অনুচিত্র
হুঁশিয়ার থাকার পরও
নিজেকে সামলানো যায় না!
সতর্ক থাকার পরও
চিত্ত এতটা চঞ্চল হয়ে ওঠে কেন?
চিনিতে জ্বাল দেওয়া কিশমিশও
আপেলকে দেখায়
কোন্ দিগন্তরেখায়!
সাবধানে থাকার পরও
সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে রাখা মাইন
কীভাবে বিস্ফোরিত হয়
তা আমিও দেখি,
খুদে ক্যামেরার অনুচিত্রে
নিজের ভেতর!
উন্মাদনায় যে দৃশ্য তৈরি হয়
তা মনকে মুচড়ে দিলেও
নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব নয় সবসময়!
রত্নমণি
অন্ধভক্ত বলে শক্তভাবে বলি তুমি রত্নমণি
খনি হয়ে ওঠ সৌন্দর্যের!
সূর্যস্নানে যাও!
দুই ওষ্ঠ দিয়ে তৈরি হয় যে সকল উচ্চারণ
তা কি অর্থহীন?
গ্রন্থি উন্মোচন করে বাঁক ফিরে চাও
চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাও ভেতরের ধ্বনি।
নোংরা পানি থেকে সমুদ্রের জলে নামো
তুমিও হয়েছ উত্তাল-তরঙ্গ
সমুদ্র-তরঙ্গে আজ,
সাজ পরে আছ শুধু কেন?
বুক-সাঁতার
বুক-সাঁতার দিই সমুদ্রের বুকে
বাহুদ্বয় একইসাথে দেহের দুই দিকে
সঞ্চালিত হয়।
এই সাঁতারে জলের সাথে কতটুকু বোঝাপড়া?
অনুভূতি ছুঁয়ে যায়!
শ্বাসপ্রশ্বাস কতটা উঠানামা করে?
ভয় ও শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায়
সমুদ্রের সফেন-তরঙ্গ আছড়ে পড়ে।
উত্তেজনায় ঢেউয়ে ঢেউয়ে
কখন যে পোতাশ্রয়ে পৌছেঁ যাই।
অন্তর্জগৎ
কেটলি ভরে এনেছো গরম চা
কী উত্তাপ!
উত্তাপে উত্তাপে হারিয়ে যায় সন্তাপ।
ভেতরে ভেতরে জেগে ওঠে কোন্ মাত্রা?
হঠাৎ কী ডাক দেয়
নদীপথ থেকে সমুদ্রপথে শুরু হয় যাত্রা!
খুলে যায় অন্তর্জগৎ
ক্যানভাসে ছবি আঁকা হয়
সেটা কি অলোকরশ্মি নিয়ে
হয়ে উঠে না দিগন্তরেখায় মহৎ?
এসএন