শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রকিবুল হাসানের একগুচ্ছ কবিতা

একটি সাধারণ ছবি

খুব সাধারণ মানের একেবারেই সাদাসিধে একটি ছবি
কী এক অদ্ভুত শক্তিতে
ধরে রাখে আমাকে গভীর সুতোবন্দি করে

একটুও যত্ন নেই ছবিটির কোথাও
শুধু নিখাদ মাটিতে দাঁড়ানো যেন কাঁচাবালিকা মুখ
পুষ্পিতা পাপড়ি ছড়ানো ছিটানো

মায়াবী দু’চোখে যেন মেঘভরা কথার পালক
উড়ে আসে ভেঙে ভেঙে
আমাকে অনেক কথা বলে যায় কোনো কথা না বলেই

ছবিটা কি রঙিন প্রজাপতি নাকি দোয়েলিকা পাখি
মনের অরণ্যে ওড়ে নিজমনে বাঁধা আপন সংগীতে
নাকি কবিতার রহস্যঈশ্বর জীবনছন্দে দুলে ওঠা
সুন্দরিমা স্বর্ণ ফসলের মাঠ

আমি কী যে মল্লিকা মুগ্ধতা নিয়ে ডুবে থাকি
ছবিটি কি তাহলে নদী অথবা সমুদ্র
আমাকে এ কোন স্রোতে টানে
আষাঢ়ের বন্যা কীভাবে চেনে সে...

খুবই সাধারণ মানের মধ্যবিত্ত পরিবারের অষ্টাদশীর
সাদাকালো ছবি যেন
একটুও প্রসাধনের ঘষামাজা নেই— নগরীনাবিলার
ঘ্রাণ নেই বসনে— কোনোরকমে
একখণ্ড কুচকুচে কালো মৈথিলী মেঘের মতো একমুঠো চুল
ছড়িয়ে রয়েছে ঢেউবতী বুকের কার্নিশে
আনমনে কখনো হয়তো সে নিজেই নিয়েছিল টেনে...

কোথায় দেখেছি যেন—
কাহ্নপা নাকি বড়– চণ্ডীদাসের ঘরে— মনে পড়ে না
শিলাইদহ নাকি লালনের মাজারে— গভীর ধ্যানে খুঁজি
পথ ভেঙে পথে পথে— ‘আমার মনের মানুষ যে রে...’

রবীন্দ্রনাথের নায়িকা

মধ্যরাত ভেঙে আমার মৃত্তিকা— বুনে দিল দু’চোখে আমার সরিষা ফুলের মতো হলুদ বিস্ময়
আমি তাকে দেখি— সারা ঘর দেখি— যেন সারা ঘর রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথের নায়িকা হয়ে অপূর্ব সজ্জিতা মৃত্তিকা শরীর

কবিতার মতো করে ঘরভর্তি রবীন্দ্রনাথের ছবি
কী অদ্ভুত সুন্দর করে ফুলেল পাপড়ির মতো সাজানো স্বর্ণ-কর্ম
লাউডগা শরীরের মোমবাতির মায়াবী আলোতে কী ভীষণ
উজ্জ্বল রবীন্দ্রনাথ

মৃত্তিকা তাঁর বুকের সাথে মুখ লুকিয়ে খুব শান্তি করে
খুব বড়ো করে নিশ্বাস নেয় যেন সমুদ্র শীতল হয়ে ওঠে
জন্মান্তরের তৃষ্ণা
মধ্যরাত রবীন্দ্রনাথ হয়ে ওঠে—ত কী যে মুগ্ধ আলোতে ডুবে যায়
রাতের আঁধার— মৃত্তিকা আর মৃত্তিকা থাকে না

রবীন্দ্রনাথের ভেতর কীভাবে যেন সে সূর্য ডোবার মতো ডুবে যায়
আমি তাকে কিছুতেই পাই না— সে শুধুই রবীন্দ্রনাথের নায়িকা
আমি দেখি গভীর বিস্ময়ে রবীন্দ্রনাথ এখনো কী দুর্দান্ত যুবক

অন্ধকার ভেঙে এখনো সে প্রতিদিন দুপুরের রোদের মতো উজ্জ্বল
মৃত্তিকা কী অপার আনন্দে প্রতিটি নিশ্বাসে রবীন্দ্রনাথের...

