সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রকিবুল হাসানের একগুচ্ছ কবিতা

একটি সাধারণ ছবি

খুব সাধারণ মানের একেবারেই সাদাসিধে একটি ছবি
কী এক অদ্ভুত শক্তিতে
ধরে রাখে আমাকে গভীর সুতোবন্দি করে

একটুও যত্ন নেই ছবিটির কোথাও
শুধু নিখাদ মাটিতে দাঁড়ানো যেন কাঁচাবালিকা মুখ
পুষ্পিতা পাপড়ি ছড়ানো ছিটানো

মায়াবী দু’চোখে যেন মেঘভরা কথার পালক
উড়ে আসে ভেঙে ভেঙে
আমাকে অনেক কথা বলে যায় কোনো কথা না বলেই

ছবিটা কি রঙিন প্রজাপতি নাকি দোয়েলিকা পাখি
মনের অরণ্যে ওড়ে নিজমনে বাঁধা আপন সংগীতে
নাকি কবিতার রহস্যঈশ্বর জীবনছন্দে দুলে ওঠা
সুন্দরিমা স্বর্ণ ফসলের মাঠ

আমি কী যে মল্লিকা মুগ্ধতা নিয়ে ডুবে থাকি
ছবিটি কি তাহলে নদী অথবা সমুদ্র
আমাকে এ কোন স্রোতে টানে
আষাঢ়ের বন্যা কীভাবে চেনে সে...

খুবই সাধারণ মানের মধ্যবিত্ত পরিবারের অষ্টাদশীর
সাদাকালো ছবি যেন
একটুও প্রসাধনের ঘষামাজা নেই— নগরীনাবিলার
ঘ্রাণ নেই বসনে— কোনোরকমে
একখণ্ড কুচকুচে কালো মৈথিলী মেঘের মতো একমুঠো চুল
ছড়িয়ে রয়েছে ঢেউবতী বুকের কার্নিশে
আনমনে কখনো হয়তো সে নিজেই নিয়েছিল টেনে...

কোথায় দেখেছি যেন—
কাহ্নপা নাকি বড়– চণ্ডীদাসের ঘরে— মনে পড়ে না
শিলাইদহ নাকি লালনের মাজারে— গভীর ধ্যানে খুঁজি
পথ ভেঙে পথে পথে— ‘আমার মনের মানুষ যে রে...’

রবীন্দ্রনাথের নায়িকা

মধ্যরাত ভেঙে আমার মৃত্তিকা— বুনে দিল দু’চোখে আমার সরিষা ফুলের মতো হলুদ বিস্ময়
আমি তাকে দেখি— সারা ঘর দেখি— যেন সারা ঘর রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথের নায়িকা হয়ে অপূর্ব সজ্জিতা মৃত্তিকা শরীর

কবিতার মতো করে ঘরভর্তি রবীন্দ্রনাথের ছবি
কী অদ্ভুত সুন্দর করে ফুলেল পাপড়ির মতো সাজানো স্বর্ণ-কর্ম
লাউডগা শরীরের মোমবাতির মায়াবী আলোতে কী ভীষণ
উজ্জ্বল রবীন্দ্রনাথ

মৃত্তিকা তাঁর বুকের সাথে মুখ লুকিয়ে খুব শান্তি করে
খুব বড়ো করে নিশ্বাস নেয় যেন সমুদ্র শীতল হয়ে ওঠে
জন্মান্তরের তৃষ্ণা
মধ্যরাত রবীন্দ্রনাথ হয়ে ওঠে—ত কী যে মুগ্ধ আলোতে ডুবে যায়
রাতের আঁধার— মৃত্তিকা আর মৃত্তিকা থাকে না

রবীন্দ্রনাথের ভেতর কীভাবে যেন সে সূর্য ডোবার মতো ডুবে যায়
আমি তাকে কিছুতেই পাই না— সে শুধুই রবীন্দ্রনাথের নায়িকা
আমি দেখি গভীর বিস্ময়ে রবীন্দ্রনাথ এখনো কী দুর্দান্ত যুবক

অন্ধকার ভেঙে এখনো সে প্রতিদিন দুপুরের রোদের মতো উজ্জ্বল
মৃত্তিকা কী অপার আনন্দে প্রতিটি নিশ্বাসে রবীন্দ্রনাথের...

জীবনযাপন

একমুঠো আলো খুঁজি— খেয়েপরে বাঁচার মতোন সাদাসিধে
ভবিষ্যৎ খুঁজি— আঁধারে নিজেকে নিজের দু হাতে...
বাড়িঅলা বাসা ছাড়ার তাগিদ দিচ্ছে ক’মাস থেকেই
বৃদ্ধ বাবার জন্যে টাকা পাঠানো হয় না এখন আর
মায়ের খোঁজ জানি না— অসুস্থ বাচ্চা পুড়ছে জ্বরের আগুনে
বারোভূতে লুটে নেয় মাটি মেয়ে সোনামুখ

বউটার মন ভালো নেই— শুকিয়ে গেছে কবুতর শরীর
ঘর ছেড়ে গেছে কেজিদরে মাদাম বোভারি আন্না কারেনিনা
সঞ্চয়িতা দি গড অব স্মল থিংকস সাধক বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ...
বাজারের ব্যাগে তেলাপোকার বাড়ি— ঋণের বোঝায়
পা’র কাছে নুয়ে পড়েছে মাথাটা
দৈত্যের মতোন ভয়ংকর হাতে ভাঙি
আত্মজার মাটির ব্যাংক— যেন সিঁধেল চোর নিজেই নিজের ঘরে

কাঁটাতারে ঘেরা জুয়াড়ি জীবন
এভাবে আঁধার ভেঙে ভেঙে কতদূর হাঁটা যায়
বারবার ঘুরপাক খাই অন্ধকারে

একমুঠো আলো খুঁজি— খেয়েপরে বাঁচার মতোন

প্রত্নজীবন

তুমিও কি আজ মধ্যরাত ভেঙে জেগে উঠেছিলে
তোমার নিশ্বাস ভেসে এল রাতের প্রাচীর ভেঙে
বিবর্ণ নগরে— একতারা ঢেউয়ে হেঁটেছি জীবন সড়কে
একদিন মৃত্যুর ভেতর দিয়ে দুঃখ-ভূমিতে তোমার
প্রত্নজীবন হয়ে যাব— তখন রাত্রির গভীরতা ভেঙে
জীবন কিনারে তুম হেঁটেছ তুমিও এক জীবন পুরোটা

আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক

আমার অন্তর্বেদনা আমারই থাকুক
আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক
আমার কলিজা কেটে কেটে যারা
সালাদ বানিয়ে তৃপ্তি করে খেয়ে গেল
তারাও ভালো থাকুক—ভালো থাকুক সবাই।

আমার ভরাট বুকে বর্ষা নদীর মতো
থই থই স্বপ্ন ছিল
প্রবল মাতাল স্রোতে ভেসে গেল সব
পুকুরভর্তি মাছের মতো অচেনা হাওরে
তবুও ভালো থাকুক অধিকার হরণের গল্প।

অন্ধকার মুখোশে নিজেকে ঢেকে
যারা চেতনার কথা বলে
যারা নতুন যৌবন দেবে বলে স্বপ্ন বুননের
প্রতিশ্রুতির গোলাপ পাপড়ি ছড়ায়
দুমুখো গোখরা হয়ে মসৃণ সড়কে
জীবন চালায়—ভালো থাকুক তারা
ভালো থাকুক সবাই।
ভগ্নস্তূপে বাসা বাঁধে কত সাধের যৌবন
নিঃস্বজনের অন্তরে কত অন্তর্জালা
অন্তর্বেদনা কে কার চেনে বলো
সুখনদী খুঁজতে খুঁজতে সব পাখিই তো
দুঃখনদীর গহীনে হারায়।

আমার অন্তর্বেদনা আমারই থাকুক
আমার শ্মশানদাহ আমারই থাকুক

প্রজাপতি মেয়ে

কক্সবাজারের বাতাসে হলো না
পাখা মেলে উড়া প্রজাপতি মেয়ে,
নিভে গেলো
ভেজামেঘে রঙধনু চোখের পিপাসা।

ঝড় উঠেছিলো অগ্নিলাভা
সমুদ্রে সুখের স্নান,
আগুনের গান ভেসে গেলো
কিছুই পারোনি বুঝতে, সর্বনাশা।

কেনো তবে এইভাবে জীবনের খেলা!
কক্সবাজারের শীতল নিশ্বাস
বুক ভরে নেবে বলে
দুচোখ তোমার পরকীয়া বিমান-ডানায়!

