চড়ুইয়ের সঙ্গে ঈদ
দোয়েল, তোমার বাড়ি কোথায়? বাড়ি যাচ্ছ তুমি?
শালিক, তুমি দিব্যি আছ, মাঠের জলে স্নান সারছ! বাড়ি কোথায়, তোমার!
চড়ুই তুমি আমার বারান্দায়,
খড় এনেছ, কুটো কিছু, ঘর বাঁধবে, ঘর!
আমিই তোমার পড়শি তবে, আপন হলাম, নই তো এখন পর!
কিন্তু তুমি বাড়ি যাবে নাকি!
ঈদ এসেছে, সবাই দ্যাখো, বাড়ির পথে ছুটছে যে যার মতো,
তোমার কি নেই দেশের বাড়ি, গ্রামের বাড়ি, নেই কি তোমার
নাড়ির টানে বাড়ির পানে উড়াল দেবার ব্রত!
শীতের পাখি আসেন যাঁরা, তাঁরাও কিন্তু ফেরেন শীতের শেষে,
অতিথি সব বলি তাঁদের, শীতের শেষে ফেরেন নিজের দেশে!
শালিক, চড়ুই, দোয়েল, তোমরা বাড়ির কথা মনে করছ কি?
মায়ের কথা, বাবার কথা, একটা নীড়ে পাশাপাশি উড়তে-শেখা,
একই সঙ্গে চক্ষু-ফোটা, ভাইবোনদের কথা আবছা
একটু ঝাপসা
মনের ফ্রেমে ফুটে উঠছে কি?
দোয়েল তুমি বাড়ি ফিরবে না?
শালিক তুমি গ্রামে যাবে না?
দেশের বাড়ি, দেশের বাড়ি, জ্যোৎস্নাধোয়া আকাশতলে
আলপথের মধ্য দিয়ে, কলাগাছের সারির পাশে,
খড়ের পালার আড়াল ঘেঁষে
মায়ের আঁচল বিছিয়ে রাখা উঠান হেঁটে
দরজাতে কড়া নেড়ে আম্মা বলে ডেকে ওঠা
এবার তোমার হচ্ছে না কি তবে?
চড়ুই তবে বারান্দাতে তোমার আমার ঈদটি করা হবে।