জীবনযাপন

একমুঠো আলো খুঁজি— খেয়েপরে বাঁচার মতোন সাদাসিধে
ভবিষ্যৎ খুঁজি— আঁধারে নিজেকে নিজের দু হাতে...
বাড়িঅলা বাসা ছাড়ার তাগিদ দিচ্ছে ক’মাস থেকেই
বৃদ্ধ বাবার জন্যে টাকা পাঠানো হয় না এখন আর
মায়ের খোঁজ জানি না— অসুস্থ বাচ্চা পুড়ছে জ্বরের আগুনে
বারোভূতে লুটে নেয় মাটি মেয়ে সোনামুখ

বউটার মন ভালো নেই— শুকিয়ে গেছে কবুতর শরীর
ঘর ছেড়ে গেছে কেজিদরে মাদাম বোভারি আন্না কারেনিনা
সঞ্চয়িতা দি গড অব স্মল থিংকস সাধক বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ...
বাজারের ব্যাগে তেলাপোকার বাড়ি— ঋণের বোঝায়
পা’র কাছে নুয়ে পড়েছে মাথাটা
দৈত্যের মতোন ভয়ংকর হাতে ভাঙি
আত্মজার মাটির ব্যাংক— যেন সিঁধেল চোর নিজেই নিজের ঘরে

কাঁটাতারে ঘেরা জুয়াড়ি জীবন
এভাবে আঁধার ভেঙে ভেঙে কতদূর হাঁটা যায়
বারবার ঘুরপাক খাই অন্ধকারে

একমুঠো আলো খুঁজি— খেয়েপরে বাঁচার মতোন

প্রত্নজীবন

তুমিও কি আজ মধ্যরাত ভেঙে জেগে উঠেছিলে
তোমার নিশ্বাস ভেসে এল রাতের প্রাচীর ভেঙে
বিবর্ণ নগরে— একতারা ঢেউয়ে হেঁটেছি জীবন সড়কে
একদিন মৃত্যুর ভেতর দিয়ে দুঃখ-ভূমিতে তোমার
প্রত্নজীবন হয়ে যাব— তখন রাত্রির গভীরতা ভেঙে
জীবন কিনারে তুম হেঁটেছ তুমিও এক জীবন পুরোটা

আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক

আমার অন্তর্বেদনা আমারই থাকুক
আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক
আমার কলিজা কেটে কেটে যারা
সালাদ বানিয়ে তৃপ্তি করে খেয়ে গেল
তারাও ভালো থাকুক—ভালো থাকুক সবাই।

আমার ভরাট বুকে বর্ষা নদীর মতো
থই থই স্বপ্ন ছিল
প্রবল মাতাল স্রোতে ভেসে গেল সব
পুকুরভর্তি মাছের মতো অচেনা হাওরে
তবুও ভালো থাকুক অধিকার হরণের গল্প।

অন্ধকার মুখোশে নিজেকে ঢেকে
যারা চেতনার কথা বলে
যারা নতুন যৌবন দেবে বলে স্বপ্ন বুননের
প্রতিশ্রুতির গোলাপ পাপড়ি ছড়ায়
দুমুখো গোখরা হয়ে মসৃণ সড়কে
জীবন চালায়—ভালো থাকুক তারা
ভালো থাকুক সবাই।
ভগ্নস্তূপে বাসা বাঁধে কত সাধের যৌবন
নিঃস্বজনের অন্তরে কত অন্তর্জালা
অন্তর্বেদনা কে কার চেনে বলো
সুখনদী খুঁজতে খুঁজতে সব পাখিই তো
দুঃখনদীর গহীনে হারায়।

আমার অন্তর্বেদনা আমারই থাকুক
আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক

প্রজাপতি মেয়ে

কক্সবাজারের বাতাসে হলো না
পাখা মেলে উড়া প্রজাপতি মেয়ে,
নিভে গেলো
ভেজামেঘে রঙধনু চোখের পিপাসা।

ঝড় উঠেছিলো অগ্নিলাভা
সমুদ্রে সুখের স্নান,
আগুনের গান ভেসে গেলো
কিছুই পারোনি বুঝতে, সর্বনাশা।

কেনো তবে এইভাবে জীবনের খেলা!
কক্সবাজারের শীতল নিশ্বাস
বুক ভরে নেবে বলে
দুচোখ তোমার পরকীয়া বিমান-ডানায়!

ঠিক এরকম নয়

স্বার্থের ছোবল অদ্ভুতরকম ঘরের উঠোন থেকে রাজসিংহাসন
সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়,
অন্য কোন রকম হয়তো!
নদীকে দেখেছি রোগে শোকে বাঁচামরা হয়ে নিজের দুঃখকে
নিজের বুকেতে দিয়েছে কবর—তবুও
তার পাশে যখুনি যে দাঁড়ায় বেলা-অবেলা
কখনো কাউকে ফেরায় নি;
বৃক্ষের ছায়ায় কত রোদ্দুর দুপুর কেটে গেছে
কত পথিক-মহাজনের—কত ছায়া দিয়েছে ক্লান্ত শরীরে
কখনো করেনি হিসাব—করেনি চাতুরি অঙ্ক;
দোয়েল কোয়েল ঘুঘু বউ কথা কও
কত গান দিয়েছে মুগ্ধতা
কত পুষ্প কত লাবণ্য ও ঘ্রাণে সঁপেছে সুন্দরে
কত পাহাড়ে মিলেছে বুক কত আকাশ প্রেম ও অভিমানে
আছড়ে পড়েছে প্রবল প্রপাতে মাথাকুটে কেঁদেছে কতো যে
বুকে বেঁধে নিয়েছে পাহাড় সেই বেদনা আপন করে।

মানুষের কাছে মানুষ কেন যে বেদনার নীলখাম
মানুষের কাছে মানুষের কেন এতো দুঃখসমুদ্র
মানুষের কাছে মানুষের কেন যে কষ্টের বিষাক্ত ছোবল
মানুষে মানুষে কেন তবে প্রতারণা নীল দংশন

হাওর-বাঁওড় নদীনালা শাপলা ফুল
গ্রাম-শহরের অঁকাবাঁকা পথ
আনাচে কানাচে উড়ে বেড়ানো চড়–ই
কাদামাটি পলিমাটি উর্বর জমিন
বেণী দুলানো ফসলের মাঠ
রমণীর শরীরের মতো ঢেউখেলা নদী
জীবন জড়ানো পবিত্রতার কবিতা সুন্দরের শিরোনাম
এখন মরণঘাতী বিষে নীলবর্ণ শরীরে মরণ শ্বাসকষ্ট

নদীতে দখল—ক্ষতবিক্ষত রমণী শরীর
একান্নবর্তী উঠোনে দখলদারিত্ম—
গোখরা সাপের ভয়ঙ্কর খেলা
স্নেহ-মমতা-ভালোবাসায় দখল নিয়েছে স্বার্থের দারুণ ফণা
হাওর-বাঁওড়ে দখলের লাঠি সুউচ্চ প্রাসাদ
হাছন লালনে অপশক্তির দখল
মাথামোটা রাজনীতিকের দখলে রবীন্দ্র-নজরুল

ধবধবে চেহারার দখলদারেরা দেশপ্রেমের দরদী গল্প বলে
এদের সবার মুখশ্রী ও শরীর মানুষের মতো—
সত্যিকার মানুষই ভেবেছি;
এই ভাবনায় এখন নিজের কাছে নিজেরই অজস্র প্রশ্ন।

এরা কি সত্যিই মানুষ!
তবে নদী কেন দুঃখ পায়
ফুল-পাখি-প্রজাপতি কেন দুঃখ পায়
মর্ত্য ও আকাশ কেন দুঃখ পায়!
আস্থা ও বিশ্বাস চেতনার টকটকে লাল গোলাপ পাপড়ি
পদদলিত সহজ সরল জীবনপথের মুঠোভরা স্বপ্নে।

নদীকে জিজ্ঞেস করেছি সত্যিকারের মানুষ দেখতে কেমন!
বৃক্ষকে জিজ্ঞেস করেছি প্রকৃত মানুষ কেমন!
আঁকাবাঁকা জীবনপথকে জিজ্ঞেস করেছি নিখাদ মানুষ কেমন!
পাহাড় ও আকাশকে জিজ্ঞেস করেছি খাঁটি মানুষের স্বরূপ কেমন!
সবাই রক্তাক্ত বুক দেখিয়ে বলেছে— আমাদেরও একই প্রশ্ন;
সত্যিকারের মানুষ ভেবে যাদের দিয়েছি বুক পেতে
সবাই প্রেমের নামে খুন করে নিয়েছে দখল সরল মাটির;
সত্তাহীন এই বেঁচে থাকা যেন পরিচয়হীন গণধর্ষিতা সুন্দরী নারী!

এখন কেন যে মনে হয় সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়
স্বার্থের ছোবল অদ্ভুতরকম ঘরের উঠোন থেকে রাজসিংহাসন।

সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়, অন্য কোন রকম হয়তো

আরএ/

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা