীন্দ্রনাথের ভেতর কীভাবে যেন সে সূর্য ডোবার মতো ডুবে যায়
আমি তাকে কিছুতেই পাই না— সে শুধুই রবীন্দ্রনাথের নায়িকা
আমি দেখি গভীর বিস্ময়ে রবীন্দ্রনাথ এখনো কী দুর্দান্ত যুবক

অন্ধকার ভেঙে এখনো সে প্রতিদিন দুপুরের রোদের মতো উজ্জ্বল
মৃত্তিকা কী অপার আনন্দে প্রতিটি নিশ্বাসে রবীন্দ্রনাথের...

জীবনযাপন

একমুঠো আলো খুঁজি— খেয়েপরে বাঁচার মতোন সাদাসিধে
ভবিষ্যৎ খুঁজি— আঁধারে নিজেকে নিজের দু হাতে...
বাড়িঅলা বাসা ছাড়ার তাগিদ দিচ্ছে ক’মাস থেকেই
বৃদ্ধ বাবার জন্যে টাকা পাঠানো হয় না এখন আর
মায়ের খোঁজ জানি না— অসুস্থ বাচ্চা পুড়ছে জ্বরের আগুনে
বারোভূতে লুটে নেয় মাটি মেয়ে সোনামুখ

বউটার মন ভালো নেই— শুকিয়ে গেছে কবুতর শরীর
ঘর ছেড়ে গেছে কেজিদরে মাদাম বোভারি আন্না কারেনিনা
সঞ্চয়িতা দি গড অব স্মল থিংকস সাধক বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ...
বাজারের ব্যাগে তেলাপোকার বাড়ি— ঋণের বোঝায়
পা’র কাছে নুয়ে পড়েছে মাথাটা
দৈত্যের মতোন ভয়ংকর হাতে ভাঙি
আত্মজার মাটির ব্যাংক— যেন সিঁধেল চোর নিজেই নিজের ঘরে

কাঁটাতারে ঘেরা জুয়াড়ি জীবন
এভাবে আঁধার ভেঙে ভেঙে কতদূর হাঁটা যায়
বারবার ঘুরপাক খাই অন্ধকারে

একমুঠো আলো খুঁজি— খেয়েপরে বাঁচার মতোন

প্রত্নজীবন

তুমিও কি আজ মধ্যরাত ভেঙে জেগে উঠেছিলে
তোমার নিশ্বাস ভেসে এল রাতের প্রাচীর ভেঙে
বিবর্ণ নগরে— একতারা ঢেউয়ে হেঁটেছি জীবন সড়কে
একদিন মৃত্যুর ভেতর দিয়ে দুঃখ-ভূমিতে তোমার
প্রত্নজীবন হয়ে যাব— তখন রাত্রির গভীরতা ভেঙে
জীবন কিনারে তুম হেঁটেছ তুমিও এক জীবন পুরোটা

আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক

আমার অন্তর্বেদনা আমারই থাকুক
আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক
আমার কলিজা কেটে কেটে যারা
সালাদ বানিয়ে তৃপ্তি করে খেয়ে গেল
তারাও ভালো থাকুক—ভালো থাকুক সবাই।

আমার ভরাট বুকে বর্ষা নদীর মতো
থই থই স্বপ্ন ছিল
প্রবল মাতাল স্রোতে ভেসে গেল সব
পুকুরভর্তি মাছের মতো অচেনা হাওরে
তবুও ভালো থাকুক অধিকার হরণের গল্প।

অন্ধকার মুখোশে নিজেকে ঢেকে
যারা চেতনার কথা বলে
যারা নতুন যৌবন দেবে বলে স্বপ্ন বুননের
প্রতিশ্রুতির গোলাপ পাপড়ি ছড়ায়
দুমুখো গোখরা হয়ে মসৃণ সড়কে
জীবন চালায়—ভালো থাকুক তারা
ভালো থাকুক সবাই।
ভগ্নস্তূপে বাসা বাঁধে কত সাধের যৌবন
নিঃস্বজনের অন্তরে কত অন্তর্জালা
অন্তর্বেদনা কে কার চেনে বলো
সুখনদী খুঁজতে খুঁজতে সব পাখিই তো
দুঃখনদীর গহীনে হারায়।

আমার অন্তর্বেদনা আমারই থাকুক
আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক

প্রজাপতি মেয়ে

কক্সবাজারের বাতাসে হলো না
পাখা মেলে উড়া প্রজাপতি মেয়ে,
নিভে গেলো
ভেজামেঘে রঙধনু চোখের পিপাসা।

ঝড় উঠেছিলো অগ্নিলাভা
সমুদ্রে সুখের স্নান,
আগুনের গান ভেসে গেলো
কিছুই পারোনি বুঝতে, সর্বনাশা।

কেনো তবে এইভাবে জীবনের খেলা!
কক্সবাজারের শীতল নিশ্বাস
বুক ভরে নেবে বলে
দুচোখ তোমার পরকীয়া বিমান-ডানায়!