ঠিক এরকম নয়

স্বার্থের ছোবল অদ্ভুতরকম ঘরের উঠোন থেকে রাজসিংহাসন
সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়,
অন্য কোন রকম হয়তো!
নদীকে দেখেছি রোগে শোকে বাঁচামরা হয়ে নিজের দুঃখকে
নিজের বুকেতে দিয়েছে কবর—তবুও
তার পাশে যখুনি যে দাঁড়ায় বেলা-অবেলা
কখনো কাউকে ফেরায় নি;
বৃক্ষের ছায়ায় কত রোদ্দুর দুপুর কেটে গেছে
কত পথিক-মহাজনের—কত ছায়া দিয়েছে ক্লান্ত শরীরে
কখনো করেনি হিসাব—করেনি চাতুরি অঙ্ক;
দোয়েল কোয়েল ঘুঘু বউ কথা কও
কত গান দিয়েছে মুগ্ধতা
কত পুষ্প কত লাবণ্য ও ঘ্রাণে সঁপেছে সুন্দরে
কত পাহাড়ে মিলেছে বুক কত আকাশ প্রেম ও অভিমানে
আছড়ে পড়েছে প্রবল প্রপাতে মাথাকুটে কেঁদেছে কতো যে
বুকে বেঁধে নিয়েছে পাহাড় সেই বেদনা আপন করে।

মানুষের কাছে মানুষ কেন যে বেদনার নীলখাম
মানুষের কাছে মানুষের কেন এতো দুঃখসমুদ্র
মানুষের কাছে মানুষের কেন যে কষ্টের বিষাক্ত ছোবল
মানুষে মানুষে কেন তবে প্রতারণা নীল দংশন

হাওর-বাঁওড় নদীনালা শাপলা ফুল
গ্রাম-শহরের অঁকাবাঁকা পথ
আনাচে কানাচে উড়ে বেড়ানো চড়–ই
কাদামাটি পলিমাটি উর্বর জমিন
বেণী দুলানো ফসলের মাঠ
রমণীর শরীরের মতো ঢেউখেলা নদী
জীবন জড়ানো পবিত্রতার কবিতা সুন্দরের শিরোনাম
এখন মরণঘাতী বিষে নীলবর্ণ শরীরে মরণ শ্বাসকষ্ট

নদীতে দখল—ক্ষতবিক্ষত রমণী শরীর
একান্নবর্তী উঠোনে দখলদারিত্ম—
গোখরা সাপের ভয়ঙ্কর খেলা
স্নেহ-মমতা-ভালোবাসায় দখল নিয়েছে স্বার্থের দারুণ ফণা
হাওর-বাঁওড়ে দখলের লাঠি সুউচ্চ প্রাসাদ
হাছন লালনে অপশক্তির দখল
মাথামোটা রাজনীতিকের দখলে রবীন্দ্র-নজরুল

ধবধবে চেহারার দখলদারেরা দেশপ্রেমের দরদী গল্প বলে
এদের সবার মুখশ্রী ও শরীর মানুষের মতো—
সত্যিকার মানুষই ভেবেছি;
এই ভাবনায় এখন নিজের কাছে নিজেরই অজস্র প্রশ্ন।

এরা কি সত্যিই মানুষ!
তবে নদী কেন দুঃখ পায়
ফুল-পাখি-প্রজাপতি কেন দুঃখ পায়
মর্ত্য ও আকাশ কেন দুঃখ পায়!
আস্থা ও বিশ্বাস চেতনার টকটকে লাল গোলাপ পাপড়ি
পদদলিত সহজ সরল জীবনপথের মুঠোভরা স্বপ্নে।

নদীকে জিজ্ঞেস করেছি সত্যিকারের মানুষ দেখতে কেমন!
বৃক্ষকে জিজ্ঞেস করেছি প্রকৃত মানুষ কেমন!
আঁকাবাঁকা জীবনপথকে জিজ্ঞেস করেছি নিখাদ মানুষ কেমন!
পাহাড় ও আকাশকে জিজ্ঞেস করেছি খাঁটি মানুষের স্বরূপ কেমন!
সবাই রক্তাক্ত বুক দেখিয়ে বলেছে— আমাদেরও একই প্রশ্ন;
সত্যিকারের মানুষ ভেবে যাদের দিয়েছি বুক পেতে
সবাই প্রেমের নামে খুন করে নিয়েছে দখল সরল মাটির;
সত্তাহীন এই বেঁচে থাকা যেন পরিচয়হীন গণধর্ষিতা সুন্দরী নারী!

এখন কেন যে মনে হয় সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়
স্বার্থের ছোবল অদ্ভুতরকম ঘরের উঠোন থেকে রাজসিংহাসন।

সত্যিকারের মানুষ ঠিক এরকম নয়, অন্য কোন রকম হয়তো

আরএ/

Header Ad
Header Ad

দুই ঘণ্টায় স্বদেশে ফিরলেন ২ লাখ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইল নেটজারিম করিডোর খুলে দেয়ার পর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে উত্তর গাজায় ফিরেছেন প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি। দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তারা প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।

ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিরা কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে এবং কোলে সন্তানদের নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে হাঁটছেন। তবে যারা যানবাহনে করে যাচ্ছেন তাদের চেকপয়েন্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

গাজার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করিডোর খোলার পর দুই ঘণ্টার মধ্যেই হেঁটে অন্তত ২ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ উত্তর গাজায় ফিরে এসেছেন। তবে তাদের অধিকাংশই বাড়ি ফিরে ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছেন না। তবুও তাদের চোখেমুখে ছিল ফিরে আসার আনন্দ।

কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ফিরতে থাকা ১৯ বছর বয়সী আহমেদ জানান, তিনি ১৫ মাস ধরে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তিনি বলেন, “আমরা ক্লান্ত, আমরা আমাদের পরিবারের কাছে যেতে চাই। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”

ফিলিস্তিনিরা শনিবার (২৫ জানুয়ারি) উত্তর গাজায় ফিরতে প্রস্তুত থাকলেও ইসরাইলি জিম্মি আরবেল ইয়েহুদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের কারণে তারা আটকে পড়েন। অবশেষে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় পায়ে হেঁটে এবং সকাল ৯টায় যানবাহনে করে তাদের পার হতে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করে। টানা ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। তবে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি

Header Ad
Header Ad

ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ১১ জনই আ:লীগ নেতা  

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া দাওয়াতপত্র। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২৯ ও ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকা সম্বলিত একটি দাওয়াতপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ১৭ জন অতিথির মধ্যে ১১ জন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা।

এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দাওয়াতপত্রে যাদের অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের ১১ জনের মধ্যে শরিসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোঃ আজমল আল বাহার বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সোবাহান, সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মতিয়ার রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ হোসেন আলী, আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জন।

বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, শরিসা ইউনিয়ন বিএএনপির সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক রেজাউল আলম হুমায়ুন স্যারের পরার্মশে এমন চিঠি করা হয়েছে। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন। সেখানে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের নাম রয়েছে। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান আসলে দল বিবেচনা করে নয় অতিথিদের সম্মান জানানো হয়েছে।

রাশেদুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শরিসা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি এ দাওয়াতপত্র ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, আজ একটি জিনিস দেখে খুবই অবাক লাগলো। আমাদের বহলাডাঙ্গা হাই স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা আগামী ২৯ ও ৩০ তারিখ। এখানে একটা চিঠি ইস্যু করা হয়েছে ১৭ জনের নামের মধ্যে ১০-১১ জনই আওয়ামী লীগ, শুধু আওয়ামী লীগ বললেই হবে না, এখানে আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, থানা কমিটির মেম্বার সবাইকেই রাখা হয়েছে। সরিষা ইউনিয়নে কি আমাদের বিএনপি‍‍`র লোকজন নাই নাকি? আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা আমরা সাধারণ বিএনপি জানতে চাই।

এ পোস্টের অসংখ্য কমেন্টের মধ্যে বেশ কিছু কমেন্ট আলোচিত তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের পূর্নবাসন করতেই এমন কাজ করছে। তারুন্যের উৎসবে নেই, কোন তারুন্যে আছে, শুধু আওয়ামী লীগের পূর্নবাসনের কার্যক্রম।

এ ব্যাপারে শরিসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল আলম হুমায়ুন বলেন, আমিসহ প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মিলেই এ চিঠি করা হয়েছে। আমি একটা শালিসে আছি, পরে কথা বলব।

এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। সকল স্কুলের দাওয়াত পত্রও আমরা পাই না।

Header Ad
Header Ad

বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা  

বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা । ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্ব ইজতেমায় যাতায়াত নির্বিঘ্ন এবং যথাস্থানে যানবাহন পার্কিং করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশগামীদের জন্যও নির্দেশনা রয়েছে।

আজ সোমবার ডিএমপি’র উপ-কমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আখেরী মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কার্ভাডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর, ধউড় ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।

অনুরূপভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আগত যানবাহনসমূহ কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়ীবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আগত যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে।

আখেরী মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আগত যানবাহন সমূহ কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামি) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামি) ব্যবহার করবেন। কোনভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না।

আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহনের চালকগণ বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন।

ঢাকা মহানগর থেকে যে সকল মুসল্লিগণ পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তারা তুরাগ নদীর উপরে নির্মিত পল্টুন ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন।

বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেয়ার জন্য আখেরী মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ- ২ এবং নিকুঞ্জ-১ গেট হতে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা প্রদান করা হবে।

নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লীবাহী যানবাহন পার্কিং এর সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রীগণ ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।

মুসল্লীবাহী প্রতিটি যানবাহনের দৃশ্যমান স্থানে চালকের নাম এবং মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকতে হবে। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইওভারের নিচে আব্দুল্লাহপুর বেইলী ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সকল যানবাহন চালকদের আজমপুর থেকে ফ্লাইওভার ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে ফ্লাইওভার দিয়ে পারাপার না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। খিলক্ষেত হতে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে পার্কিং করা যাবে না।

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গাড়ি পার্কিং ও চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা

ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহন নিম্নবর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবেন:

ঢাকা ও চট্টগাম বিভাগ থেকে আসা গাড়ি- ১৫নং সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫নং ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নং সেক্টর উলুদাহ মাঠ এলাকায় পার্কিং করবে।

সিলেট ও খুলনা বিভাগ থেকে আসা গাড়ি:
উত্তরাস্থ ১৫নং সেক্টর লেকপাড় মাঠে পার্কিং করবে। রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের গাড়ি: ১০নং ব্রিজ এবং ১১নং ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্ব, ১৬নং সেক্টরের ভিতরে এবং বউবাজার মাঠে পার্কিং করবে।

বরিশাল বিভাগ থেকে আসা গাড়ি:
ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন এলাকায় পার্কিং করবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরী গাড়িগুলো ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গায় পার্কিং করবে।

ভাইভারশন সংক্রান্ত তথ্য ডাইভারশন পয়েন্টসমূহ:
শুধুমাত্র আখেরী মোনাজাতের দিন অর্থাৎ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪টা থেকে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত ধর্মপ্রাণ নাগরিকবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই ঘণ্টায় স্বদেশে ফিরলেন ২ লাখ ফিলিস্তিনি
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ১১ জনই আ:লীগ নেতা  
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা  
ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত: আইন উপদেষ্টা
এবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
প্লে অফে এক পা রাজশাহীর  
সীমান্তের ওপারে মাদকের বাঙ্কার: বাংলাদেশে পাচারের আগেই ধরা পড়লো বিশাল চালান
ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদি  
সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাবির বাস চলতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি
টাঙ্গাইলে গুড়িয়ে দেওয়া হলো সীসা তৈরি কারখানা
কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে: জামায়াত সেক্রেটারি
নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের  
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে ক্লাসে ফিরিয়ে দিন : চরমোনাই পীর  
‘‘বেতনে না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান’’ সংবাদের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ক্ষমতার লোভে তরুণ প্রজন্মকে কেনা সম্ভব নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ
বিচারপতি মানিকের মৃত্যু! যা জানা গেলো
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে বললেন ছাত্রশিবির  
মালানের তান্ডবে খুলনাকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল
বাজেটে তামাক-কর ও দাম বাড়ানোর দাবি