রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রকিবুল হাসানের একগুচ্ছ কবিতা

একটি সাধারণ ছবি

খুব সাধারণ মানের একেবারেই সাদাসিধে একটি ছবি
কী এক অদ্ভুত শক্তিতে
ধরে রাখে আমাকে গভীর সুতোবন্দি করে

একটুও যত্ন নেই ছবিটির কোথাও
শুধু নিখাদ মাটিতে দাঁড়ানো যেন কাঁচাবালিকা মুখ
পুষ্পিতা পাপড়ি ছড়ানো ছিটানো

মায়াবী দু’চোখে যেন মেঘভরা কথার পালক
উড়ে আসে ভেঙে ভেঙে
আমাকে অনেক কথা বলে যায় কোনো কথা না বলেই

ছবিটা কি রঙিন প্রজাপতি নাকি দোয়েলিকা পাখি
মনের অরণ্যে ওড়ে নিজমনে বাঁধা আপন সংগীতে
নাকি কবিতার রহস্যঈশ্বর জীবনছন্দে দুলে ওঠা
সুন্দরিমা স্বর্ণ ফসলের মাঠ

আমি কী যে মল্লিকা মুগ্ধতা নিয়ে ডুবে থাকি
ছবিটি কি তাহলে নদী অথবা সমুদ্র
আমাকে এ কোন স্রোতে টানে
আষাঢ়ের বন্যা কীভাবে চেনে সে...

খুবই সাধারণ মানের মধ্যবিত্ত পরিবারের অষ্টাদশীর
সাদাকালো ছবি যেন
একটুও প্রসাধনের ঘষামাজা নেই— নগরীনাবিলার
ঘ্রাণ নেই বসনে— কোনোরকমে
একখণ্ড কুচকুচে কালো মৈথিলী মেঘের মতো একমুঠো চুল
ছড়িয়ে রয়েছে ঢেউবতী বুকের কার্নিশে
আনমনে কখনো হয়তো সে নিজেই নিয়েছিল টেনে...

কোথায় দেখেছি যেন—
কাহ্নপা নাকি বড়– চণ্ডীদাসের ঘরে— মনে পড়ে না
শিলাইদহ নাকি লালনের মাজারে— গভীর ধ্যানে খুঁজি
পথ ভেঙে পথে পথে— ‘আমার মনের মানুষ যে রে...’

রবীন্দ্রনাথের নায়িকা

মধ্যরাত ভেঙে আমার মৃত্তিকা— বুনে দিল দু’চোখে আমার সরিষা ফুলের মতো হলুদ বিস্ময়
আমি তাকে দেখি— সারা ঘর দেখি— যেন সারা ঘর রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথের নায়িকা হয়ে অপূর্ব সজ্জিতা মৃত্তিকা শরীর

কবিতার মতো করে ঘরভর্তি রবীন্দ্রনাথের ছবি
কী অদ্ভুত সুন্দর করে ফুলেল পাপড়ির মতো সাজানো স্বর্ণ-কর্ম
লাউডগা শরীরের মোমবাতির মায়াবী আলোতে কী ভীষণ
উজ্জ্বল রবীন্দ্রনাথ

মৃত্তিকা তাঁর বুকের সাথে মুখ লুকিয়ে খুব শান্তি করে
খুব বড়ো করে নিশ্বাস নেয় যেন সমুদ্র শীতল হয়ে ওঠে
জন্মান্তরের তৃষ্ণা
মধ্যরাত রবীন্দ্রনাথ হয়ে ওঠে—ত কী যে মুগ্ধ আলোতে ডুবে যায়
রাতের আঁধার— মৃত্তিকা আর মৃত্তিকা থাকে না

রবীন্দ্রনাথের ভেতর কীভাবে যেন সে সূর্য ডোবার মতো ডুবে যায়
আমি তাকে কিছুতেই পাই না— সে শুধুই রবীন্দ্রনাথের নায়িকা
আমি দেখি গভীর বিস্ময়ে রবীন্দ্রনাথ এখনো কী দুর্দান্ত যুবক

অন্ধকার ভেঙে এখনো সে প্রতিদিন দুপুরের রোদের মতো উজ্জ্বল
মৃত্তিকা কী অপার আনন্দে প্রতিটি নিশ্বাসে রবীন্দ্রনাথের...

জীবনযাপন

একমুঠো আলো খুঁজি— খেয়েপরে বাঁচার মতোন সাদাসিধে
ভবিষ্যৎ খুঁজি— আঁধারে নিজেকে নিজের দু হাতে...
বাড়িঅলা বাসা ছাড়ার তাগিদ দিচ্ছে ক’মাস থেকেই
বৃদ্ধ বাবার জন্যে টাকা পাঠানো হয় না এখন আর
মায়ের খোঁজ জানি না— অসুস্থ বাচ্চা পুড়ছে জ্বরের আগুনে
বারোভূতে লুটে নেয় মাটি মেয়ে সোনামুখ

বউটার মন ভালো নেই— শুকিয়ে গেছে কবুতর শরীর
ঘর ছেড়ে গেছে কেজিদরে মাদাম বোভারি আন্না কারেনিনা
সঞ্চয়িতা দি গড অব স্মল থিংকস সাধক বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ...
বাজারের ব্যাগে তেলাপোকার বাড়ি— ঋণের বোঝায়
পা’র কাছে নুয়ে পড়েছে মাথাটা
দৈত্যের মতোন ভয়ংকর হাতে ভাঙি
আত্মজার মাটির ব্যাংক— যেন সিঁধেল চোর নিজেই নিজের ঘরে

কাঁটাতারে ঘেরা জুয়াড়ি জীবন
এভাবে আঁধার ভেঙে ভেঙে কতদূর হাঁটা যায়
বারবার ঘুরপাক খাই অন্ধকারে

একমুঠো আলো খুঁজি— খেয়েপরে বাঁচার মতোন

প্রত্নজীবন

তুমিও কি আজ মধ্যরাত ভেঙে জেগে উঠেছিলে
তোমার নিশ্বাস ভেসে এল রাতের প্রাচীর ভেঙে
বিবর্ণ নগরে— একতারা ঢেউয়ে হেঁটেছি জীবন সড়কে
একদিন মৃত্যুর ভেতর দিয়ে দুঃখ-ভূমিতে তোমার
প্রত্নজীবন হয়ে যাব— তখন রাত্রির গভীরতা ভেঙে
জীবন কিনারে তুম হেঁটেছ তুমিও এক জীবন পুরোটা

আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক

আমার অন্তর্বেদনা আমারই থাকুক
আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক
আমার কলিজা কেটে কেটে যারা
সালাদ বানিয়ে তৃপ্তি করে খেয়ে গেল
তারাও ভালো থাকুক—ভালো থাকুক সবাই।

আমার ভরাট বুকে বর্ষা নদীর মতো
থই থই স্বপ্ন ছিল
প্রবল মাতাল স্রোতে ভেসে গেল সব
পুকুরভর্তি মাছের মতো অচেনা হাওরে
তবুও ভালো থাকুক অধিকার হরণের গল্প।

অন্ধকার মুখোশে নিজেকে ঢেকে
যারা চেতনার কথা বলে
যারা নতুন যৌবন দেবে বলে স্বপ্ন বুননের
প্রতিশ্রুতির গোলাপ পাপড়ি ছড়ায়
দুমুখো গোখরা হয়ে মসৃণ সড়কে
জীবন চালায়—ভালো থাকুক তারা
ভালো থাকুক সবাই।
ভগ্নস্তূপে বাসা বাঁধে কত সাধের যৌবন
নিঃস্বজনের অন্তরে কত অন্তর্জালা
অন্তর্বেদনা কে কার চেনে বলো
সুখনদী খুঁজতে খুঁজতে সব পাখিই তো
দুঃখনদীর গহীনে হারায়।

আমার অন্তর্বেদনা আমারই থাকুক
আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক

প্রজাপতি মেয়ে

কক্সবাজারের বাতাসে হলো না
পাখা মেলে উড়া প্রজাপতি মেয়ে,
নিভে গেলো
ভেজামেঘে রঙধনু চোখের পিপাসা।

ঝড় উঠেছিলো অগ্নিলাভা
সমুদ্রে সুখের স্নান,
আগুনের গান ভেসে গেলো
কিছুই পারোনি বুঝতে, সর্বনাশা।

কেনো তবে এইভাবে জীবনের খেলা!
কক্সবাজারের শীতল নিশ্বাস
বুক ভরে নেবে বলে
দুচোখ তোমার পরকীয়া বিমান-ডানায়!

ঠিক এরকম নয়

স্বার্থের ছোবল অদ্ভুতরকম ঘরের উঠোন থেকে রাজসিংহাসন
সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়,
অন্য কোন রকম হয়তো!
নদীকে দেখেছি রোগে শোকে বাঁচামরা হয়ে নিজের দুঃখকে
নিজের বুকেতে দিয়েছে কবর—তবুও
তার পাশে যখুনি যে দাঁড়ায় বেলা-অবেলা
কখনো কাউকে ফেরায় নি;
বৃক্ষের ছায়ায় কত রোদ্দুর দুপুর কেটে গেছে
কত পথিক-মহাজনের—কত ছায়া দিয়েছে ক্লান্ত শরীরে
কখনো করেনি হিসাব—করেনি চাতুরি অঙ্ক;
দোয়েল কোয়েল ঘুঘু বউ কথা কও
কত গান দিয়েছে মুগ্ধতা
কত পুষ্প কত লাবণ্য ও ঘ্রাণে সঁপেছে সুন্দরে
কত পাহাড়ে মিলেছে বুক কত আকাশ প্রেম ও অভিমানে
আছড়ে পড়েছে প্রবল প্রপাতে মাথাকুটে কেঁদেছে কতো যে
বুকে বেঁধে নিয়েছে পাহাড় সেই বেদনা আপন করে।

মানুষের কাছে মানুষ কেন যে বেদনার নীলখাম
মানুষের কাছে মানুষের কেন এতো দুঃখসমুদ্র
মানুষের কাছে মানুষের কেন যে কষ্টের বিষাক্ত ছোবল
মানুষে মানুষে কেন তবে প্রতারণা নীল দংশন

হাওর-বাঁওড় নদীনালা শাপলা ফুল
গ্রাম-শহরের অঁকাবাঁকা পথ
আনাচে কানাচে উড়ে বেড়ানো চড়–ই
কাদামাটি পলিমাটি উর্বর জমিন
বেণী দুলানো ফসলের মাঠ
রমণীর শরীরের মতো ঢেউখেলা নদী
জীবন জড়ানো পবিত্রতার কবিতা সুন্দরের শিরোনাম
এখন মরণঘাতী বিষে নীলবর্ণ শরীরে মরণ শ্বাসকষ্ট

নদীতে দখল—ক্ষতবিক্ষত রমণী শরীর
একান্নবর্তী উঠোনে দখলদারিত্ম—
গোখরা সাপের ভয়ঙ্কর খেলা
স্নেহ-মমতা-ভালোবাসায় দখল নিয়েছে স্বার্থের দারুণ ফণা
হাওর-বাঁওড়ে দখলের লাঠি সুউচ্চ প্রাসাদ
হাছন লালনে অপশক্তির দখল
মাথামোটা রাজনীতিকের দখলে রবীন্দ্র-নজরুল

ধবধবে চেহারার দখলদারেরা দেশপ্রেমের দরদী গল্প বলে
এদের সবার মুখশ্রী ও শরীর মানুষের মতো—
সত্যিকার মানুষই ভেবেছি;
এই ভাবনায় এখন নিজের কাছে নিজেরই অজস্র প্রশ্ন।

এরা কি সত্যিই মানুষ!
তবে নদী কেন দুঃখ পায়
ফুল-পাখি-প্রজাপতি কেন দুঃখ পায়
মর্ত্য ও আকাশ কেন দুঃখ পায়!
আস্থা ও বিশ্বাস চেতনার টকটকে লাল গোলাপ পাপড়ি
পদদলিত সহজ সরল জীবনপথের মুঠোভরা স্বপ্নে।

নদীকে জিজ্ঞেস করেছি সত্যিকারের মানুষ দেখতে কেমন!
বৃক্ষকে জিজ্ঞেস করেছি প্রকৃত মানুষ কেমন!
আঁকাবাঁকা জীবনপথকে জিজ্ঞেস করেছি নিখাদ মানুষ কেমন!
পাহাড় ও আকাশকে জিজ্ঞেস করেছি খাঁটি মানুষের স্বরূপ কেমন!
সবাই রক্তাক্ত বুক দেখিয়ে বলেছে— আমাদেরও একই প্রশ্ন;
সত্যিকারের মানুষ ভেবে যাদের দিয়েছি বুক পেতে
সবাই প্রেমের নামে খুন করে নিয়েছে দখল সরল মাটির;
সত্তাহীন এই বেঁচে থাকা যেন পরিচয়হীন গণধর্ষিতা সুন্দরী নারী!

এখন কেন যে মনে হয় সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়
স্বার্থের ছোবল অদ্ভুতরকম ঘরের উঠোন থেকে রাজসিংহাসন।

সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়, অন্য কোন রকম হয়তো

আরএ/

Header Ad
Header Ad

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন

কবি দাউদ হায়দার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রতিবাদী ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জার্মানির বার্লিনে স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে একটি রিহ্যাবিলিটেশন হোমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

কবির মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন লন্ডনপ্রবাসী নাট্যশিল্পী ও সংগঠক স্বাধীন খসরু এবং বার্লিনে অবস্থানরত কবির ঘনিষ্ঠজন সংস্কৃতিকর্মী মাইন চৌধুরী পিটু।

জানা যায়, গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে কবি দাউদ হায়দার বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। কয়েক মাস ধরে বার্লিনের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। ১২ ডিসেম্বর নিজ বাসার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তিনি জ্ঞান হারান এবং তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেসময় তাকে ‘কৃত্রিম কোমা’-তে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ বার্লিনেই দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পিটু। তবে কবির শেষ বিদায়ের সময় ও স্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনার পর।

দাউদ হায়দার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নির্বাসিত কবি হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত তার একটি কবিতা—‘কালো সূর্য্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’—এর কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭৪ সালের ২০ মে তাকে মুক্তি দিয়ে পরদিন কলকাতাগামী একটি বিশেষ ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। ওই ফ্লাইটে অন্য কোনো যাত্রী ছিল না।

ভারত সরকারও পরবর্তীতে তাকে বহিষ্কার করে। পরে নোবেলজয়ী জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের প্রচেষ্টায় ১৯৮৭ সালে তিনি জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন এবং সেখানেই বাকিজীবন কাটান।

দাউদ হায়দার বাংলা সাহিত্যে সত্তরের দশকের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে বিবেচিত। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’। সাহসী ও প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে তিনি বাংলা কবিতায় আলাদা একটি ধারা সৃষ্টি করেন।

১৯৭৩ সালে লন্ডন সোসাইটি ফর পোয়েট্রি তার একটি কবিতাকে ‘দ্য বেস্ট পোয়েম অব এশিয়া’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সে সময় তিনি ‘দৈনিক সংবাদ’-এর সাহিত্য পাতার সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি বাংলা ট্রিবিউনে নিয়মিত কলাম লিখতেন।

দাউদ হায়দার ছিলেন চিরকুমার। জীবনের শেষভাগে একাকিত্ব ও বয়সজনিত জটিলতায় ভুগেছেন। তিনি ছিলেন একজন ব্রডকাস্ট সাংবাদিকও।

কবি দাউদ হায়দারের জন্ম ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, পাবনা জেলায়। নিজের লেখনী ও বিশ্বাসের কারণে স্বদেশ থেকে বহু দূরে দীর্ঘদিন কাটালেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যই ছিলেন তার চেতনাজগতের কেন্দ্রবিন্দু।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সেনাসদস্যসহ মোট ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে আটজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়। একই দিনে উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দুটি স্থানে আরও দুটি অভিযান চালানো হয়।

উত্তর ওয়াজিরিস্তানে চারজন এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের গোমাল জ্যাম এলাকায় তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনী। এই সংঘর্ষগুলোর একটিতে পাক বাহিনীর দুই সেনা সদস্য প্রাণ হারান।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, এসব অভিযান ছিল পরিকল্পিত ও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে।

‘পাকিস্তান ইন্সটিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’ (PICS) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়েছে। এতে করে পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর এলাকার কাইতকাই রূপালী ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলা পৌর এলাকার চরভাতকুড়া গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে সিএনজি চালা হেলাল উদ্দিন (৫৫)। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সিএনজি যাত্রী ছিলেন।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মনজুরুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি ধনবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির চালক ঘটনা স্থলে মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হয় এক যাত্রী।

এরপর তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে রাতেই হাসপাতালে তিনি মারা যায়।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মনজুরুল হক জানান, নিহত সিএনজি চালকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে, অজ্ঞাত ওই যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি, শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