ঠিক এরকম নয়

স্বার্থের ছোবল অদ্ভুতরকম ঘরের উঠোন থেকে রাজসিংহাসন
সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়,
অন্য কোন রকম হয়তো!
নদীকে দেখেছি রোগে শোকে বাঁচামরা হয়ে নিজের দুঃখকে
নিজের বুকেতে দিয়েছে কবর—তবুও
তার পাশে যখুনি যে দাঁড়ায় বেলা-অবেলা
কখনো কাউকে ফেরায় নি;
বৃক্ষের ছায়ায় কত রোদ্দুর দুপুর কেটে গেছে
কত পথিক-মহাজনের—কত ছায়া দিয়েছে ক্লান্ত শরীরে
কখনো করেনি হিসাব—করেনি চাতুরি অঙ্ক;
দোয়েল কোয়েল ঘুঘু বউ কথা কও
কত গান দিয়েছে মুগ্ধতা
কত পুষ্প কত লাবণ্য ও ঘ্রাণে সঁপেছে সুন্দরে
কত পাহাড়ে মিলেছে বুক কত আকাশ প্রেম ও অভিমানে
আছড়ে পড়েছে প্রবল প্রপাতে মাথাকুটে কেঁদেছে কতো যে
বুকে বেঁধে নিয়েছে পাহাড় সেই বেদনা আপন করে।

মানুষের কাছে মানুষ কেন যে বেদনার নীলখাম
মানুষের কাছে মানুষের কেন এতো দুঃখসমুদ্র
মানুষের কাছে মানুষের কেন যে কষ্টের বিষাক্ত ছোবল
মানুষে মানুষে কেন তবে প্রতারণা নীল দংশন

হাওর-বাঁওড় নদীনালা শাপলা ফুল
গ্রাম-শহরের অঁকাবাঁকা পথ
আনাচে কানাচে উড়ে বেড়ানো চড়–ই
কাদামাটি পলিমাটি উর্বর জমিন
বেণী দুলানো ফসলের মাঠ
রমণীর শরীরের মতো ঢেউখেলা নদী
জীবন জড়ানো পবিত্রতার কবিতা সুন্দরের শিরোনাম
এখন মরণঘাতী বিষে নীলবর্ণ শরীরে মরণ শ্বাসকষ্ট

নদীতে দখল—ক্ষতবিক্ষত রমণী শরীর
একান্নবর্তী উঠোনে দখলদারিত্ম—
গোখরা সাপের ভয়ঙ্কর খেলা
স্নেহ-মমতা-ভালোবাসায় দখল নিয়েছে স্বার্থের দারুণ ফণা
হাওর-বাঁওড়ে দখলের লাঠি সুউচ্চ প্রাসাদ
হাছন লালনে অপশক্তির দখল
মাথামোটা রাজনীতিকের দখলে রবীন্দ্র-নজরুল

ধবধবে চেহারার দখলদারেরা দেশপ্রেমের দরদী গল্প বলে
এদের সবার মুখশ্রী ও শরীর মানুষের মতো—
সত্যিকার মানুষই ভেবেছি;
এই ভাবনায় এখন নিজের কাছে নিজেরই অজস্র প্রশ্ন।

এরা কি সত্যিই মানুষ!
তবে নদী কেন দুঃখ পায়
ফুল-পাখি-প্রজাপতি কেন দুঃখ পায়
মর্ত্য ও আকাশ কেন দুঃখ পায়!
আস্থা ও বিশ্বাস চেতনার টকটকে লাল গোলাপ পাপড়ি
পদদলিত সহজ সরল জীবনপথের মুঠোভরা স্বপ্নে।

নদীকে জিজ্ঞেস করেছি সত্যিকারের মানুষ দেখতে কেমন!
বৃক্ষকে জিজ্ঞেস করেছি প্রকৃত মানুষ কেমন!
আঁকাবাঁকা জীবনপথকে জিজ্ঞেস করেছি নিখাদ মানুষ কেমন!
পাহাড় ও আকাশকে জিজ্ঞেস করেছি খাঁটি মানুষের স্বরূপ কেমন!
সবাই রক্তাক্ত বুক দেখিয়ে বলেছে— আমাদেরও একই প্রশ্ন;
সত্যিকারের মানুষ ভেবে যাদের দিয়েছি বুক পেতে
সবাই প্রেমের নামে খুন করে নিয়েছে দখল সরল মাটির;
সত্তাহীন এই বেঁচে থাকা যেন পরিচয়হীন গণধর্ষিতা সুন্দরী নারী!

এখন কেন যে মনে হয় সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়
স্বার্থের ছোবল অদ্ভুতরকম ঘরের উঠোন থেকে রাজসিংহাসন।

সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়, অন্য কোন রকম হয়তো

আরএ/

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা